এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি (বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়)

মুজিবনগর সরকারে কয়টি মন্ত্রণালয় ছিল?

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সুধীরবরণ মাঝি, শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়, হাইমচর, চঁাদপুর য়
প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেয়া হলো সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় ৪। সন্তোষ, বিমল, শাহালম, বাচ্চু, সুনীল এরা সবাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের জীবনপণ ছিল ‘হয় বিজয় না হয় মৃত্যু।’ এদের মতো শিক্ষাথীর্রা ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ সাল পযর্ন্ত বিভিন্ন দাবি আদায়ে সোচ্চার হন। এর মাঝামাঝি তারা অন্যকিছু কল্পনা করতে পারেনি। অন্যদিকে তাদের সহায়তা করার জন্য ছিল এক বিশাল কাযর্ক্রম যারা দেশের ভিতরে প্রশাসনিক কাজ পরিচালনাসহ বিশ্বজনমত গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ঘ) উদ্দীপকের শেষাংশে যাদের কাযর্ক্রম উল্লেখ রয়েছে তাদের কি মুক্তিযুদ্ধের প্রাণ বলা যায়? যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর। ঘ) উত্তর : উদ্দীপকের শেষাংশে যাদের কথা বলা হয়েছে তারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করাসহ বিশ্বজনমত গঠন করতে তারা ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করে। মূলত এর মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের কাযর্ক্রমের কথা উপস্থাপন করা হয়েছে। ১৯৭০-৭১ সালের নিবার্চনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদ্বারা মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি করাই ছিল এ সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য। বাঙালি কমর্কতাের্দর নিয়ে সরকার কাজ পরিচালনা করেন। এতে মোট ১২টি মন্ত্রণালয় ছিল। মুজিবনগর সরকার বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূণর্ শহরে (কলকাতা, দিল্লি, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়কর্, স্টকহোম) বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করেন। এসব মিশন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রচারণা ও সমথর্ন আদায়ের চেষ্টা করে। সরকার বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত নিয়োগ দেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব নেতৃত্ব ও জনমত আদায়ের জন্য কাজ করেন। ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১০ এপ্রিল সরকার ৪টি সামরিক জোনে ৪টি সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করেন। ১১ এপ্রিল তা পুননির্ধাির্রত করে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। এ ছাড়া বেশকিছু সাব-সেক্টর ও তিনটি ব্রিগেড ফোসর্ গঠিত হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে দেশকে পাকিস্তানিদের দখলমুক্ত করার জন্য রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছেন, অনেকেই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় মুজিনগর সরকার ছিল প্রাণভোমরা। তাদের সুনিদির্ষ্ট কৌশলে আর সুচিন্তিত দিকনিদের্শনা দেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করেছিল।