বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অষ্টম শ্রেণির পড়াশোনা বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়

আজ তোমাদের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো
সুধীরবরণ মাঝি, শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়, হাইমচর, চাঁদপুর
  ১৮ মে ২০২২, ০০:০০

পঞ্চম অধ্যায়

৩। জাহিদ ধীরে ধীরে বড় হয় এবং শহরের আধুনিক সব সুবিধা ভোগ করে। সে দেশি-বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে ই-মেইল, ফেসবুক, স্কাইপি, টুইটার, ইউটিউব, মোবাইল ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ করে ও তথ্য আদান-প্রদান করে রাত জেগে আড্ডা দেয়।

ক) টুইটার কী?

খ) সামাজিকীকরণ বলতে কী বোঝায়?

গ) উদ্দীপকে সামাজিকীকরণের যে মাধ্যমটি সম্পর্কে ইঙ্গিত করা হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।

ঘ) 'উক্ত মাধ্যমের অপব্যবহার সামাজিকীকরণে নেতিবাচক ভূমিকা রাখে"- বিশ্লেষণ করো।

উত্তর :

ক) টুইটার হলো ইন্টারভিত্তিক একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

খ) সামাজিকীকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একজন শিশু ক্রমেই সামাজিক মানুষে পরিণত হয়। সামাজিকীকরণ একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। মূলত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যক্তি একপর্যায় থেকে অন্যপর্যায়ে প্রবেশ করে। ফলে নতুন নিয়মকানুন, রীতি-নীতি ও নতুন পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে তাকে খাপ খাইয়ে চলতে হয়, যা সামাজিকীকরণের মাধ্যমেই সম্ভব হয়। নতুন পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে তাকে খাপ খাইয়ে চলতে চেষ্টার প্রক্রিয়াই হলো সামাজিকীকরণ।

গ) উদ্দীপকে সামাজিকীকরণের যে মাধ্যমটি সম্পর্কে ইঙ্গিত করা হয়েছে তা হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট, ফেসবুক, স্কাইপি, টুইটার ইত্যাদি। যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা যায় তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। যেমন- ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশ বা দেশের বাইরে পারস্পরিক যোগাযোগকে সহজ করে দিয়েছে। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ভাব বিনিময়, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধি, চুক্তি ইত্যাদি এখন ঘরে বসেই করা যায়। এভাবে ব্যক্তির সামাজিকীকরণে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আবার মেধা ও চিন্তার বিকাশে ই-মেইল, ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে পণ্য লেনদেন কারার জন্য ই-কমার্স খুবই জনপ্রিয়। ফেসবুক, স্কাইপি, টুইটারের সাহায্যে খুব সহজে দেশ বা বিদেশে যে কোনো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব করা যায়। সেই সঙ্গে মতামত ও ছবি বিনিময় করা যায়। এভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট সামাজিকীকরণে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ঘ) উক্ত মাধ্যম অর্থাৎ ইন্টারনেটের অপব্যবহার সামাজিকীকরণে অত্যন্ত নেতিবাচক ভূমিকা রাখে বক্তব্যটি যথার্থ। বিজ্ঞানের অন্য অনেক আবিষ্কারের মতো ইন্টারনেট, ফেসবুক, স্কাইপি, টুইটারেরও কিছু নেতিবাচক ও মন্দ দিক আছে। এগুলোর অপব্যবহার ব্যক্তি ও সমাজ দুইয়ের জন্যই মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আজকাল তরুণ সমাজের ওপর ইন্টারনেট, ফেসবুক, স্কাইপির নেতিবাচক প্রভাবের কথা শোনা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে সারা পৃথিবীর ভালো-মন্দ দিক সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা যায়। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহারের সময় যেমন নষ্ট হয়, অর্থের অপচয় হয়, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, তেমনি নেতিবাচক বিষয় চর্চার মধ্যদিয়ে মন্দের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। তাতে অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে যায়, অশ্লীলতা ও অপসংস্কৃতি বেড়ে যায়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, স্কাইপি, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার ইত্যাদিতে কুরুচিপূর্ণ ছবি পাঠিয়ে কিংবা মন্তব্য করে মানহানি, হানাহানি, জ্বালওপোড়াওর মতো ঘটনাও আজকাল প্রায়ই ঘটছে। মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ মেসেজের মাধ্যমে নারীদের যৌন নিপীড়ন করা হয় আবার অপরাধীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার ফলে ব্যক্তির সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে।

পরিশেষে বলা যায়, ইন্টারনেট, ফেসবুক, স্কাইপি, টুইটার ইত্যাদির অপব্যবহার সামাজিকীকরণে অত্যন্ত নেতিবাচক ভূমিকা রাখে।

৪।

ক) অনুকরণ কী?

খ) সামাজিকীকরণে ভাষার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো?

গ) শিশুর সামাজিকীকরণে 'মাধ্যম-১'-এর ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

ঘ) 'মাধ্যম-১' অপেক্ষা 'মাধ্যম-২' শিশুর সামাজিকীকরণে অনেক সময় বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে- বিশ্লেষণ করো।

উত্তর :

ক) যখন একজন অন্যজনের কাজ বা আচরণ হুবহু নকল করে তখন তাকে অনুকরণ বলে।

খ) সামাজিকীকরণে ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো ভাষা। ভাষার মাধ্যমে ব্যক্তি তার মনের ভাব প্রকাশ করে। তাছাড়া একে অন্যকে জানা কিংবা নিজের দেশ ও সমাজ এবং বহির্জগৎ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, শিক্ষা গ্রহণ সবই চলে ভাষার মাধ্যমে।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে