আজ তোমাদের জন্য সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো
চতুর্থ অধ্যায়
প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রধান কৃষিজাত ফসল কী?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান কৃষিজাত ফসল ধান।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে কয় ধরনের ধান হয়?
উত্তর : বাংলাদেশে তিন ধরনের ধান হয়। যথা- আউশ, আমন ও বোরো।
প্রশ্ন : পাটকে কী বলা হয়?
উত্তর : পাটকে সোনালি আঁশ বা এড়ষফবহ ঋরনবৎ বলা হয়।
প্রশ্ন : বর্তমানে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প কোনটি?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প পোশাকশিল্প।
প্রশ্ন : চাষাবাদের জন্য আমাদের দেশের মাটি উপযোগী কেন?
উত্তর : বাংলাদেশ একটি উর্বর ব-দ্বীপ অঞ্চল বলে।
প্রশ্ন : জাতীয় অর্থনীতির কত ভাগ কৃষি থেকে আসে?
উত্তর : শতকরা ২০ ভাগ।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের কত ভাগ লোক চাষাবাদের ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর : ৮০ ভাগ।
প্রশ্ন : অর্থকরী ফসল কাকে বলে?
উত্তর : যে সব কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হয় তাকে অর্থকরী ফসল বলে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে চা বেশি উৎপন্ন হয়?
উত্তর : সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে।
প্রশ্ন : পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয় কেন?
উত্তর : পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এ জন্য পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়।
প্রশ্ন : তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করার কারণ কী? দুটি বাক্য লেখ।
উত্তর : ক. স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় খ. জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাওয়ায়।
প্রশ্ন : ঘোড়াশালে কোন ধরনের শিল্প-কারখানা অবস্থিত?
উত্তর : সার কারখানা।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের দুটি বৃহৎ শিল্পের নাম লেখ।
উত্তর : সার ও সিমেন্ট শিল্প।
প্রশ্ন : কুটির শিল্প কী?
উত্তর : যখন কোন পণ্য ক্ষুদ্র-পরিসরে খুব অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন সেটিকে কুটির শিল্প বলে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের দুটি কুটির শিল্পের নাম লিখ।
উত্তর : কাঠ শিল্প ও কাঁসা শিল্প।
প্রশ্ন : টাঙ্গাইল জেলার কাগমারি কোন শিল্পের জন্য বিখ্যাত?
উত্তর : কাঁসা শিল্প।
পঞ্চম অধ্যায়
প্রশ্ন : মৌলিক চাহিদা কয়টি?
উত্তর : মৌলিক চাহিদা পাঁচটি। যথা- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা।
প্রশ্ন : কৃষিজমির পরিমাণ কেন কমে যাচ্ছে?
উত্তর : অতিরিক্ত জনসংখ্যার বসতি স্থাপনের কারণে কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
প্রশ্ন : নারী উন্নয়নের জন্য কিসের প্রসার দরকার?
উত্তর : নারী উন্নয়নের জন্য নারী শিক্ষার প্রসার দরকার।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের চিরচেনা পরিবেশ ও জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে কেন?
উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এ দেশের চিরচেনা পরিবেশ ও জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে।
প্রশ্ন : শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির পূর্বশর্ত কী?
উত্তর : শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির পূর্বশর্ত হলো শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের কর্মক্ষমতা ও গুণগত মান বৃদ্ধি।
প্রশ্ন : কিসের ওপর মূলধন ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নির্ভর করে?
উত্তর : দক্ষ জনসম্পদের ওপর মূলধন ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নির্ভর করে।
প্রশ্ন : গৃহহীন মানুষ শহরে চলে আসে কেন?
উত্তর : নিরাপত্তা ও কাজের খোঁজে।
প্রশ্ন : পরিবেশের ওপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার দুটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
উত্তর : ক. অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য বেশি বাসস্থানের প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে কৃষিজমির পরিমাণ কমে যায়।
খ. বেশি ফসল ফলাতে গিয়ে জমিতে প্রচুর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করায় পুকুর এবং নদীর পানি দূষিত হয়।
প্রশ্ন : জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে কীভাবে দেশ সমৃদ্ধশালী হচ্ছে?
উত্তর : বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে।
প্রশ্ন : সরকার কর্মক্ষম জনগণের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এর মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর : দক্ষ জনশক্তি তৈরি।
প্রশ্ন : জনসংখ্যা সমস্যার দুটি সমাধান লেখ।
উত্তর : জনসংখ্যা সমস্যার দুটি সমাধান হলো-
ক. শিক্ষার মান উন্নত করা, যাতে জনগণ দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত হয়।
খ. তুলনামূলক দক্ষ জনসম্পদকে বিদেশে রপ্তানি করা।