আজ তোমাদের জন্য বাংলা নিয়ে আলোচনা করা হলো
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ:
যানজট বর্তমানে রাজধানী ঢাকাবাসীর জীবনে এক ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। যানজটের দুঃসহ যাতনা ভোগ করে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে বা গন্ত্যবে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের দ্রম্নতগতি ও আধুনিক মানুষের কর্মব্যস্ততাকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে দুঃসহ যানজট। যানজট ঢাকার নাগরিক জীবনের নিত্যদিনের এক অসহনীয় ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। যতই ক্ষোভ ও বিরক্তির কারণ হোক, এর হাত থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না। ঢাকা শহরের যানজটের কারণ অনেক। যান চলাচলের রাস্তার স্বল্পতা, অপরিসর রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা ও নামানো, অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থা, হকরাদের ফুটপাত দখল ইত্যাদি ছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে। যানজট নিরসন করে নাগরিক জীবনকে স্বস্তিদানের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন : রাস্তার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান রাস্তাগুলো প্রশস্তকরণ, রাস্তার ওপর গাড়ি ও নির্মাণসামগ্রী রাখা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধকরণ, মোড়ে মোড়ে যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা ও ট্রাফিক আইনের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল করার জন্য ব্যাপক প্রচারাভিযানের ব্যবস্থাকরণ। বর্ণিত পদক্ষেপগুলো আন্তরিকভাবে গৃহীত হলে আমাদের বিশ্বাস যানজট সমস্যার অনেকটা সুরাহা করা যাবে।
৩. নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি বাছাই করে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্র লেখ।
ক. আমাদের সবার নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত।
খ. বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটি খুবই অপরিসর।
গ. মানুষের অসুস্থতার কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।
ঘ. গ্রীষ্মকালের দুঃসহ গরমে জীবন দুর্বিষহ হয়ে যায়।
ঙ. এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি পেলাম।
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ:
প্রশ্ন : যানজটের কারণে সৃষ্ট পাঁচটি সমস্যা লেখ।
উত্তর : যানজটের কারণে সৃষ্ট পাঁচটি সমস্যা হলো-
১. সময়ের অপচয়।
২. সঠিক সময় কাজ করতে না পারা।
৩. পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি হওয়া।
৪. মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
৫. দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়া।
প্রশ্ন : ঢাকা শহরে যানজট নিরসনের পাঁচটি উপায় লেখ।
উত্তর : ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের উপায়গুলো হলো-
১. ট্রাফিক আইন মেনে চলা।
২. রাস্তার সংখ্যা বাড়ানো।
৩. ভাঙা রাস্তা দ্রম্নত মেরামত করা।
৪. হকার দ্বারা ফুটপাত দখল না করা।
৫. নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যাত্রী ওঠানামা না করা।
প্রশ্ন :যানজটের কারণে দৈনন্দিন জীবনযাপনের ক্ষেত্রে তোমার কী সমস্যা হতে পারে? পাঁচটি সমস্যা লেখ।
উত্তর : যানজটের কারণে দৈনন্দিন জীবনযাপনের যেসব সমস্যা হতে পারে-
১. স্কুলে যেতে দেরি হতে পারে।
২. মানসিক ও শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
৩. গন্তব্যস্থল দূরে হলে হাঁটতে সমস্যা হতে পারে।
৪. অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে যেতে সমস্যা হতে পারে।
৫. সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে অসুবিধা হতে পারে।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
কুমিলস্না, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে প্রস্তুত খাদি বা খদ্দরের সমাদার শুধু গ্রামীণজীবনেই নয়, শহরের আধুনিক সমাজেও যথেষ্ট রয়েছে। খাদি কাপড়ের বিশেষত্ব হচ্ছে, এর সবটাই হাতে প্রস্তুত। তুলা থেকে হাতে সুতা কাটা হয়। গ্রামবাসীরা অবসর সময়ে সুতা কাটে। এদের বলা হয় কাটুনি। গ্রামে বাড়ির আশপাশে তুলার গাছ লাগানোর রীতি আছে। সেই গাছের তুলা দিয়ে সুতা কাটা ও হাতে চালিত তাঁতে এসব সুতায় যে কাপড় প্রস্তুত করা হয়, সেই কাপড়ই প্রকৃত খাদি। স্বদেশী আন্দোলনের যুগে বিদেশি কাপড় বর্জন করে দেশি কাপড় ব্যবহারের যে আদর্শ প্রবর্তিত হয়েছিল তারই সাফল্যের স্বাক্ষর এই খাদি।
৩. নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি বাছাই করে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্র লেখ।
ক. আসাদ স্যার আমার আদর্শ।
খ. অবসর সময় মা নকশিকাঁথায় ফুল আঁকেন।
গ. মামাবাড়িতে খুব সমাদার পাওয়া যায়।
ঘ. সমাজের রীতির প্রতি খুব শ্রদ্ধাশীল থাকা যায়।
ঙ. মসলিনের বিশেষত্ব কেউ অস্বীকার করে না।
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
প্রশ্ন : খাদি কাপড়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী? খাদি কাপড় কীভাবে তৈরি করা হয় তা চারটি বাক্য লেখো।
উত্তর : খাদি কাপড়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি। খাদি কাপড় মূলত তুলা থেকে তৈরি করা হয়। গ্রামবাসীরা অবসর সময়ে তুলা থেকে সুতা কাটে। সেই সুতা হাতে চালিত তাঁতের মাধ্যমে কাপড়ে পরিণত হয়। এ কাপড়ই হলো খাদি বা খদ্দর।