পঞ্চম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

আতাউর রহমান সায়েম সহকারী শিক্ষক, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ য়
অপেক্ষা ২৩) একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ করার জন্য কী কী যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা দরকার? উত্তর : একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ করার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। যেমন- ক. দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি গভীর টান খ. অস্ত্র চালনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান গ. কঠিন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ঘ. শারীরিক শক্তি ঙ. দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ার মানসিকতা চ. প্রখর বুদ্ধিমত্তা ২৪) দুই বোন কোথা থেকে কুচো চিংড়ি ধরে আনে? উত্তর : দুই বোন ধান খেতের আলের পাশ দিয়ে গড়িয়ে যাওয়া পানি থেকে কুচো চিংড়ি ধরে আনে। ২৫) রাহেলা বানু কে? মুক্তিযোদ্ধারা যে রাতে তার বাড়িতে এলো সে রাতটি কেমন ছিল? উত্তর : রাহেলা বানু জসীমের স্ত্রী; রুমা ও রুবার মা। মুক্তিযোদ্ধারা যে রাতে রাহেলা বানুর বাড়িতে এলো সে রাতটি ছিল বৃষ্টিহীন। আকাশে ছিল ভরা জ্যোৎস্নার আলো। ২৬) দুই বোন অধীর অপেক্ষায় থাকে কেন? উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা যে কোনো সময় সাহায্যের আশায় বাড়িতে আসতে পারে। তাই দুই বোন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করে থাকে। ২৭) লোকজন বিবিসির খবরে কী শুনতে পেল? উত্তর : লোকজন বিবিসির খবরে শুনতে পেল- ঢাকা শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকারে গণহত্যা শুরু করেছে। ২৮) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে কী বলেছিলেন? উত্তর : বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন- 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' ২৯) জসীম কে? কারা, কীভাবে তাকে হত্যা করে? উত্তর : 'অপেক্ষা' গল্পে জসীম হলেন রুমা ও রুবার বাবা। জসীমদের গ্রামে পাকিস্তানি মিলিটারি এসেছিল। তারা বাজারের দোকান আর ঘর-বাড়িতে আগুন লাগিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসছিল। একটি বুলেট এসে জসীমের বুকে লাগলে তিনি শহীদ হন। এভাবেই পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে প্রাণ হারান জসীম। দেখে এলাম নায়াগ্রা ১) নায়াগ্রা যাওয়ার কথা কীভাবে উঠল? উত্তর : লেখক কানাডা থাকাকালীন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে সবাই মিলে নায়াগ্রা যাওয়ার কথা উঠল। ২) কানাডায় দ্রম্নতগতিতে গাড়ি চালানো সম্ভব হয় কেন? উত্তর : কানাডার রাস্তা মোটেই আঁকাবাঁকা নয়। বরং রেললাইনের মতো সোজা। তাই সে দেশে দ্রম্নতগতিতে গাড়ি চালানো সম্ভব হয়। ৩) পাহাড়ের সঙ্গে জলপ্রপাতের সম্পর্ক কী? উত্তর : পাহাড় থেকে সমতল ভূমিতে পানির পতনের মাধ্যমে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়। তাই পাহাড় ছাড়া জলপ্রপাত হওয়া সম্ভব নয়। ৪) জলের বৈশিষ্ট্য কী? উত্তর : জলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গড়িয়ে যাওয়া। ৫) জলপ্রপাতের কথা কোথায় পড়েছ? জলপ্রপাত কী? উত্তর : জলপ্রপাতের কথা আমি আমার বাংলা পাঠ্য বইয়ের 'দেখে এলাম নায়াগ্রা' নামক একটি ভ্রমণকাহিনীতে পড়েছি। জলপ্রপাত বলতে বোঝায় এমন জলধারাকে যেখানে পাহাড় বা উঁচু কোনো স্থান থেকে সমতল ভূমিতে জলের পতন ঘটে। জলপ্রপাতের এই বৈশিষ্ট্যটি ঝর্ণার অনুরূপ হলেও এর আকার ঝর্ণার চেয়ে অনেক বড় হয়। ৬) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলপ্রপাতের নাম কী? উত্তর : পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলপ্রপাতের নাম নায়াগ্রা। ৭) ঝর্ণা ও জলপ্রপাতের মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়? উত্তর : ঝর্ণা ও জলপ্রপাত উভয়েরই সৃষ্টি পাহাড় থেকে সমতল ভূমিতে পানির পতনের মাধ্যমে। দুইয়ের মধ্যে তফাৎ হলো জলপ্রপাতের আকার ঝর্ণার তুলনায় অনেক বড়। ৮) জলপ্রপাত সাধারণত কী থেকে নেমে আসে? নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিস্ময়কর বিষয়টি কী? উত্তর : জলপ্রপাত সাধারণত পাহাড় থেকে নেমে আসে। নায়াগ্রার ক্ষেত্রে এই বিষয়ের ব্যতিক্রম দেখা যায়। সমতলের একটি খরস্রোতা নদীর পানি বিশাল ফাটলের গহ্বরে প্রবেশের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে এই বিশাল প্রপাত। নায়াগ্রার এ বিষয়টিই অত্যন্ত বিস্ময়কর। ৯) নায়াগ্রা কোথায় অবস্থিত? উত্তর : নায়াগ্রা কানাডায় অবস্থিত। ১০) নায়াগ্রা জলপ্রপাত এবং ঝর্ণার মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে লেখো। উত্তর : নায়াগ্রা জলপ্রপাত আর ঝর্ণার মধ্যে পার্থক্য হলো- ১. নায়াগ্রা আকারে ঝর্ণার চেয়ে অনেক বড়। ২. ঝর্ণার উৎপত্তি হয় পাহাড় থেকে কিন্তু নায়াগ্রার উৎপত্তি সমতল ভূমি থেকেই। ১১) নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিশেষত্ব কী? উত্তর : নায়াগ্রা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত। সাধারণত জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে নায়াগ্রা জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। সমতলের ওপর দিয়ে বয়ে চলা খরস্রোতা একটি নদীর মাঝখানে হঠাৎ ফাটল। সেই ফাটলে পানি পতিত হয়েই জলপ্রপাতটি সৃষ্টি হয়েছে। আবার ওই ফাটলের ভেতর পানি পড়ে কোথায় যাচ্ছে তাও কেউ জানে না। এখানেই নায়াগ্রার বিশেষত্ব। ১২) নায়াগ্রার জল কোথায় যায়? উত্তর : নায়াগ্রার জলধারা সৃষ্টি হয়েছে খরস্রোতা এক নদী থেকে। নদীটি যে মাটির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তার দুই দিকের মাটির মধ্যে রয়েছে নদীর সমান চওড়া বিশাল এক ফাটল। নায়াগ্রার জল ওই ফাটলের ভেতর চলে যায় ১৩) 'বিশ্ব-ভূমন্ডল বড়ই বিচিত্র'- ব্যাখ্যা করো। উত্তর : নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে এখানে। সাধারণত পাহাড় থেকে জলের পতনেই সৃষ্টি হয় জলপ্রপাতের। অথচ অবিশ্বাস্যভাবে নায়াগ্রা জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। খরস্রোতা একটি নদীর জল নদীর সমান চওড়া একটি ফাটলের গহ্বরে পতিত হয়ে নায়াগ্রার উৎপত্তি। এটি পৃথিবীর একটি অন্যতম বিস্ময়। ১৪) পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় কোনটিকে? উত্তর : পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রা জলপ্রপাতকে। ১৫) নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য কী? উত্তর : নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য হলো এটি কোনো পাহাড় থেকে নামেনি। ১৬) নায়াগ্রা জলপ্রপাত কোথা থেকে প্রবাহিত হয়? উত্তর : নায়াগ্রা জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে সমতলের ওপর বয়ে চলা খরস্রোতা একটি নদীর পানির পতনের ফলে। নদীটি যেখানে প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে একটি বিশাল ফাটল। পানি ওই ফাটলের ভেতরে চলে যায়। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়