ত্রয়োদশ অধ্যায়
৩। সজীব একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার আর্থিক সহায়তায় সম্প্রতি একটি শর্ট ফ্লিম বানিয়েছেন। শর্ট ফ্লিমটিতে তিনি এইডস রোগের কারণ তুলে ধরে তা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি এখন আরেকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে তুলে ধরতে শর্ট ফ্লিম বানানোর কাজ করছেন। সংস্থাটি বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছেন।
ক) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কত সালে শুরু হয় এবং কত সালে শেষ হয়?
খ) ইউনিসেফ কেন গঠন করা হয়?
গ) প্রথম শর্ট ফ্লিম তৈরিতে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার ভূমিকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বাংলাদেশে ব্যাপক অবদান রাখছে-বিশ্লেষণ করো।
উত্তর :
ক) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৩৯ সালে শুরু হয় এবং ১৯৪৫ সালে শেষ হয়।
খ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের ত্রাণ সাহায্য প্রদানের লক্ষ্যে ইউনিসেফ গঠন করা হয়। ১৯৪৬ সালে আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই সংস্থাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সহায়তায় কাজ শুরু করে। ১৯৫০ সালের পর থেকে এটি বিশ্বের স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শিশুদের কল্যাণে কাজ করে আসছে। ১৯৭৭ সাল থেকে ইউনিসেফ নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের মা ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে।
গ) প্রথম শর্ট ফ্লিম তৈরিতে জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা ইউএনডিপির ভূমিকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ইউএনডিপি ১৯৬৫ সালে গঠিত হয়। এটি জাতিসংঘের বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন ও তদারকি করে থাকে। ইউএনডিপি যে ৬টি ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করে থাকে এইডস তার মধ্যে বিশেষ অন্যতম। এইডস রোগ-প্রতিরোধে সংস্থাটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর এ দিকটিই উদ্দীপকে এইডস বিষয়ক শর্ট ফ্লিম তৈরিতে অর্থায়নের মধ্যদিয়ে ফুটে উঠেছে। বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়নে সহায়তা করা ইউএনডিপির প্রধান কাজ। যেই ৬টি ক্ষেত্র নিয়ে এই সংস্থা কাজ করে, তা হলো-গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, সংকট মোকাবিলা, পরিবেশ ও এনার্জি সংরক্ষণ, সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং এইচআইভি ও এইডস। এইডস রোগ প্রতিরোধে সংস্থাটি বিভিন্ন সচেতনতামূলক নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। উদ্দীপকে এইডস বিষয়ক শর্ট ফ্লিম তৈরিও সংস্থাটির সচেতনতা সৃষ্টিমূলক কার্যক্রমেরই অন্তর্ভুক্ত। এ ক্ষেত্রে সংস্থাটির এ ধরনের কার্যক্রম নিঃসন্দেহে অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
ঘ) উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি হলো বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। বাংলাদেশে সংস্থাটি বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উদ্দীপকে সজীব তার দ্বিতীয় শর্ট ফ্লিমটিতে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরতে কাজ করছেন।
ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণের মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও জনগণের জীবনমান উন্নয়ন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রধান লক্ষ্য। এ থেকেই বোঝা যায়, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কথাই উদ্দীপকে বলা হয়েছে। এই সংস্থাটি সারা বিশ্বে ক্ষুধার বিরুদ্ধে কাজ করছে। বাংলাদেশ এর একটি সদস্য রাষ্ট্র। ঢাকায় এর শাখা অফিস আছে। বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষির উন্নয়নে সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে সৃষ্ট খাদ্য সংকট মোকাবিলায় একটি খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারকে পরামর্শ ও সাহায্য দেয়। এ ছাড়া সংস্থাটি খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে সহায়তা ও কৃষির উন্নয়নে পরামর্শ দিয়ে থাকে। ঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিকচাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেয় সংস্থাটি। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায়ও সহায়তা করে থাকে। এভাবে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখছে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ বলে প্রতীয়মান হয়।
৪। জনাব আমেনা বেগম এমন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি করেন। যার সদরদপ্তর নিউইয়র্কে। এই সংস্থাটি বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের অগ্রগতিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অন্যদিকে তার স্বামী জনাব সৈকত সাহেব যে সংস্থায় চাকরি করেন সেই সংস্থাটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। উক্ত সংস্থাটির সদরদপ্তর প্যারিসে।
ক) ঋঅঙ-এর পূর্ণরূপ কী?
খ) আন্তর্জাতিক সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রয়োজন কেন?
গ) জনাব আমেনা বেগম কোন আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি করছেন? সংস্থার কার্যক্রম ব্যাখ্যা করো।
ঘ) জনাব সৈকত সাহেবের কর্মরত সংস্থাটি কি কেবলমাত্র বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষণেই কাজ করে? যৌক্তিক বিশ্লেষণ করো।
উত্তর :
ক) ঋঅঙ-এর পূর্ণরূপ হলো 'ঋড়ড়ফ ধহফ অমৎরপঁষঃঁৎব ঙৎমধহরুধঃরড়হ.
খ) বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং নিজেদের উন্নয়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীন এবং সার্বভৌম হলেও বর্তমান বিশ্বে কোনো দেশের পক্ষেই অন্যের সহযোগিতা ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বিশ্বের প্রতিটি দেশই নানা সমস্যা বিদ্যমান। এগুলো সমাধানের লক্ষ্যে দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সম্প্রীতি গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
গ) উদ্দীপকে উলিস্নখিত জনাব আমেনা বেগমের চাকরিরত আন্তর্জাতিক সংস্থাটি হলো- 'টঘঋচঅ'. ইউনেস্কো জাতিসংঘের একটি সামাজিক সংস্থা। এ সংস্থার পুরো নাম 'টহরঃবফ ঘধঃরড়হং চড়ঢ়ঁষধঃরড়হ ঋঁহফ (টঘঋচঅ), ভড়ৎসবৎষু ঞযব টহরঃবফ ঘধঃরড়হং ঋঁহফ ভড়ৎ চড়ঢ়ঁষধঃরড়হ অপঃরারঃরবং' (টঘঋচঅ).' ১৯৬৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সদর দপ্তর অবস্থিত। বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ টঘঋচঅ-এর... হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়
