প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয়পত্র থেকে বাক্য সংক্ষেপণ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

নবম ও দশম শ্রেণির পড়াশোনা

যা জলে ও স্থলে চরে

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

তাহের সিদ্দিকী, শিক্ষক আগ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়, নাটোর য়
বাক্য সংক্ষেপণ একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে তাকে বাক্য সংক্ষেপণ বলে। এটি বাক্য সংকোচন বা এককথায় প্রকাশেরই নামান্তর। এখানে বাক্য সংকোচনের উদাহরণ দেয়া গেল। বাক্য সংক্ষেপণের বা বাক্য সংকোচনের উদাহরণ যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই - অকুতোভয়। যার আকার কুৎসিত - কদাকার। যা বিনা যতেœ লাভ করা গিয়েছে - অযতœলব্ধ। যা বার বার দুলছে - দোদুল্যমান। যা দীপ্তি পাচ্ছে - দেদীপ্যমান। যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না এমন - অনন্যসাধারণ। যা পূবের্ দেখা যায়নি এমন - অদৃষ্টপূবর্। যা কষ্টে জয় করা যায় - দুজর্য়। যা কষ্টে লাভ করা যায় - দুলর্ভ। যা অধ্যয়ন করা হয়েছে - অধীত। যা জলে চরে - জলচর। যা স্থলে চরে - স্থলচর। যা জলে ও স্থলে চরে -উভচর। যা বলা হয়নি - অনুক্ত। যা কখনো নষ্ট হয় না - অবিনশ্বর। যা মমর্ স্পশর্ করে - মমর্স্পশীর্ যা বলার যোগ্য নয় - অকথ্য। যা অতি দীঘর্ নয় - নাতিদীঘর্। যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না - অজ্ঞাতকুলশীল। যার প্রকৃত বণর্ ধরা যায় না - অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য। যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু - বন্ধুর। যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয় - ব্যয়বহুল। যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয় - নাতিশীতোষ্ণ। যার বিশেষ খ্যাতি আছে - বিখ্যাত। যা আঘাত পায়নি - অনাহত। যা উদিত হচ্ছে - উদীয়মান। যার অন্য উপায় নেই - অনন্যোপায়। যার কোনো উপায় নেই - নিরুপায়। যা ক্রমশ বধির্ত হচ্ছে - বধির্ষ্ণু। যা পূবের্ শোনা যায়নি - অশ্রæতপূবর্। যে শুনেই মনে রাখতে পারে - শ্রæতিধর। যে বস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে - উদ্বাস্তু। যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় - স্বয়ংবরা। যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না - বনস্পতি। যে রোগ নিণর্য় করতে হাতড়ে মরে - হাতুড়ে। যে নারীর সন্তান বঁাচে না - মৃতবৎসা। যে গাছ কোনো কাজে লাগে না - আগাছা। যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বঁাচে - পরগাছা। যে পুরুষ বিয়ে করেছে - কৃতদার। যে মেয়ের বিয়ে হয়নি - অনূঢ়া। যে ক্রমাগত রোদন করছে - রোরুদ্যমান। যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না - অপরিণামদশীর্। যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে - অবিমৃশ্যকারী।