নবম-দশম শ্রেণির অর্থনীতি

আজ তোমাদের জন্য জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০২২, ০০:০০

তাহের সিদ্দিকী, শিক্ষক আগ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়, নাটোর
অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারাসমূহ ৪. উৎপত্তির দিক থেকে সম্পদকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? উত্তর : উৎপত্তির দিক থেকে সম্পদকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। ৫. সঞ্চয়ের সূত্র লেখ। উত্তর : সঞ্চয়ের সূত্রটি হলো- ঝ= ণ-ঈ। (এখানে, ঝ= সঞ্চয়, ণ= আয়,ঈ= ভোগ ব্যয়)। ৬. অর্থনৈতিক সম্পদ কাকে বলে? উত্তর : অর্থনীতিতে সম্পদ হলো সে সব জিনিস বা দ্রব্য যেগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হয়। সংক্ষেপে আমরা এ দ্রব্যগুলোকে অর্থনৈতিক দ্রব্যও বলে থাকি। যেমন : ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, টিভি ইত্যাদি দৃশ্যমান বস্তুগত সম্পদ এবং ডাক্তারের সেবা, শিক্ষকের পাঠদান ইত্যাদি অদৃশ্যমান বা অবস্তুগত সম্পদ। উলিস্নখিত জিনিসগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হবে। ৭. অর্থনীতিতে সম্পদের বৈশিষ্ট্য লিখ। উত্তর : কোনো জিনিসকে যদি অর্থনীতিতে সম্পদ বলতে হয় তবে তার চারটি বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : ক. উপযোগ খ. অপ্রাচুর্যতা গ. হস্তান্তরযোগ্য ঘ. বাহ্যিকতা। ৮. সম্পদের শ্রেণিবিভাগ লিখ। উত্তর : উৎপত্তির দিক থেকে সম্পদ তিন প্রকার। যথা : ১. প্রাকৃতিক সম্পদ; ২. মানবিক সম্পদ; ৩. উৎপাদিত সম্পদ। ৯. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদগুলো কী কী? উত্তর : বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। উন্নয়নের সাথে দেশের অর্থনৈতিক সম্পদের বিশেষ সম্পর্ক থাকে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদের মধ্যে রয়েছে : ১. কৃষি সম্পদ; ২. খনিজ সম্পদ; ৩. বনজ সম্পদ; ৪. প্রাণিজ সম্পদ; ৫. শক্তি সম্পদ; ৬. পানি সম্পদ প্রভৃতি। ১০. দ্রব্য বলতে কি বোঝ? উত্তর : অর্থনীতিতে যে জিনিসের উপযোগ আছে তাই দ্রব্য। অর্থনীতিতে এ সব দ্রব্যকে আবার অবাধলভ্য দ্রব্য, অর্থনৈতিক দ্রব্য; ভোগ্য দ্রব্য; মধ্যবর্তী দ্রব্য; চূড়ান্ত দ্রব্য; মূলধনী দ্রব্য প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যে ভাগ করা হয়। ১১. সুযোগ ব্যয় কী? উত্তর : অর্থনীতিতে বহুল ব্যবহৃত একটি ধারণা 'সুযোগ ব্যয়'। কোনো একটি জিনিস পাওয়ার জন্য অন্যটিকে ত্যাগ করতে হয়- এই ত্যাগকৃত পরিমাণই হলো অন্য দ্রব্যটির 'সুযোগ ব্যয়' (ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ঈড়ংঃ)। ১২. আয় কী? উত্তর: উৎপাদনের কোনো উপকরণ ব্যবহারের জন্য উপকরণটি বা এটির মালিক একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে অর্থ পায় তাকে আয় বলে। ১৩. মজুরি কী? উত্তর : শ্রমের জন্য প্রাপ্ত আয়কে মজুরি বলে।