প্রশ্ন: বিযোজন ও বিয়োজন বিক্রিয়া একই বিক্রিয়া নয় কেন ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: র. বিযোজন বিক্রিয়া (উবপড়সঢ়ড়ংরঃরড়হ জবধপঃরড়হ):
যে প্রক্রিয়ায় তাপ রাসায়নিক পদার্থ বা জৈবিক পদার্থের প্রভাবে একটি যৌগ ভেঙে দুই বা ততোধিক ভিন্ন পদার্থে পরিণত হয় তাকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে।
যেমন : চুনাপাথরকে উত্তপ্ত করলে তা বিযোজিত হয়ে চুন (ঈধঙ) কার্বন-ডাইঅক্সাইডে পরিণত হয়।
ঈধঈঙ৩্যঈধঙ+ ঈঙ২
তাপ প্রয়োগের ফলে বিক্রিয়াটি সংঘটিত হয় কিন্তু কক্ষ তাপমাত্রায় ঈধঙ ও
একত্রে রেখে দিলে তা পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে না।
অর্থাৎ বিযোজন বিক্রিয়া সাধারণত একমুখী বিক্রিয়া।
তাপের প্রভাবে যে বিযোজন বিক্রিয়া সংঘটিত হয় তাকে তাপীয় বিযোজন (ঞযবৎসধষ উবপড়সঢ়ড়ংরঃরড়হ) বলে। যেমন-
ঘঐ৪ঈষ- ঘঐ৩ +ঐঈষ
আলোর উপস্থিতিতে যে বিযোজন বিক্রিয়া সংঘটিত হয় তাকে আলোক বিযোজন (চযড়ঃড়ষুংরং) বলে। যেমন-
২ঐঈষ ্য ঐ২+ ঈষ২
রর. বিয়োজন বিক্রিয়া (উরংংড়পরধঃরড়হ জবধপঃরড়হ) :
যে প্রক্রিয়ায় কোনো যৌগিক পদার্থ জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নে পরিণত হয় কিন্তু দ্রাবক (জলীয় দ্রবণ) সরিয়ে নিলে আয়নসমূহ পুনরায় সংযোজিত হয়ে মূল যৌগ গঠন করে তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে।
যেমন-ঘধঈষ ্যঘধ+ + ঈষ-
অর্থাৎ বিয়োজন বিক্রিয়া একটি উভমুখী বিক্রিয়া।
তাহলে আমরা বলতে পারি বিযোজন বিক্রিয়া ও বিয়োজন বিক্রিয়া এক নয়।
\হ
সৃজনশীল অংশ
নিম্নলিখিত বিক্রিয়ার আলোকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১. অষঈষ৩ +ঐ২ঙ ্যঅষ(ঙঐ)৩ +ঐঈষ
২. ঐঈষ+ঘধঙঐ্যঘধঈষ+ ঐ২ঙ+
(-৫৭.৩ কঔ)
ক. খব-ঈযধঃবষরবৎ'ং চৎরহপরঢ়ষব কী?
খ. 'বিক্রিয়ার সাম্যবস্থার উপর প্রভাবকের কোনো প্রভাব নেই'- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত ১নং বিক্রিয়াটি একাধিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ সমীকরণসহ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উলিস্নখিত ২-নং বিক্রিয়াটিতে প্রশমনতাপ ধ্রম্নব থাকার কারণ-ব্যাখ্যা করো।
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর
কোনো বিক্রিয়ার সাম্যবস্থায় থাকাকালে যদি তাপ, চাপ, ঘনমাত্রা ইত্যাদি পরিবর্তন করা হয় তবে সাম্যের অবস্থান এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যেন তাপ, চাপ, ঘনমাত্রা ইত্যাদির পরিবর্তনের ফলাফল প্রশমিত হয়।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর :
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো উভমুখী বিক্রিয়া প্রভাবকের উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে যেভাবেই সম্পন্ন হোক না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই বিক্রিয়ার সাম্যবস্থায় বিক্রিয়া মিশ্রণের সংযুক্তি অনুরূপ হয়, ফলে উভয়ক্ষেত্রে সাম্যধ্রম্নবকের মান সমান হয়। এর কারণ প্রভাবকের উপস্থিতিতে উভমুখী বিক্রিয়ার সম্মুখ ও বিপরীত বিক্রিয়ার বেগ সমমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রিয়ার সাম্যবস্থায় পৌঁছানোকে ত্বরান্বিত করে। প্রভাবক ব্যবহার করে উৎপাদ পদার্থের উৎপাদন বাড়ানো বা কমানো যায় না। তাই বলা যায়, বিক্রিয়ার সাম্যবস্থার উপর প্রভাবকের এর কোনো প্রভাব নেই।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর
উদ্দীপকে উলিস্নখিত বিক্রিয়াটি হলো-
অষঈষ৩ +ঐ২ঙ্যঅষ(ঙঐ)৩ +ঐঈষ
উদ্দীপকে উলিস্নখিত বিক্রিয়াটি একাধারে একাধিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ কারণ আমরা জানি, একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া
একাধিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ হতে পারে ঠিক তেমনি- উলিস্নখিত বিক্রিয়াটি যে সব রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ তা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো-
বিক্রিয়াটি আর্দ্রবিশ্লেষণ কারণ আমরা জানি, যে সব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পানির দুই অংশ অপর যোগের বিপরীত অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ গঠন করে তাই হলো আর্দ্রবিশ্লেষণ, উলিস্নখিত বিক্রিয়াটি আয়ন উলেস্নখপূর্বক নিম্নরূপ-
(অষ৩+ +৩ঈষথ )+(ঐ+ +ঙঐথ ) ্য (ঐ+ + ঈষথ )+( অষ৩ +৩ঙঐথ)
বিক্রিয়াটিতে অ্যালুমিনিয়াম আয়ন পানির বিপরীত আয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন করে। আবার পানির ধনাত্মক অংশ আয়নিক যৌগের ঋণাত্মক অংশের সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন যৌগ ঐঈষ উৎপন্ন করে
অতএব, বিক্রিয়াটি আর্দ্রবিশ্লেষণ।
বিক্রিয়াটি অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া কারণ- আমরা জানি, কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপাদের কোনো একটি যদি দ্রাবককে অদ্রবণীয় অবস্থায় থাকে অর্থাৎ কঠিন হিসেবে তলানি পড়ে তাহলে এটি অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া হয়। উলিস্নখিত বিক্রিয়ার একটি উদাহরণ নিম্নে তা দেখানো হলো-
অষঈষ৩(ধয়) + ঐ২ঙ্যঅষ(ঙঐ)৩ (ং) + ঐঈষ(ধয়)
এখানে অষ(ঙঐ)৩(ং) পানিতে অদ্রবণীয় হওয়াই উলিস্নখিত বিক্রিয়াটি হলো- একটি অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া উদাহরণ। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়