প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রাথমিক বিজ্ঞান

শব্দশক্তির ব্যবহার করে গান শোনা Ñ

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সামছুর রহমান রুমান, শিক্ষক শিক্ষা নিকেতন, চঁাদপুর য়
প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বিজ্ঞান থেকে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো। অধ্যায়: ৫ প্রশ্ন. শক্তির পরিমাপ কিভাবে করা যায় তা দৃষ্টান্ত দিয়ে বোঝাও। উত্তর : কাজ করার সামথর্্যকে শক্তি বলে। শক্তির পরিমাপ করা যায় এ-সংক্রান্ত দুটি দৃষ্টান্ত নিচে উল্লেখ করা হলোÑ একটি স্প্রিংকে টেনে লম্বা করতে বল প্রয়োগ করতে হয়। যতটুকু বল প্রয়োগ করে একটি স্প্রিংকে যতটুকু লম্বা করা যায়, এ দুটো রাশির গুণফল হলো শক্তির পরিমাণ। আবার, একটি ভারী বস্তুকে ওপরে তোলার সময় কতটা ওজনের বস্তুকে কতটা ওপরে তোলা হয়Ñ এ দুটো রাশির গুণফলই হলো শক্তির পরিমাণ। প্রশ্ন. তাপ কি কিভাবে সঞ্চালিত হয়? উত্তর: তাপ সঞ্চালিত হয় তিন পদ্ধতিতে। যথাÑ পরিবহন, পরিচলন ও বিকিরণ। নিচে এ তিনটি পদ্ধতিতে তাপের সঞ্চালন ব্যাখ্যা করা হলোÑ পরিবহন: এ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনে পদাথের্র অণুগুলো তাদের নিজস্ব স্থান পরিবতর্ন করে না। শুধু কম্পনের মাধ্যমে এক অণু থেকে পাশের অণুতে তাপ সঞ্চালিত হয়। কঠিন পদাথের্ এ পদ্ধতিতে তাপ বেশি সঞ্চালিত হয়। পরিচলন: এ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনে পদাথের্র অণুগুলোর স্থান পরিবতর্ন করতে হয়। পদাথের্র অণুগুলো স্থান পরিবতের্নর মাধ্যমে উষ্ণতর অংশ হতে শীতলতর অংশে তাপ নিয়ে যায়। এ পদ্ধতিতে তাপ তরল ও বায়বীয় পদাথের্ সঞ্চালিত হয়। বিকিরণ: এ পদ্ধতিতে তাপ কোনো মাধ্যমের সাহায্য ছাড়াই সঞ্চালিত হয়। এ পদ্ধতিতে আমরা সূযর্ থেকে তাপ পেয়ে থাকি। প্রশ্ন. শক্তির অপচয় ঘটেÑ এমন ঘটনার কয়েকটি উদাহরণ দাও। উত্তর : অকারণে শক্তি ব্যয় করাকে শক্তির অপচয় বলে। শক্তির অপচয় ঘটে এমন কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ নিচে দেয়া হলোÑ ১. বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমনÑ বাতি, পাখা, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি অপ্রয়োজনে ছেড়ে রাখা। ২. ম্যাচের কাঠি বঁাচানোর জন্য গ্যাসের চুলা সব সময় জ্বালিয়ে রাখা। ৩. ত্রæটিপূণর্ যানবাহন চালানো। ৪. ট্রাফিক সিগন্যালে থাকা অবস্থায় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ না রাখা। ৫. অপ্রয়োজনে বাড়িঘরে আলোকসজ্জা করা। প্রশ্ন. শক্তির উৎস বলতে কী বোঝ? শক্তির কয়েকটি উৎসের নাম লেখ। উত্তর : প্রকৃতিতে শক্তি বিভিন্নরূপে অবস্থান করে। শক্তির এক একটি রূপ যে মাধ্যমে অবস্থান করে তাকেই শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণ অথের্, শক্তির উৎসগুলো হলো কয়লা, তেল, গ্যাস, খাদ্য, পানিপ্রবাহ, বায়ুপ্রবাহ, বৈদ্যুতিক ব্যাটারি, জেনারেটর ইত্যাদি। এসব থেকেই আমরা তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ ইত্যাদি পেয়ে থাকি। কিন্তু এসব শক্তির মূল উৎস হলো সূযর্। প্রশ্ন. শক্তি কী? দৈনন্দিন জীবনে শক্তির ৪টি ব্যবহার লেখ। উত্তর : কাজ করার সামথর্্যকে শক্তি বলে। দৈনন্দিন জীবনে শক্তির ৪টি ব্যবহার নিচে উল্লেখ করা হলোÑ ১. বিদ্যুৎশক্তি ও আলোকশক্তি ব্যবহার করে বাতি জ্বালানো। ২. তাপশক্তি ব্যবহার করে চুলায় রান্না করা। ৩. শব্দশক্তির ব্যবহার করে গান শোনা। ৪. বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক পাখা চালানো। প্রশ্ন. পদাথর্ কাকে বলে? পদাথের্র গঠন ও বৈশিষ্ট্য ৫টি বাক্যে ব্যাখ্যা কর। উত্তর : যার ওজন আছে, জায়গা দখল করে এবং বল প্রয়োগ করলে বাধা প্রদান করে তাকে পদাথর্ বলে। পদাথর্ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত, যার নাম পরমাণু বা অ্যাটম। অ্যাটম অথর্ অবিভাজ্য, অথার্ৎ পরমাণুসমূহ আর ভাঙা যায় না। সব পদাথর্ পরমাণু দ্বারা গঠিত। পদাথের্র ভিন্নতা নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ওপর নিভর্র করেÑ ১. প্রতিটি পদাথর্ ভিন্ন রকম পরমাণু দ্বারা গঠিত। ২. পরমাণুসমূহের পারস্পরিক বন্ধন ভিন্ন রকমের। প্রশ্ন. শক্তি কাকে বলে? শক্তি সংরক্ষণের উপায় সম্পকের্ ৪টি বাক্য লেখ। উত্তর : কাজ করার সামথর্্যকে শক্তি বলে। শক্তি সংরক্ষণের জন্য আমরা নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিÑ ১. রেডিও, টিভি, বাতি প্রভৃতি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজনে ব্যবহার করে অন্য সময় বন্ধ রাখব। ২. ত্রæটিপূণর্ যানবাহন বা যন্ত্রপাতি মেরামত করতে হবে। ৩. অপ্রয়োজনে যানবাহনের ইঞ্জিন বন্ধ রাখতে হবে। ৪. শক্তির অপচয় না করার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।