নবম-দশম শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র

প্রকাশ | ২১ মে ২০২২, ০০:০০

আতাউর রহমান সায়েম সহকারী শিক্ষক, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
জ্ঞান স্তর ৪২. সুভাষিণীরা কয় বোন ছিল? উত্তর :সুভাষিণীরা তিন বোন ছিল। ৪৩. সুভাষিণী বোনদের মধ্যে কততম? উত্তর :সুভাষিণী বোনদের মধ্যে তৃতীয়। ৪৪. মেয়েটার নাম সুভাষিণী রাখা হয়েছিল কেন? উত্তর : মিলের অনুরোধে মেয়েটার নাম সুভাষিণী রাখা হয়েছিল। ৪৫. সবাই মেয়েটিকে সংক্ষেপে কী বলে ডাকত? উত্তর : সবাই মেয়েটিকে সংক্ষেপে 'সুভা' বলে ডাকত। ৪৬. বাণীকণ্ঠের বড় মেয়ে দুটির বিয়ে কীভাবে হয়েছে? উত্তর : দস্তরমতো অনুসন্ধান ও অর্থব্যয়ে বাণীকণ্ঠের বড় মেয়ে দুটির বিয়ে হয়েছে। ৪৭. ছোট মেয়েটি পিতা-মাতার কোন অনুভূতির মতো বিরাজ করেছিল? উত্তর : ছোট মেয়েটি পিতা-মাতার নীরব হৃদয়ভারের মতো বিরাজ করেছিল। ৪৮. সুভা কথা না বলতে পারলেও কী করতে পারত? উত্তর : সুভা কথা না বলতে পারলেও অনুভব করতে পারত। ৪৯. সুভা সবসময় কী চেষ্টা করত? উত্তর : সুভা সবসময় নিজেকে সবার কাছ থেকে গোপন করার চেষ্টা করত। ৫০. সুভা কী মনে করত? উত্তর : সুভা মনে করত তাকে সবাই ভুলে গেলে সে বাঁচে। ৫১. সুভার মা সুভাকে কীভাবে দেখতেন? উত্তর :সুভার মা সুভাকে তার নিজের ত্রম্নটিস্বরূপ দেখতেন। ৫২. মায়েরা মেয়েকে কীসের অংশরূপে দেখেন? উত্তর : মায়েরা মেয়েকে নিজের অংশরূপে দেখেন। ৫৩. মেয়ের কোনো ত্রম্নটি থাকলে মায়েরা তা কীভাবে দেখেন? উত্তর :মেয়ের কোনো ত্রম্নটি থাকলে মায়েরা নিজের ত্রম্নটি বলে দেখতেন। ৫৪. বাণীকণ্ঠ তিন মেয়ের মধ্যে কাকে বেশি ভালোবাসতেন? উত্তর : বাণীকণ্ঠ তিন মেয়ের মধ্যে সুভাকে বেশি ভালোবাসতেন। ৫৫. সুভার মা কী জ্ঞান করে সুভার ওপর বিরক্ত ছিলেন? উত্তর : সুভার মা নিজের গর্ভের কলঙ্ক জ্ঞান করে সুভার মা বিরক্ত ছিলেন। ৫৬. সুভার কথা না থাকলেও কী গুণ ছিল? উত্তর : সুভার কথা না থাকলেও সুদীর্ঘ পলস্নববিশিষ্ট বড় বড় কালো চোখ ছিল। ৫৭. সুভার ওষ্ঠাধর কিসের মতো কেঁঁপে উঠত? উত্তর :সুভার ওষ্ঠাধর কচি কিশলয়ের মতো কেঁপে উঠত। ৫৮. কখনো কখনো সুভা কিসের মতো চেয়ে থাকত? উত্তর : কখনো কখনো সুভা অস্তমান চন্দ্রের মতো চেয়ে থাকত। ৫৯. সুভা অবসর পেলেই কোথায় গিয়ে বসে? উত্তর : সুভা অবসর পেলেই নদীতীরে গিয়ে বসে। ৬০. গোয়ালের গাভী দুটির সুভার কে? উত্তর : গোয়ালের গাভী দুটির সুভার অন্তরঙ্গ বন্ধু। ৬১. সুভা নিয়মিত কয়বার গোয়ালে যেত? উত্তর : সুভা নিয়মিত তিনবার গোয়ালে যেত। ৬২. সুভার আরও দুটি অন্তরঙ্গ বন্ধু কে কে? উত্তর : ছাগল ও বিড়াল শাবক। ৬৩. সুভার ভাষাবিশিষ্ট জীব সঙ্গী কে? উত্তর : সুভার ভাষাবিশিষ্ট জীব সঙ্গী প্রতাপ। ৬৪. প্রতাপ কাদের ছেলে? উত্তর : প্রতাপ গোঁসাইদের ছেলে। ৬৫. বাণীকণ্ঠ দুই বেলা কী খেত বলে গ্রামের অনেকেই হিংসা করত? উত্তর : মাছ-ভাত। অনুধাবন স্তর ১. সুভার নাম সুভাষিণী রাখার কারণ ব্যাখ্যা করো। উত্তর : সুভার নাম সুভাষিণী রাখার কারণ বড় দুই বোনের নামের সাথে নাম মিলিয়ে রাখার জন্য। সুভার বড় দুই বোনের নাম সুকেশিনী ও সুহাসিনী। সুভার বাবার ইচ্ছা ছিল বড় দুই বোনের নামের সাথে মিলিয়ে ছোট মেয়েটির নাম রাখবে। তাই বাবার অনুরোধে সুভার নাম সুভাষিণী রাখা হয়েছে। ২. সুভা তার বাবার পায়ের কাছে বসে কাঁদল কেন? উত্তর : সুভা কলকাতা যেতে চায় না বলে সে তার বাবার পায়ের কাছে বসে কাঁদল। সুভার বয়স বাড়ল কিন্তু তার জন্য কোনো পাত্রের সন্ধান পাওয়া গেল না। সমাজের লোকেরা নিন্দা শুরু করল এত বড় মেয়ে ঘরে বসিয়ে রাখার জন্য। তাই বাণীকণ্ঠ অর্থাৎ সুভার বাবা সিদ্ধান্ত নিল যে সুভাকে নিয়ে কলকাতা চলে যাবে। সুভা গ্রাম ছেড়ে কলকাতা যেতে চায়নি। তাই সে বাবার পায়ের কাছে বসে কাঁদল। ৩. 'সুভা' গল্পে 'চিরনিস্তব্ধ হৃদয়-উপকূল' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর : 'সুভা' গল্পে 'চিরনিস্তব্ধ হৃদয়-উপকূল' বলতে হৃদয়ের কিনারার কথা বোঝানো হয়েছে। সুভা বাক্‌প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার সঙ্গে কেউ কথা বলে না, মেশে না। তার এই নিঃসঙ্গতা দূর করতে প্রকৃতিই যেন একমাত্র অবলম্বন হিসেবে তাকে কাছে টেনে নেয়। প্রকৃতির মাধ্যমে সুভার ভেতর একটি বিশাল আশ্রয়ের জগৎ তৈরি হয়, যা তার ভাষার অভাব পূরণ করে। নদীর কলধ্বনি, পাখির গান, মাঝির গান ইত্যাদি তার হৃদয়-কিনারায় ভেঙে পড়ে। ৪. 'ছোটটি পিতা-মাতার নীরব হৃদয়ভারের মতো বিরাজ করিতেছে' বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন? উত্তর : 'ছোটটি পিতা-মাতার নীরব হৃদয়ভারের মতো বিরাজ করিতেছে' বলতে বাক্‌প্রতিবন্ধী সুভার ভবিষ্যৎ নিয়ে বাবা-মায়ের মনে যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে তা বোঝানো হয়েছে। সুভার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে ধুমধাম করে। সুভা তার পিতা-মাতার ছোট মেয়ে। বাক্‌প্রতিবন্ধী হওয়ায় সুভাকে নিয়ে পিতা-মাতার মনে শঙ্কার শেষ নেই। কী হবে সুভার ভবিষ্যৎ এই বিষয়টি বাবা-মায়ের মনে নীরব ভারের সৃষ্টি করেছে। ৫. প্রকৃতির সাথে সুভার হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা করো। উত্তর : নির্বাক প্রকৃতির সাথে সুভা ভাগাভাগি করে নিতে পারত মনের কথাগুলো। বাক্‌প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে সুভার কোনো সঙ্গী ছিল না। সুভা নির্বাক প্রকৃতির মাঝে গড়ে তুলেছিল আপন ভুবন। প্রকৃতির ভাষার সে কথা বলত। প্রকৃতি একমাত্র সুভার ভাষা বুঝত, তাই সুভার সাথে প্রকৃতির হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়