এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি বাংলা দ্বিতীয়পত্র

অকমর্ক ক্রিয়া

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

শাদমান শাহিদ, প্রভাষক আওলিয়ানগর এমএ ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয়পত্র থেকে পদ নিয়ে আলোচনা করা হলো পদ ৪। ক্রিয়াপদ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কী কী? লেখ। উত্তর : যে পদ দ্বারা কোনো বিশেষ কালে সম্পন্ন ক্রিয়া বোঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে। ক্রিয়াপদ প্রধানত দুই প্রকার। যথা: ১. সমাপিকা ক্রিয়া ২. অসমাপিকা ক্রিয়া। ১. সমাপিকা ক্রিয়া :যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের সমাপ্তি ঘটে, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন : আমি ভাত খাই, রফিক স্কুলে যায় ইত্যাদি। ২. অসমাপিকা ক্রিয়া : যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের সমাপ্তি ঘটে না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন : আমি ভাত খেয়ে..., রফিক স্কুলে যেয়ে... ইত্যাদি কমর্ থাকা, না থাকা দিক থেকে ক্রিয়া আবার তিন প্রকার। যথা : ১. সকমর্ক ক্রিয়া ২. অকমর্ক ক্রিয়া ৩. দ্বিকমর্ক ক্রিয়া ১. সকমর্ক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কমর্পদ আছে, তাকে সকমর্ক ক্রিয়া বলে। যেমন : বাবা আমাকে মেরেছেন। আমি একটি শাটর্ কিনেছি ইত্যাদি ২. অকমর্ক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কমর্পদ নেই, তাকে অকমর্ক ক্রিয়া বলে। যেমন : খোকা ঘুমায়, মেয়েটি হাসে ইত্যাদি ৩. দ্বিকমর্ক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার দুটি কমর্পদ আছে, তাকে দ্বিকমর্ক ক্রিয়া বলে। যেমন : বাবা আমাকে কলম দিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়াপদ রয়েছে। যেমন : প্রযোজক ক্রিয়া, নামধাতুর ক্রিয়া, যৌগিক ক্রিয়া এবং মিশ্র ক্রিয়া। ৫। প্রশ্ন : প্রযোজক ক্রিয়া, নামধাতুর ক্রিয়া, যৌগিক ক্রিয়া এবং মিশ্র ক্রিয়ার সংজ্ঞাসহ উদাহরণ দাও। প্রযোজক ক্রিয়া : যে ক্রিয়া একজনের প্রযোজনায় অন্যের দ্বারা সম্পাদিত হয়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। যেমন : মা শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছেন। নামধাতু ক্রিয়া: বিশেষ্য, বিশেষণ এবং ধ্বনাত্মক অব্যয়ের পরে ‘আ’ প্রত্যয়যোগে যেসব ধাতু গঠিত হয়, সেগুলোকে নামধাতু বলে। নামধাতুর সঙ্গে পুরুষ বা কালসূচক ক্রিয়া-বিভক্তি যোগে যে ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে নামধাতুর ক্রিয়া বলে। যেমন : শিক্ষক ছাত্রকে বেতাচ্ছেন। দঁাতটি ব্যথায় কনকনাচ্ছে। যৌগিক ক্রিয়া : একটি সমাপিকা ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া যদি একত্রে একটি বিশেষ বা সম্প্রসারিত অথর্ প্রকাশ করে, তবে তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন : ঘটনাটা শুনে রাখ। তিনি বলতে লাগলেন ইত্যাদি। মিশ্র ক্রিয়া : বিশেষ্য, বিশেষণ এবং ধ্বনাত্মক অব্যয়ের সাথে কর্, হ, দে, পা, যা, কাট্, ধর্ ইত্যাদি ধাতুযোগে যেসব ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে মিশ্র ক্রিয়াপদ বলে। যেমন : মাথা ঝিম্ ঝিম্ করছে। দশর্ন করলাম, দূর হ, ছেড়ে দে ইত্যাদি। ৬। বাংলা সমাপিকা ক্রিয়া কালভেদে পরিবতর্ন হয় কিন্তু লিঙ্গভেদে হয় না’ আলোচনা করো। উত্তর : কাল বতর্মান কাল অতীত কাল ভবিষ্যৎ কাল পুং-লিঙ্গ আমি যাই আমি গেলাম আমি যাবো স্ত্রী-লিঙ্গ আমি যাই আমি গেলাম আমি যাবো অতএব দেখা যাচ্ছে, কালভেদে ক্রিয়ার বিভিন্ন রূপ হয়, কিন্তু লিঙ্গভেদে হয় না। ৭। বাংলা সমাপিকা ক্রিয়া কালভেদে পরিবতর্ন হয় কিন্তু বচনভেদে হয় না’ আলোচনা করো। উত্তর : কাল একবচন বহুবচন বতর্মান কাল আমি যাই আমরা যাই অতীত কাল আমি গেলাম আমরা গেলাম ভবিষ্যৎ কাল আমি যাবো আমরা যাবো অতএব দেখা যাচ্ছে, কালভেদে ক্রিয়ার বিভিন্ন রূপ হয়, কিন্তু বচনভেদে হয় না। ৮। নিধার্রক বিশেষণ কাকে বলে? পঁাচটি নিধার্রণ বিশেষণের প্রয়োগ দেখাও। উত্তর : দ্বিরুক্ত শব্দ ব্যবহার করে যখন একের অধিক কোনো কিছুকে বোঝানো হয়, তখন তাকে নিধার্রক বিশেষণ বলে। যেমন : ঘরে ঘরে : ঈদ উপলক্ষে ঘরে ঘরে আনন্দের জোয়ার। শত শত : যুদ্ধে শত শত লোক প্রাণ হারালো। বাড়ি বাড়ি : ভিক্ষুক বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে। ঝঁাকে ঝঁাকে : ঝঁাকে ঝঁাকে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। সারি সারি : দুবৃর্ত্তরা সারি সারি চারাগাছ কেটে দিল। ৯। সাপেক্ষ সবর্নাম কাকে বলে? এ ধরনের সবর্নামের তিনটি উদাহরণের দুটি করে প্রয়োগ দেখাও। উত্তর : পরস্পর সম্পকর্যুক্ত একাধিক সবর্নাম পদ একই সঙ্গে ব্যবহৃত হয়ে দুটি বাক্যের সংযোগ সাধন করলে, তাদের বলা হয় সাপেক্ষ সবর্নাম। যেমন : যত...তত : যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা। যত গজের্ তত বষের্ না। যেমন ... তেমন: যেমন গুড় তেমন মিষ্টি। যেমন কমর্ তেমন ফল। যেখানে ... সেখানে : যেখানে রাত সেখানে কাত। যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়।