পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা প্রাথমিক বিজ্ঞান

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২১, ০০:০০

মো. মাসুদ খান, প্রধান শিক্ষক, ডেমরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
ঘনবসতি
আজ তোমাদের জন্য প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো প্রশ্ন: পরিবেশ দূষণ কী? কীভাবে বায়ুদূষণ ঘটে তা ৩টি বাক্যে বর্ণনা কর। উত্তর: আমাদের চারপাশের পরিবেশকে আমরা নানাভাবে ব্যবহার করি, যার ফলে পরিবেশে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এসব পরিবর্তন যখন আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয় তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলে। নিম্নলিখিত উপায়ে বায়ুদূষণ ঘটে থাকে- ১. অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ, শিল্পকারখানা স্থাপন, যানবাহন চালানো, ইটের ভাটায় ইট পোড়ানো ইত্যাদি কারণে বায়ু দূষিত হয়। ২. ঘনবসতি এলাকায় আবর্জনা ও মলমূত্র নিষ্কাশনের তেমন কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে বায়ুতে মিশে বায়ুদূষণ ঘটায়। ৩. জমিতে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছিটানোর সময় রাসায়নিক উপাদান বায়ুর সঙ্গে মিশে বায়ু দূষিত করে। প্রশ্ন: তোমাদের বাড়ির পুকুরের পানি দূষিত হলে পরিবারের ওপর কী প্রভাব পড়বে? ৫টি বাক্যে লেখ। উত্তর: আমাদের বাড়ির পুকুরের পানি দূষিত হলে আমাদের পরিবারের ওপর নিচের প্রভাবগুলো পড়বে- ১. পরিবারের সদস্যদের কলেরা, আমাশয়, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পেটের পীড়া দেখা দিতে পারে। ২. চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। ৩. গোসল করতে সমস্যা হবে। ৪. থালাবাসন ধুতে সমস্যা হবে। ৫. কাপড় কাচতে বা ধুতে সমস্যা হবে। প্রশ্ন: মনে কর তোমার গ্রামের কিছু পুকুরের পানি দূষিত হয়ে গেছে। গ্রামের অবশিষ্ট পুকুরগুলো দূষণের কবল থেকে রক্ষা করতে তুমি কী করবে? অথবা, পানি দূষণ রোধে তোমার প্রতিবেশীদের জন্য পাঁচটি পরামর্শ উলেস্নখ কর। উত্তর: গ্রামের অবশিষ্ট পুকুরগুলোকে দূষণের কবল থেকে রক্ষা করতে আমি নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করব- ১. গ্রামবাসীকে ওই পুকুরগুলোর পানিতে বাসন-কোসন মাজা, ময়লা কাপড় কাচা ও সাবান দিয়ে গোসল করতে নিষেধ করব। ২. গরু-মহিষ গোসল করাতে নিষেধ করব। ৩. বিশেষ করে পুকুরপাড়ের জমিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে নিষেধ করব। ৪. মরা ও পচা জীবজন্তু এবং জৈব আবর্জনা পানিতে ফেলতে নিষেধ করব। ৫. সব সময় স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেব। প্রশ্ন: নিরাপদ পানি কী? তোমাকে পুকুর, নদী বা ট্যাপের পানি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করতে বলা হলো। এ পানিকে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করতে তোমার অবলম্বনকৃত পদ্ধতি ৪টি বাক্যে বর্ণনা কর। উত্তর: যে পানি রোগজীবাণুমুক্ত এবং যা পানের উপযোগী তাকে নিরাপদ পানি বলে। যেমন- আর্সেনিকমুক্ত নলকূপের পানি, বৃষ্টির পানি ইত্যাদি। পুকুর, নদী বা ট্যাপের পানিতে নানারকম জীবাণু মিশে থাকে। এ পানিকে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করতে আমি ফুটানো পদ্ধতি অবলম্বন করব। এ প্রক্রিয়ায় পানি ফুটতে শুরু করার পর আরো ২০ মিনিট তাপ দিলে পানিতে থাকা জীবাণু মারা যায়। এরপর পানিকে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিলে তা পান করার জন্য নিরাপদ হয়।