শব্দের কথা
২০. শ্রম্নতিপূর্ব শব্দ কী?
উত্তর : বস্তুতে কম্পন সংখ্যা সেকেন্ডে ২০-এর চেয়ে কম হলে যে শব্দ তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, সে শব্দ তরঙ্গকে শ্রম্নতিপূর্ব শব্দ বলে।
২১. শ্রাব্য শব্দ কাকে বলে?
উত্তর : যে শব্দ শুনতে পাওয়া যায় তাকে শ্রাব্য শব্দ বলে। শ্রাব্য শব্দের কম্পাঙ্ক ২০ থেকে ২০,০০০ হার্জ। শ্রাব্য শব্দ মানুষ শুনতে পায়।
২২. অশ্রাব্য শব্দ কাকে বলে?
উত্তর : যে শব্দ শুনতে পাওয়া যায় না তাকে অশ্রাব্য শব্দ বলে। অশ্রাব্য শব্দের কম্পাঙ্ক ২০ হার্জের কম এবং ২০,০০০ হার্জের বেশি হয়। এ শব্দ কুকুর, বাদুড়, মাকড়সা ইত্যাদি প্রাণী শুনতে পায়।
২৩. সুশ্রাব্য শব্দ কী? সুশ্রাব্য শব্দ কীভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর : যে শব্দ শুনতে ভালো লাগে, সুখকর, মধুর ও আনন্দদায়ক তাদের সুশ্রাব্য শব্দ বলে। বস্তুর নিয়মিত বা সুষম কম্পনের ফলে সুশ্রাব্য শব্দ উৎপন্ন হয়। যেমন-
গানের সুর, বাঁশির সুর ইত্যাদি।
২৪. নয়েজ কাকে বলে? নয়েজ কীভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর : যে শব্দ শুনতে কষ্ট লাগে, যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকর তাদের নয়েজ বা গোলমাল বলে। বস্তুর অনিয়মিত বা অসম কম্পনের ফলে নয়েজ উৎপন্ন হয়। পেরেক ঠোকার শব্দ, নির্মাণ কাজের শব্দ ইত্যাদি।
২৫. শ্রম্নতি উত্তর শব্দ কাকে বলে?
উত্তর : যে শব্দের কম্পাঙ্ক ২০,০০০ হার্জের বেশি, সেই শব্দকে শ্রম্নতি উত্তর শব্দ বলে। এ শব্দ আমরা শুনতে পাই না। আমরা শুনতে পাই না বলেই, এরকম শব্দকে শ্রম্নতি উত্তর শব্দ বলে।
২৬. শব্দের বেগ কাকে বলে?
উত্তর : শব্দ কোনো নির্দিষ্ট দিকে প্রতি সেকেন্ডে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে শব্দের বেগ বলে।
২৭. শব্দ সঞ্চালন কী?
উত্তর : শব্দ সঞ্চালন হলো শব্দের উৎপত্তিস্থল থেকে অন্য স্থানে চলাচল করা।
২৮. শব্দদূষণ কী?
উত্তর : পরিবেশে যখন অতিরিক্ত ও অবাঞ্ছিত শব্দের আধিক্য থাকে, তখন তাকে শব্দদূষণ বলা হয়।
২৯. অ্যালুমিনিয়ামে শব্দের বেগ কত?
উত্তর : অ্যালুমিনিয়ামে শব্দের বেগ ৬৪২০ মিটার/সেকেন্ড।
৩০. শব্দের উৎস কী?
উত্তর : কম্পনশীল যে বস্তু শব্দ সৃষ্টি করে, তাই শব্দের উৎস।
৩১. সাইলেনসার কী?
উত্তর : সাইলেনসার হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যা উৎপন্ন শব্দকে বাইরে যেতে দেয় না।
৩২. শ্রম্নতি-পূর্ব ও শ্রম্নতি-উত্তর শব্দ কাকে বলে?
উত্তর : যে শব্দের কম্পাঙ্ক ২০ হার্জের কম। সেই শব্দকে শ্রম্নতি-পূর্ব শব্দ বলে। এ শব্দ আমরা শুনতে পাই না। আর যে শব্দের কম্পাঙ্ক ২০,০০০ হার্জের বেশি, সেই শব্দকে শ্রম্নতি উত্তর শব্দ বলে। এ শব্দ আমরা শুনতে পাই না।
৩৩. শব্দোত্তর শব্দ কাকে বলে? শব্দোত্তর শব্দের ব্যবহার লিখ।
উত্তর : ২০,০০০ কম্পাঙ্কের উপরের শব্দকে শব্দোত্তর বা শ্রবণোত্তর বলে। শব্দোত্তর শব্দের ব্যবহার :
১. সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়ে।
২. কাপড়ের ময়লা পরিষ্কার করতে।
৩. রোগ নির্ণয়ে।
৪. চিকিৎসা ক্ষেত্রে।
৫. বিভিন্ন প্রাণী চলার জন্য যেমন- বাদুড়, মৌমাছি, কুকুর ও হাতি শব্দোত্তর শব্দ ব্যবহার করে থাকে।