এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সুধীরবরণ মাঝি, শিক্ষক, হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়, হাইমচর, চঁাদপুর য়
প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেয়া হলো সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় ৩। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দুলু মিয়া ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কমর্রত ছিলেন। গভীর রাতে তিনি দেখতে পান একদল সশস্ত্র লোক কারাগারের বিশেষ সেলে প্রবেশ করে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। দুলু মিয়া একথা তার বাবাকে জনান। তার বাবা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এ হত্যার মূল উদ্দেশ্য হলো-বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অজর্নগুলো ধ্বংস করা। গ) দুলু মিয়ার দেখা হত্যাকাÐটি তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর যে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তা ব্যাখ্যা কর। ঘ) তুমি কি দুলু মিয়ার বাবার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ কর? তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে যুক্তি উপস্থাপন কর। গ) উত্তর : দুলু মিয়ার দেখা হত্যাকাÐটি আমার পঠিত ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন। তারপর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐের খুনিচক্র সেনাসদস্যরা দেশত্যাগের আগে খন্দকার মোশতাকের অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সেখানে বন্দি অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা যথাক্রমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এইচএম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সংঘটিত হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আর একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। তাছাড়া পৃথিবীর ইতিহাসে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা দ্বিতীয়টি নেই। ঘ) উত্তর : আমি দুলু মিয়ার বাবার বক্তেব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐের খুনিচক্র সেনাসদস্যরা দেশত্যাগের পূবের্ খন্দকার মোশতাকের অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সেখানে বন্দি অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা যথাক্রমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এইচএম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সংঘটিত হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আর একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। এই পৈশাচিক হত্যাকাÐ দেশের জনগণ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রয়া সৃষ্টি করে। এ ঘটনা মোশতাকের পতন ত্বরান্বিত করে। খুনিরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়। এ হত্যাকাÐ ছিল ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত, স্বাধীনতা বিরোধী, দেশীয় ও আন্তজাির্তক গোষ্ঠীর সম্মিলিত ষড়যন্ত্র এবং নীলনকশার বাস্তবায়ন। উভয় হত্যাকাÐের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অজর্নগুলো ধ্বংস করা, দেশকে নেতৃত্বশূন্য করা এবং পাকিস্তানি ভাবাদশর্ প্রতিষ্ঠা করা। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাÐ একই গোষ্ঠী সংঘটিত করে।