দ্বিতীয় অধ্যায়
প্রশ্ন : বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব কে ছিলেন?
উত্তর : নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা।
প্রশ্ন : পলাশীর যুদ্ধ কত সালে সংগঠিত হয়েছিল?
উত্তর : ১৭৫৭ সালে।
প্রশ্ন : নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন কেন?
উত্তর : সেনাবাহিনীর প্রধান মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা, ক্ষমতালোভী খালা ঘষেটি বেগম, রায়দুর্লভ, জগৎশেঠের মতো ব্যবসায়ীদের বিশ্বাসঘাতকতা ও ষড়যন্ত্রের কারণে।
প্রশ্ন : বাংলায় ইংরেজদের আগমন ঘটে কেন?
উত্তর : ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য।
প্রশ্ন : ১৮৩১ সালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় একজন বিদ্রোহী নেতা পরাজিত ও নিহত হন তার নাম কী?
উত্তর : তিতুমীর।
প্রশ্ন : বাংলায় ১১৭৬ সালে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়। এ দুর্ভিক্ষ কী নামে পরিচিত?
উত্তর : 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর'
প্রশ্ন : ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কী?
উত্তর : ইংরেজি ১৭৭০ সালে (বাংলা ১১৭৬) এ দেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, যা বাংলার ইতিহাসে 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' নামে পরিচিত।
প্রশ্ন : 'ভাগ কর শাসন কর নীতি' কাদের? এ নীতির ফলে কী হয়েছিল?
উত্তর : ইংরেজদের। এ নীতির ফলে এ দেশের মানুষের মধ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং অঞ্চলভেদে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল।
প্রশ্ন : ইংরেজ বণিকদের বাণিজ্য সংস্থার নাম কী ছিল?
উত্তর : ইংরেজ বণিকদের বাণিজ্য সংস্থার নাম ছিল 'ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি'।
প্রশ্ন : কখন পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়?
উত্তর : ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
প্রশ্ন : কখন সিপাহি বিদ্রোহ দেখা দেয়?
উত্তর : ১৮৫৭ সালে কোম্পানির নীতি ও শোষণের বিরুদ্ধে সিপাহি বিদ্রোহ দেখা দেয়।
প্রশ্ন : বাঁশের কেলস্না কে নির্মাণ করেন?
উত্তর : তিতুমীর বাঁশের কেলস্না নির্মাণ করেন।
প্রশ্ন : সিপাহি বিদ্রোহের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন?
উত্তর : মঙ্গল পান্ডে।
প্রশ্ন : সিপাহি বিদ্রোহের দুটি কারণ লেখ।
উত্তর : সিপাহি বিদ্রোহের দুটি কারণ হলো-
ক. বন্দুকের কার্তুজ পিচ্ছিল করার জন্য গরু ও শূকরের চর্বি ব্যবহারের গুজব।
খ. ভারতের বিভিন্ন এলাকার সৈন্যদের মধ্যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়া।
প্রশ্ন : ভারতীয়দের জাতীয় চেতনা প্রসারের জন্য একটি দল গঠন করা হয়। দলটির নাম কী ও কখন গঠিত হয়?
উত্তর : দলটির নাম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। এটি গঠিত হয় ১৮৮৫ সালে।
প্রশ্ন : বঙ্গভঙ্গ কত সালে হয়?
উত্তর : ১৯০৫ সালে।
প্রশ্ন : ইংরেজরা ভারত ত্যাগ করে কখন?
উত্তর : ১৯৪৭ সালে।
তৃতীয় অধ্যায়
প্রশ্ন : বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নির্দশনগুলো থেকে আমরা কী জানতে পারি?
উত্তর : অতীতের সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারি।
প্রশ্ন : উয়ারী ও বটেশ্বর গ্রাম দুটি কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর : নরসিংদী।
প্রশ্ন : সোমপুর মহাবিহার কোন রাজার আমলে নির্মিত হয়?
উত্তর : রাজা ধর্মপাল।
প্রশ্ন : সোমপুর মহাবিহার বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর : নওগাঁ জেলায়।
প্রশ্ন : গিয়াসউদ্দীন আযম শাহের মাজার কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : সোনারগাঁও।
প্রশ্ন : লোকশিল্প জাদুঘর কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
প্রশ্ন : সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্রের নাম কী?
উত্তর : শাহাজাদা মোহাম্মদ আযম শাহ্।
প্রশ্ন : লালবাগ কেলস্না কত সালে নির্মাণ করা হয়?
উত্তর : ১৬৭৮ সালে।
প্রশ্ন : মহাস্থানগড় কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : মহাস্থানগড় বগুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত।
প্রশ্ন : ব্রাক্ষী শিলালিপির নিদর্শন কোথায় পাওয়া গেছে?
উত্তর : মহাস্থানগড়ে।
প্রশ্ন : ময়নামতি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : ময়নামতি কুমিলস্না শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
প্রশ্ন : লোকশিল্প জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : লোকশিল্প জাদুঘর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত।
প্রশ্ন : লালবাগ দুর্গ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : লালবাগ দুর্গ বর্তমান পুরান ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী স্থানে অবস্থিত।
প্রশ্ন : আহসান মঞ্জিল কে নির্মাণ করেন?
উত্তর : মুঘল আমলে বরিশালের জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতউলস্নাহ আহসান মঞ্জিল নির্মাণ করেন।
চতুর্থ অধ্যায়
প্রশ্ন : বাংলাদেশের কৃষিজাত দ্রব্যগুলোকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : বাংলাদেশের কৃষিজাত দ্রব্যগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।