আজ তোমাদের জন্য সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো
জীবনের জন্য পানি
১৭। বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের সময় পানি ফুটানো না গেলে কীভাবে নিরাপদ পানি পাওয়া যাবে?
উত্তর : ফিটকিরি, বিস্নচিং পাউডার বা পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেটের মাধ্যমে।
১৮. পানিচক্র কী?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় পানি বিভিন্ন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমন্ডলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তাকে পানিচক্র বলে।
১৯. পানিদূষণ প্রতিরোধের ৩টি উদাহরণ দাও।
উত্তর : পানিদূষণ প্রতিরোধের ৩টি উদাহরণ নিম্নরূপ:
১. কৃষিতে কীটনাশক এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে,
২. রান্নাঘরের নিষ্কাশন নালায় ও টয়লেটে রাসায়নিক বর্জ্য এবং তেল না ফেলে,
৩. সমুদ্র সৈকতে পড়ে থাকা ময়লা এবং হ্রদ কিংবা নদীতে ভাসমান ময়লা-আবর্জনা কুড়িয়ে আমরা পানিদূষণ প্রতিরোধ করতে পারি।
২০. অনিরাপদ পানি থেকে নিরাপদ পানি পাওয়ার চারটি উপায় লেখো।
উত্তর : অনিরাপদ পানি থেকে নিরাপদ পানি পাওয়ার চারটি উপায় নিম্নরূপ :
র. ছাঁকন,
রর. থিতানো,
ররর. ফুটানো,
রা. রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধকরণ।
২১. বৃষ্টির পর মাটিতে পানি জমা হয়। কিছুক্ষণ পর সেই পানি অদৃশ্য হয়ে যায়। ওই পানি কোথায় যায়?
উত্তর : বৃষ্টির পর মাটিতে জমা পানি কিছুক্ষণ পর অদৃশ্য হয়ে যায়। ওই পানি মূলত মাটিতে শোষিত হয় অথবা নদীতে গড়িয়ে পড়ে। কিছু অংশ সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়ে যায় বায়ুতে ফিরে যায়।
২২. পানির তিনটি অবস্থা কী কী?
উত্তর : পানির তিনটি অবস্থা হলো : কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
২৩. পানিদূষণের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর : পানিদূষণের দুটি কারণ নিম্নরূপ :
র. রাসায়নিক সারের প্রয়োগ;
রর. কীটনাশকের ব্যবহার
২৪। ঘনীভবন কাকে বলে?
উত্তর : বাষ্প থেকে তরলে পরিণত হওয়াকে ঘনীভবন বলে।
২৫। বাষ্পীভবন কী?
উত্তর : তরল থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে বাষ্পীভবন।
২৬। পানিচক্র কী?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় পানি বিভিন্ন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমন্ডলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তাই পানিচক্র।
২৭। পানি শোধনের দুটি উপায় লেখো।
উত্তর : পানি শোধনের দুটি উপায় হলো-
১. ছাঁকন ও ২. ফোটানো।
২৮। পানিদূষণের প্রধান কারণ কী?
উত্তর : পানিদূষণের প্রধান কারণ হলো মানুষের কর্মকান্ড।
২৯। দুটি পানিবাহিত রোগের নাম লেখো।
উত্তর : দুটি পানিবাহিত রোগের নাম হলো ডায়রিয়া ও কলেরা।
৩০। নিরাপদ পানি কী?
উত্তর : মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন পানিই হলো নিরাপদ পানি।
৩১। পানি বিশুদ্ধকরণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : মানুষের ব্যবহারের জন্য পানিকে গ্রহণযোগ্য এবং নিরাপদ করার ব্যবস্থাই হলো পানি বিশুদ্ধকরণ।
৩২। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করার প্রক্রিয়ার নাম কী?
উত্তর : ছাঁকন।
৩৩। জীবাণুমুক্ত নিরাপদ পানির জন্য কতক্ষণ পানি ফুটাতে হবে?
উত্তর : ২০ মিনিটের বেশি সময়।
৩৪। আর্সেনিক কী?
উত্তর : আর্সেনিক হলো এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ।
৩৫। পানি বিশুদ্ধকরণের দুটি রাসায়নিক পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর : পানি বিশুদ্ধকরণের দুটি রাসায়নিক পদার্থ হলো ফিটকিরি ও বিস্নচিং পাউডার।
৩৬। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির বিন্দু একত্রিত হয়ে কী সৃষ্টি করে?
উত্তর : মেঘ।
৩৭। পানিদূষণ প্রতিরোধের তিনটি উপায় লেখো।
উত্তর : পানিদূষণ প্রতিরোধের তিনটি উপায় হলো-
(১) কৃষিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে
(২) রান্না ঘরের নিষ্কাশন নালায় না ফেলে
(৩) পুকুর, নদী, হ্রদ কিংবা সমুদ্রে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে।
৩৮। ডায়রিয়া কোন ধরনের রোগ?
উত্তর : পানিবাহিত রোগ।
৩৯। পানি শোধনের দুটি উপায় লেখো।
উত্তর : পানি শোধনের দুটি উপায় হলো- (১) ছাঁকন ও (২) থিতানো।
৪০। পানিতে থাকা কাদা ও বালি তলানিতে জমানোর মাধ্যমে পানি পরিষ্কার করাকে কী বলে?
উত্তর : থিতানো।
৪১। সাগর ও নদীর পানি বাষ্পীভূত হয়ে কীসে পরিণত হয়?
উত্তর : জলীয় বাষ্পে।
৪২। তোমার এলাকায় কলেরা ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এর প্রধান কারণ কী?
উত্তর : পানিদূষণ।
৪৩। পানি বিশুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধ করা যায় না কোন পানি?
উত্তর : আর্সেনিকযুক্ত পানি।
৪৪। সুস্থ থাকার জন্য আমাদের কোন পানি প্রয়োজন?
উত্তর : নিরাপদ পানি।
৪৫. পরিবেশে পানিদূষণের দুটি প্রভাব লেখো।
উত্তর : পরিবেশে পানিদূষণের দুটি প্রভাব হলো-
১. দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
২. পানিদূষণের ফলে জলজ প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়