নতুন বছরের পড়াশোনা

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সময়ের পরিক্রমায় এসেছে নতুন বছর। শুরু হয়েছে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ। শিক্ষাথীের্দর হাতে সরকারের দেয়া বিনামূল্যের পাঠ্যবই পেঁৗছে গেছে। এই নতুন বই প্রাপ্তির আনন্দ এখন ছাত্রছাত্রীদের মনে। নতুন বছর নতুন ক্লাস নতুন পাঠ্যবই। সে কারণে বছরের শুরু থেকে প্রস্তুতি নিয়ে পড়াশোনা করলে সিলেবাস শেষ করা যাবে। আর সিলেবাস শেষ করা গেলে অজর্ন করা যাবে ভালো ফলাফলও। সেজন্য ছাত্রছাত্রীদের সুনিদির্ষ্ট পরিকল্পনা করে বছরের দিনগুলোকে সাজাতে হবে। আমরা সবাই জানি, পরিকল্পনা হলো কাজের অধের্ক। পরিকল্পনাগুলো কেমন হবে সে বিষয়ের শিক্ষাথীের্দর কিছু বলতে চাই। রুটিন পড়াশোনার জন্য রুটিন খুব গুরুত্বপূণর্। প্রথমেই পড়ার রুটিন তৈরি করে নিতে হবে। শিক্ষাথীর্ কোন সময় কোন বিষয় পড়বে, কোন বিষয়ে সময় বেশি দিবেÑসেসব বিষয় নিধার্রণপূবর্ক রুটিন তৈরি করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, রুটিন করা হলো ঠিকই কিন্তু তা আর অনুসরণ করা হলো না। এমন যদি হয় তাহলে আর হবে না। শিক্ষাথীের্ক তার রুটিন যেমন তৈরি করতে হবে, তেমনি সেই রুটিন মোতাবেক পড়াশোনাও করতে হবে। পাঠ্যবই অনেক শিক্ষাথীর্ই নিজের পাঠ্যবই না পড়ে গাইড বই গলধঃকরণ করে থাকে। নতুন বছরের শুরু থেকেই শিক্ষাথীের্ক গাইড বই নয়, পাঠ্যবইগুলো ভালোভাবে বুঝেশুনে পড়তে হবে। গাইড বই হলো সহায়ক গ্রন্থ। কার সহায়ক গ্রন্থ? পাঠ্যবইয়ের সহায়ক বই। তাই সবার আগে পাঠ্যবই পড়তে হবে। পাঠ্যবই ভালোভাবে পড়া থাকলে শিক্ষাথীর্ ভালো ফলাফল করবেÑ এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। কালকের জন্য ‘না’ আজকে থাক, কালকে পড়বÑএমন কাজ শিক্ষাথীর্রা প্রায়ই করে থাকে। অথচ আমরা জানি, সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। সময়ের এক ফেঁাড়, অসময়ের দশ ফেঁাড়। আজকের পড়া কালকের জন্য ফেলে রাখলে হবে না। দিনের পড়া দিনেই শেষ করতে হবে। তাহলে দেখা যাবে পরীক্ষার অনেক আগেই সিলেবাস শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষাথীের্ক তখন পরীক্ষার সময় আর চাপ নিতে হবে না। স্কুল, শিক্ষক, প্রশ্ন স্কুলে প্রতিদিন যেতে হবে। ক্লাসে মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষক কী বিষয়ে পড়াচ্ছেন তা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। শিক্ষক ক্লাসে পড়ানোকালীন নিজেরা পরস্পর কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোথাও না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতে হবে। আমাদের অনেক শিক্ষাথীর্ শিক্ষককে প্রশ্ন করতে ভয় পায়। এ কারণে অনেক কিছুই তাদের বোধগম্য হয় না। যারা প্রশ্ন করতে ভয় পায়, সেই ভয় তাদের অবশ্যই কাটিয়ে উঠতে হবে। ক্লাসের প্রথম সারিতে বসার চেষ্টাও করতে হবে। বিনোদন শিক্ষাথীর্ কি পড়াশোনার মেশিন? সে কেবল দিনরাত এক করে পড়াশোনা আর পড়াশোনা করবে? মোটেই শিক্ষাথীর্ কোনো মেশিন নয়। পড়াশোনা জীবনের গুরুত্বপূণর্ একটি অংশ মাত্র। বিনোদনও জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূণর্ অংশ। শিক্ষাথীের্ক নিয়মিত খেলাধুলা করতে হবে। এতে শরীর ও মন বিকশিত হবে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কমর্কাÐে ও জাতীয় দিবসগুলোতে অংশ নিতে হবে। এতে শিক্ষাথীর্র সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হবে। সামাজিক কমর্কাÐেও জড়িত হতে হবে। তাহলেই শিক্ষাথীর্ হবে আদশর্ মানুষ। ২০১৯ সালে কোনো শিক্ষাথীর্ তার শিক্ষা জীবনে উপরোক্ত বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিলে সে নিঃসন্দেহে পড়াশোনায় অনেক ভালো করবে বলে আমার বিশ^াস। প্রতিটি শিক্ষাথীর্র জন্য আমার অনেক অনেক শুভকামনা রইল। উত্তম কুমার সাহা প্রধান শিক্ষক, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চঁাদপুর।