এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

কোন রাত্রিকে কালো রাত্রি বলা হয়?

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সুধীরবরণ মাঝি, শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়, হাইমচর, চঁাদপুর
প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেয়া হলো সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় ৫। জনাব ‘ক’-এর দল নিবার্চনে জয়লাভ করলেও কেন্দীয় সরকার তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এতে জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হলে তারা কঠোরভাবে দমনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। ফলে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে যুদ্ধের রূপ ধারণ করে। জনাব ‘ক ’ দল স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আপামর জনগণ তাতে স্বতঃস্ফুতর্ সমথর্ন দিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। অবশেষে তার দেশ স্বাধীন হয়। ক) কোন রাত্রিকে কালো রাত্রি বলা হয়? খ) অপারেশন সাচর্লাইট বলতে কী বোঝায়? গ) জনাব ‘ক ’ এর দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কোন বৈষম্যটি পরিলক্ষিত হয় ? ব্যাখ্যা কর। ঘ) “মুক্তিকামী জনগণের সহযোগিতা ছাড়া স্বাধীনতা অজর্ন সম্ভব নয় ” উদ্দীপকের আলোকে উক্তিটির বিশ্লেষণ কর। ক) উত্তর ঃ ২৫ মাচর্ রাত্রিকে কালো রাত্রি বলা হয় । খ) উত্তর ঃ ১৯৭১ সালের ১৭ মাচর্ টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলী বাঙালির ওপর যে নৃশংস হত্যাকান্ড পরিচালনার নীল নকশা তৈরি করেছিলেন ইতিহাসে তাই অপারেশন সাচর্লাইট হিসেবে পরিচিত। ১৯৭১ সালের ২৫ মাচর্ মধ্য রাতটি কালো রাত। এ রাতে বাঙালিদের দমন করার জন্য পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তিন ব্যাটালিয়ান সৈন্য অপারেশন সাচর্লাইটে অংশগ্রহণ করে। রাত ১১টার দিকে এ অপারেশন শুরু হয়। এ অপারেশনের অথর্ গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগ। ২৫ মাচর্ রাতে পৃথিবীর ইতিহাসে ববর্রতম গণহত্যা অপারেশন সাচর্লাইট শুরু হয়। ঐদিন ঢাকা শহর আক্রান্ত হয়। বিশেষ লক্ষ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গ) উত্তর ঃ উদ্দীপকের ‘ ক’ দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজনৈতিক বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবগর্ও বিরোধীতার জন্য গণতন্ত্র উত্তরণের কোন প্রচেষ্টা করেনি। পূবর্ পাকিস্তানের জনসংখ্যা সমগ্র পাকিস্তানের জনসংখ্যার ৫৬জন হওয়া সত্তে¡ও এ অঞ্চল হতে জনসংখ্যার অনুপাতে কেন্দ্রীয় আইনসভা ও শাসন ব্যবস্থায় প্রতিনিধিত্বের অধিকার দেওয়া হয়নি। ১৯৪৭-৫৮ সাল পযর্ন্ত চারজন রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একজন ছিলেন পূবর্ পাকিস্তানের আর তিনজন ছিলেন উদুর্ভাষী। এসময় ৭জন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে তিনজন পূবর্ পাকিস্তানের আবার এদের মধ্যে একজন উদুর্ভাষী। ১৯৫৪ সালের নিবার্চনে যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। কিন্তু নানা অজুহাতে মন্ত্রীসভাকে পদচ্যুত করে পূবর্ পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় শাসন চালু করা হয়। ১৯৫৬ সালে যে শাসনতন্ত্র চালু করা হয় ১৯৫৮ সালে তা বাতিল করে সামরিক শাসন জারি করা হয়। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার চালু করে সারাদেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে। ১৯৭০ সালের নিবার্চনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অজর্ন করা সত্তে¡ও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে দেশকে এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। জনাব ‘ক ’ দল স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আপামর জনগণ তাতে স্বতঃস্ফুতর্ সমথর্ন দিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। অবশেষে তার দেশ স্বাধীন হয়।