অষ্টম শ্রেণির পড়াশোনা (বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়)

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২১, ০০:০০

সুধীরবরণ মাঝি, শিক্ষক, হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়, হাইমচর, চাঁদপুর য়
চিংড়িকে সাদা সোনা বলা হয়
আজ তোমাদের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো ২৪। হাফেজ একজন শ্রমিক। সে কারখানায় কাজ করে। ওই কারখানার কাঁচামাল স্থানীয় বন থেকে সংগৃহীত। পার্শ্ববর্তী নদী ওই কাঁচামাল এবং উৎপাদিত পণ্য পরিবহণে বেশ কাজে লাগে। কারখানার উৎপাদিত পণ্য শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে। ক) বাংলাদেশের কোন কোন এলাকায় চায়ের চাষ হচ্ছে? খ) সাদা সোনা কাকে বলে, কেন বলে? গ) উদ্দীপকে কোন শিল্পকে ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ) 'উদ্দীপকে উলিস্নখিত বিষয়গুলোর যথাযথ ব্যাবহারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব'- বিশ্লেষণ কর। উত্তর : ক) বাংলাদেশের সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রাম, দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে চায়ের চাষ হচ্ছে। খ) চিংড়িকে সাদা সোনা বলা হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চিংড়ি মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। যেসব খাত থেকে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে তার মধ্যে চিংড়ি অন্যতম। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রচুর চিংড়ি উৎপাদন করে এবং রপ্তানি করে। চিংড়ি দেখতে সাদা এবং এর মূল্য ও চাহিদা সোনার মতো, তাই চিংড়িকে সাদা সোনা বলা হয়। গ) উদ্দীপকে কাগজ শিল্পকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। কাগজ শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। স্থানীয় বাঁশ ও বেতকে ব্যবহার করে কাগজ উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৫৩ সালে চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী কাগজ কল স্থাপিত হওয়ার মধ্যদিয়ে এদেশে কাগজশিল্পের যাত্রা শুরু হয়। এদেশে সরকারি এবং বেসরকারি খাতে বেশ কয়েকটি কাগজ কল রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে কর্ণফুলী, পাকশি, খুলনা হার্ডবোর্ড ও নিউজপ্রিন্ট মিল ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে বসুন্ধরা ও মাগুরা পেপার মিল উলেস্নখযোগ্য কাগজ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে উৎপাদিত কাগজ অত্যন্ত মানসম্পন্ন। উদ্দীপকে বর্ণিত হাফেজ যে কারখানায় কাজ করে তার কাঁচামাল স্থানীয় বন থেকে সংগ্রহ করে। পার্শ্ববর্তী নদী ওই কাঁচামাল এবং উৎপাদিত পণ্য পরিবহণে বেশ কাজে লাগে। কারখানার উৎপাদিত পণ্য শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে। যা কাগজশিল্পকে নির্দেশ করে। ঘ) উদ্দীপকে উলিস্নখিত বিষয়গুলো তথা প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথা ব্যবহারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব-উক্তটি যথার্থ। উদ্দীপকে উলিস্নখিত বিষয়গুলো বন ও নদ-নদী প্রাকৃতিক সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের মাটি খুব উর্বর। এই উর্বর মাটি যথাযথভাবে ব্যবহার করলে কৃষি উৎপাদন অনেক বেড়ে যাবে। অন্যদিকে শিল্পায়নও করতে হবে পরিকল্পিতভাবে। কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। কৃষিকাজে নদী-খাল-বিল-হাওড়ের পানি সেচকাজে যথাযথভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে শুকনো মৌসুমেও কৃষি উৎপাদন অনেক অনেক সহজ হবে এবং আমাদের উৎপাদনও বেড়ে যাবে। বাড়িঘর ও আসবাবপত্র নির্মাণের জন্য বনজ সম্পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার তাপমাত্রা কমানোর জন্য বনজ সম্পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে পরিকল্পিতভাবে বনজ সম্পদ আরও বাড়াতে হবে। এই প্রাকৃতিক সম্পদগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে কৃষিশিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও সূচিত হবে। উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ এবং উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব। ২৫। ক) আদমজী পাটকল কত সালে যাত্রা শুরু করে? খ) প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বনের গুরুত্ব লিখ। গ) উক্ত চিত্রের 'অ' শিল্পটি ব্যাখ্যা কর। ঘ) তুমি কি মনে করো, 'ই' শিল্পটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও- বিশ্লেষণ কর। উত্তর : ক) ১৯৫১ সালে আদমজী পাটকল যাত্রা শুরু করে। খ) প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বনজ সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে গাছপালা বনের পাখি ও প্রাণিসম্পদ। গাছপালা বায়ুমন্ডলকে শীতল ও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে, ভূমির ক্ষয়রোধ এবং বন্যা প্রতিরোধেও গাছপালা সহায়তা করে। এ ছাড়া সাইক্লোন, টর্নেডোর মতো ঘূর্ণিঝড়...