প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রাথমিক বিজ্ঞান

বিশুদ্ধ পানি কী?

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

মো. মাসুদ খান, প্রধান শিক্ষক ডেমরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডেমরা, ঢাকা য়
প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বিজ্ঞান থেকে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো। যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর অধ্যায় : ৩ প্রশ্ন. বিশুদ্ধ পানি কী? বিশুদ্ধ পানির ৪টি বৈশিষ্ট্য লেখ। উত্তর : যে কোনো ধরনের রোগজীবাণুমুক্ত পানের উপযোগী পানিকে বিশুদ্ধ পানি বলে। বিশুদ্ধ পানির ৪টি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপÑ ১. বিশুদ্ধ পানি সব ধরনের জীবাণুমুক্ত হবে। ২. পানির রং বা বণর্ টলমলে ও বণর্হীন হবে। ৩. পানিতে কোনো প্রকার দুগর্ন্ধ ও ভাসমান পদাথর্ থাকবে না। ৪. পানি খুবই স্বচ্ছ হবে। প্রশ্ন. আসেির্নক কী? আসেির্নকের ক্ষতিকর প্রভাব ৪টি বাক্যে বণর্না কর। উত্তর : আসেির্নক হলো এক প্রকার বিষাক্ত পদাথর্, যা মাটির নিচে খনিজ হিসেবে থাকে। প্রাকৃতিক কারণে আসেির্নক দূষণ হয়ে থাকে। আসেির্নক ভ‚গভের্র পানির স্তরের সংস্পশের্ এলে তা পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে। আসেির্নকযুক্ত পানি দীঘির্দন পান করলে হাত-পায়ের চামড়ায় এক ধরনের ক্ষত বা ঘা তৈরি হয়, যা আসেির্নকোসিস রোগ নামে পরিচিত। এ রোগের সহজ কোনো চিকিৎসা নেই। প্রশ্ন. পানি পরিষ্কার ও টলটলে হলেও তার বিশুদ্ধতা সম্পকের্ নিশ্চিত হতে হবে কেন? ৫টি বাক্যে বণর্না কর। উত্তর : পানি পরিষ্কার ও টলটলে হলেও তা পান করার উপযোগী নাও হতে পারে। কারণ খালি চোখে দেখা যায় না এমন অনেক রোগজীবাণু বা ক্ষতিকর পদাথর্ এ পানিতে মিশে থাকতে পারে। পরিষ্কার ও টলটলে নলক‚পের পানিতে বিষাক্ত আসেির্নক থাকতে পারে। এ ধরনের পানিকে বিশুদ্ধ পানি মনে করে পান করলে শরীরে নানা রোগ দেখা দেবে। তাই পানি পরিষ্কার ও টলটলে হলেও তার বিশুদ্ধতা সম্পকের্ নিশ্চিত হতে হবে। চতুথর্ অধ্যায় প্রশ্ন. দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন কাজে বায়ু ব্যবহার করি, বায়ুর এরূপ পঁাচটি ব্যবহার লেখ। উত্তর : দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন কাজে বায়ু ব্যবহার করি। বায়ুর এরূপ পঁাচটি ব্যবহার হলোÑ ১. ফসল ঝেড়ে ময়লা দূর করা। ২. সাইকেল, গাড়ির চাকায় বায়ু ভতির্ করে চালানো। ৩. ভেজা কাপড় শুকানো। ৪. লম্বা ভেজা চুল শুকানো। ৫. শরীর ঠাÐা করতে হাতপাখা ও বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার। প্রশ্ন. তোমাদের স্কুলে আগুন নেভানোর একটি যন্ত্র আনা হয়েছে। এ যন্ত্রটি কিভাবে কাজ করে তা ৫টি বাক্যে বণর্না কর। উত্তর : আমাদের স্কুলে আনা আগুন নেভানোর যন্ত্রের ওপর যে হাতলটি আছে তা চাপ দিলে এতে থাকা রাসায়নিক দ্রব্যগুলো একত্রে মিশে ফেনার মতো কাবর্ন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। কাবর্ন ডাইঅক্সাইড আগুন নেভাতে সাহায্য করে। আমরা জানি, অক্সিজেন আগুন জ্বলতে সাহায্য করে। কোনো স্থানে আগুন লাগলে যদি কাবর্ন ডাইঅক্সাইডের ফেনা স্প্রে করে একটি আবরণ সৃষ্টি করা যায় তাহলে আগুন বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পশের্ আসতে পারে না, ফলে আগুন নিভে যায়।