প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রাথমিক বিজ্ঞান

গাছের পাতা সূযের্র আলোকশক্তি শোষণ করে

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সামছুর রহমান রুমান, শিক্ষক শিক্ষা নিকেতন, চঁাদপুর
প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বিজ্ঞান থেকে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো। অধ্যায়: ৫ প্রশ্ন. শক্তি কী? শক্তির রূপান্তরের উদাহরণ ৪টি বাক্যে ব্যাখ্যা কর। উত্তর : শক্তি হচ্ছে পরিবতের্নর সংঘটক বা এজেন্ট, যা সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না। এটি শুধু এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত হয়। নিচে উদাহরণসহ শক্তির রূপান্তরের ব্যাখ্যা দেয়া হলোÑ ১. বৈদ্যুতিক বাতিতে বিদ্যুৎ শক্তির তাপ ও আলোকে শক্তিতে রূপান্তর। ২. গাড়ি চালালে তেলের রাসায়নিক শক্তি প্রথমে রূপান্তরিত হয় তাপশক্তিতে, পরে এ তাপশক্তি রূপান্তরিত হয় গতিশক্তিতে। ৩. গাছের পাতা সূযের্র আলোকশক্তি শোষণ করে। এ আলোকশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ৪. কাঠ বা কয়লা পোড়ালে তাপশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর হয়। প্রশ্ন. শক্তির অপচয় বন্ধ প্রয়োজন কেন? ৫টি বাক্যে লেখ। উত্তর : পৃথিবীতে শক্তির পরিমাণ নিদির্ষ্ট বলে শক্তি নতুন করে সৃষ্টি করা যায় না কিংবা ধ্বংসও করা যায় না। তেল, কয়লা, গ্যাস আমরা খরচ করছি এবং তা ক্রমাগত ফুরিয়ে যাচ্ছে, এগুলো আমরা আর ফিরে পাব না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া শক্তি খরচ করলে শক্তির অপচয় ঘটে। আর শক্তির অপচয় ঘটলে একসময় ব্যবহারযোগ্য শক্তি আমাদের কাছে থাকবে না। এজন্য শক্তির অপচয় রোধ করা একান্ত প্রয়োজন। প্রশ্ন. পরিচলন কী? পরিচলন পদ্ধতিতে কিভাবে তাপের সঞ্চালন ঘটে তা ৪টি বাক্যে বণর্না কর। উত্তর : যে পদ্ধতিতে তাপ কোনো পদাথের্র অণুগুলোর চলাচল দ্বারা উত্তপ্ত অংশ থেকে শীতলতর অংশে স্থানান্তরিত হয় তাকে পরিচলন বলে। একটি কাচের পাত্রে পানি নিয়ে এর সঙ্গে কিছু রং মিশিয়ে পাত্রের নিচে তাপ প্রয়োগ করলে দেখা যায়, পাত্রের তলা থেকে একটি রঙিন পানির স্রোত ওপরের দিকে ওঠে এবং পাত্রের দেয়াল বেয়ে আরেকটি স্রোত নিচে নেমে যাচ্ছে। পাত্রের তলার পানি প্রথম তাপ গ্রহণ করার ফলে উত্তপ্ত হয়ে হালকা হয় এবং ওপরে উঠে যায় অন্যদিকে ওপরের ঠাÐা পানি নিচে নেমে আসে। এভাবে ক্রমাগত গরম পানির ওপরে ওঠা এবং শীতল পানির নিচে আসার ফলে পাত্রের সব পানি উত্তপ্ত হয়। সুতরাং এ পদ্ধতিতে পানির অণুগুলো স্থান পরিবতর্ন করে তাপ সঞ্চালন করে। প্রশ্ন. পদাথের্র তিন দশা রয়েছে। যথাÑ কঠিন, তরল ও বায়বীয়। নিচে এদের বৈশিষ্ট্য বণর্না করা হলোÑ কঠিন : কঠিন দশায় পদাথের্র পরমাণুগুলো নিদির্ষ্ট অবস্থানে সাজানো থাকে। পরমাণুগুলোর বন্ধন শক্তিশালী থাকে। তাই এদের আকার সহজে বদলানো যায় না। এদের আয়তন নিদির্ষ্ট। তরল : তরল দশায় পদাথের্র পরমাণুগুলোর মধ্যে বন্ধন শিথিল থাকে। ফলে পরমাণুগুলো চলাচল করতে পারে। কিন্তু এদের গড় দূরত্ব ঠিক থাকে। তবে আকার ঠিক থাকে না। কিন্তু আয়তন ঠিক থাকে। বায়বীয় : গ্যাসীয় দশায় পদাথের্র অণুগুলোর মধ্যে কোনো বন্ধন থাকে না। ফলে এরা জায়গা দখল করে কিন্তু তা নিদির্ষ্ট থাকে না। প্রশ্ন. শক্তির পরিমাপ কিভাবে করা যায় তা দৃষ্টান্ত দিয়ে বোঝাও। উত্তর : কাজ করার সামথর্্যকে শক্তি বলে। শক্তির পরিমাপ করা যায় এ-সংক্রান্ত দুটি দৃষ্টান্ত নিচে উল্লেখ করা হলোÑ একটি স্প্রিংকে টেনে লম্বা করতে বল প্রয়োগ করতে হয়। যতটুকু বল প্রয়োগ করে একটি স্প্রিংকে যতটুকু লম্বা করা যায়, এ দুটো রাশির গুণফল হলো শক্তির পরিমাণ।