প্রশ্ন : সংক্রামক রোগের প্রকারভেদ আলোচনা করো।
উত্তর : সংক্রামক রোগ চার প্রকার। যেমন- ১. বায়ুবাহিত রোগ, ২. পানিবাহিত রোগ, ৩. ছোঁয়াচে রোগ, ৪. প্রাণী ও পোকা-মাকড়বাহিত সংক্রামক রোগ। নিচে এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
বায়ুবাহিত রোগ : যেসব রোগ হাঁচি-কাশি বা কথাবার্তা বলার সময় বায়ুতে জীবাণু ছড়ানোর মাধ্যমে হয়ে থাকে তাদের বায়ুবাহিত রোগ বলে। যেমন- সোয়াইন ফ্লু, হাম, গুটিবসন্ত, যক্ষ্ণা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি।
পানিবাহিত রোগ : যেসব রোগ জীবাণুযুক্ত দূষিত পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে তাদের বলে পানিবাহিত রোগ। যেমন- ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় এবং টাইফয়েড।
ছোঁয়াচে রোগ : রোগাক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে যেসব রোগ সংক্রমণ হয় তাই ছোঁয়াচে রোগ। যেমন- ফ্লু, ইবোলা, হাম ইত্যাদি।
প্রাণী ও পোকা-মাকড়বাহিত সংক্রামক রোগ : বিভিন্ন প্রাণী এবং পোকা-মাকড়ের মাধ্যমে কিছু জীবাণুবাহিত রোগ ছড়ায়। যেমন- কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়। মশার কামড়ের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়।
প্রশ্ন : বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের ৫টি উদাহরণ দাও।
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন-
১. দ্রম্নত লম্বা হওয়া।
২. মাংসপেশি সুগঠিত হওয়া।
৩. শরীরের গঠন পরিবর্তন হওয়া।
৪. বেশি ঘাম হওয়া, ত্বক তৈলাক্ত হওয়া, ব্রণ ওঠা।
৫. শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া।
প্রশ্ন : পানিবাহিত দুটি রোগের নাম লেখো। পানিবাহিত রোগ-প্রতিরোধের চারটি উপায় লেখো।
উত্তর : পানিবাহিত দুটি রোগের নাম হলো-
র. ডায়রিয়া
রর. আমাশয়
পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের চারটি উপায় নিচে দেওয়া হলো-
র. পানি দূষণ রোধ করা।
রর. নিরাপদ পানি ব্যবহার করা
ররর. হাত জীবাণুমুক্ত রাখা
রা. চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
প্রশ্ন : কোন ভাইরাসের মাধ্যমে এইডস রোগ ছড়ায়? প্রাণী ও পোকা-মাকড়বাহিত দুটি সংক্রামক রোগের নাম লেখো। সংক্রামক রোগ প্রতিকারে তোমার তিনটি পরামর্শ লেখো।
উত্তর : এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে এইডস রোগ ছড়ায়।
প্রাণী ও পোকা-মাকড়বাহিত দুটি সংক্রামক রোগের নাম হলো-
র. জলাতঙ্ক
রর. ডেঙ্গু।
সংক্রামক রোগ প্রতিকারে আমার তিনটি পরামর্শ হলো-
র. সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
রর. নিরাপদ পানি ব্যবহার করা।
ররর. হাঁচি-কাশির সময় টিসু্য, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা।
প্রশ্ন : সংক্রামক রোগ কী? সংক্রামক রোগের বিস্তারের দুটি কারণ লেখো। সংক্রামক রোগ প্রতিকারে তিনটি করণীয় লেখো।
উত্তর : বিভিন্ন জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ।
সংক্রামক রোগের বিস্তারের দুটি কারণ নিচে উলেস্নখ করা হলো-
র. হাঁচি-কাশির মাধ্যমে।
রর. দূষিত পানি পানের মাধ্যমে।
সংক্রামক রোগ প্রতিকারে তিনটি করণীয় হলো নিম্নরূপ :
র. রোগাক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
রর. পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
ররর. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
প্রশ্ন : বয়ঃসন্ধিকালের তিনটি শারীরিক পরিবর্তন লেখো। বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক যত্নে তোমার তিনটি করণীয় লেখো।
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালের তিনটি শারীরিক পরিবর্তন হলো-
র. দ্রম্নত লম্বা হওয়া।
রর. ত্বক তৈলাক্ত হওয়া।
ররর. ছেলেদের গলার স্বরের পরিবর্তন হওয়া।
বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক যত্নে আমার তিনটি করণীয় হলো-
র. এই সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকব।
রর. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করব।
ররর. দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে শিক্ষক কিংবা পরিবারের সাথে পরামর্শ করব।
প্রশ্ন: বাড়ির আশপাশে কৌটা, টায়ার, ফুলের টব পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন কেন সে সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।
উত্তর : বাড়ির আশপাশে কৌটা, টায়ার, ফুলের টব পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন সে সম্পর্কে তিনটি বাক্য নিচে দেওয়া হলো-
র. এসব জিনিসে পানি জমতে পারে।
রর. জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে।
ররর. জমে থাকা পানিতে ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে।
অষ্টম অধ্যায়
প্রশ্ন : ঋতু পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : পৃথিবীর নিজস্ব কক্ষপথে ঘূর্ণন এবং সূর্যের দিকে এর হেলে থাকা অক্ষের কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়। সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর আবর্তনের জন্য বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে বা সূর্যের বিপরীত দিকে সরে পড়ে।
যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে সে অংশে তখন গ্রীষ্মকাল। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে উল্টো ব্যাপারটি ঘটে। সেখানে তখন শীতকাল। যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের বিপরীত দিকে হেলে থাকে, তখন সে অংশে শীতকাল।
\হ
প্রশ্ন : সূর্যকে পূর্ব থেকে পশ্চিম আকাশে চলমান মনে হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : প্রতিদিনের সূর্যকে দেখে মনে হয়, এটি সকালে পূর্বদিকে ওঠে এবং দিনের শেষে পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে নিজ অক্ষের উপর পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণেই এমনটি হয়। পৃথিবীর এরূপ ঘূর্ণনের কারণে সূর্যকে পূর্ব থেকে পশ্চিম আকাশে চলমান মনে হয়।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়