পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

আতাউর রহমান সায়েম, সহকারী শিক্ষক, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখো: শুনিতেছিল, ছুড়িতে, বসিয়া, বলিল, চাহিয়াছিল। উত্তর : সাধু রূপ চলিত রূপ শুনিতেছিল শুনছিল ছুড়িতে ছুড়তে বসিয়া বসে বলিল বলল চাহিয়াছিল চেয়েছিল \হনিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখো। আদর, আগুন, ঘুম, দোকান, বাবা। উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ আদর - স্নেহ, মমতা। আগুন - অনল, অগ্নি। ঘুম - তন্দ্রা, নিদ্রা। দোকান - আপণ, বিপণি। বাবা - আব্বা, পিতা। নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখো। বন্ধ, কেনা, মুক্তি, ডোবা, দ্রম্নত, সহজ, জন্ম, কান্না, ভরা, যুদ্ধ, দূর, শুকনো। উত্তর : মূল শব্দ বিপরীত শব্দ বন্ধ - খোলা ডোবা - ভাসা কেনা - বেচা দ্রম্নত - ধীরে মুক্তি - বন্ধন সহজ - কঠিন জন্ম - মৃতু্য কান্না - হাসি যুদ্ধ - শান্তি শুকনো - ভেজা অধ্যায় : দুই তীরে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : ১) কখন, কোথায় কাশফুল ফোটে? উত্তর : শরৎকালে নদীতীরের চারপাশে কাশফুল ফোটে। ২) নদীর বালুচরে কোন কোন প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়? উত্তর : নদীর বালুচরে চকাচকি, বিদেশি হাঁস, কচ্ছপ ইত্যাদি প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়। ৩) বাঁকা গলির দুই ধারে বেণুবন কেমন করে থাকে? উত্তর : বাঁকা গলির দুই ধারে বেণুবন নিবিড়ভাবে পরস্পর জড়াজড়ি করে থাকে। ৪) সকাল-সন্ধ্যায় নদীর ঘাটে কী ঘটে? উত্তর : সকাল-সন্ধ্যা নদীর ঘাটে গ্রামের বধূরা ভিড় করে। ছেলের দল নদীতে ভেলা ভাসিয়ে ভেসে বেড়ায়। ৫) কোন কালে কচ্ছপেরা রৌদ্র পোহায়? উত্তর : শীতকালে কচ্ছপেরা রৌদ্র পোহায়। ৬) ঘাটে বধূর মেলা বলতে কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর : নদীর ঘাটে গ্রামের বধূরা সারাদিনই নানা কাজে আসে। কেউ পানি নেয়, কেউ কাপড় ধোয়। তারা পরস্পর কথা বলে, আনন্দ করে। দেখে মনে হয় ঘাটে যেন বধূদের মেলা বসেছে। ৭) দুই তীরে কবিতায় ওই পারের বনটি কেমন? \হউত্তর : দুই তীরে কবিতায় নদীর ওই পারের বনটি গাছের পাতার ঘন ছায়ায় ঘেরা। বন থেকে ছোট একটি রাস্তা এসে মিশেছে নদীতে। সে রাস্তার দুই ধারে বাঁশবাগান পরস্পর জড়াজড়ি করে অবস্থান করছে। ৮) সকাল-সন্ধ্যায় ছেলের দল কী করে? উত্তর : সকাল-সন্ধ্যায় ছেলের দল নদীতে ভেলা ভাসিয়ে ভেসে বেড়ায়। ৯) তটের চারপাশে কী ফোটে? উত্তর : তটের চারপাশে কাশফুল ফোটে। ১০) ওই পারের বনটি কিসে ঘেরা? বনের রাস্তাটি কেমন? উত্তর : নদীর ঐ পারের বনটি গাছের পাতার ঘন ছায়ায় ঘেরা। বন থেকে ছোট একটি রাস্তা এসে মিশেছে নদীতে। সে রাস্তার দুই ধারে বাঁশবাগান পরস্পর জড়াজড়ি করে অবস্থান করছে। ১১) নদীর বালুচরে কখন কোন পাখি দেখা যায়? উত্তর : নদীর বালুচরে শরৎকালে নীড় বাঁধে চকাচকিরা। আর শীতকালে দেখা মেলে নানা রকম বিদেশি হাঁসের। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : তরুছায়া বেষ্টিত সবুজ গ্রাম। গ্রামের পাশেই বন। বনে নানা রকমের গাছপালা। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি নদী। নদীর দু'পাশে রাস্তার ধারে বাঁশবন। গ্রামের মানুষ নদী থেকে পানি নিয়ে আসে। নদীতে চলে বিভিন্ন ধরনের নৌযান। আবার এই নদীতেই খরা মৌসুমে জেগে ওঠে চর। সকাল-সন্ধ্যা চরে এসে ভিড় জমায় নানা পশুপাখি। নদী, বন, গাছপালা সব কিছু মিলিয়ে গ্রামটি খুব সুন্দর।