পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২৩, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
দশম অধ্যায় প্রশ্ন : তথ্য বিনিময় কী? আমাদের জীবনে তথ্য বিনিময়ের চারটি গুরুত্ব লেখো। উত্তর : তথ্য বিনিময় হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো তথ্য বন্ধু, পরিবার এবং অন্যান্য মানুষের সঙ্গে আদান-প্রদান করা হয়। আমাদের জীবনে তথ্য বিনিময়ের চারটি গুরুত্ব হলো- র) তথ্য বিনিময় আমাদের ভালোভাবে বাঁচতে সাহায্য করে। রর) তথ্য বিনিময় আমাদের বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। ররর) কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। রা) প্রচন্ড জলোচ্ছ্বাস থেকে সমুদ্র উপকূলের অনেক মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। প্রশ্ন : ইন্টারনেট কী? ইন্টারনেটের ৩টি ব্যবহার লেখো। দুটি তথ্য বিনিময় মাধ্যমের নাম লেখো। উত্তর : ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের কম্পিউটারগুলোকে সংযুক্তকারী একটি বিশাল নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেটের ৩টি ব্যবহার হলো- র. তথ্য অনুসন্ধান, সংগ্রহ ও বিনিময় করতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। রর. ই-মেইলে কোনো তথ্য বা ডকুমেন্ট প্রদান ও গ্রহণ করতে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয়। ররর. বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেমন- ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি চালাতে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয়। প্রশ্ন : তথ্য কী? বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য যোগাযোগ এত প্রয়োজনীয় কেন? উত্তর : উপাত্ত যখন বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে তথ্য বলে। যে জাতি যত সহজে এবং যত তাড়াতাড়ি একে অন্যের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করতে পেরেছে সে জাতি তত দ্রম্নত সামনে এগিয়ে গেছে। এ জন্য একটি জাতির সব পেশাজীবী মানুষের মধ্যে তথ্য যোগাযোগ জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থায় উন্নতির জন্য শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে তথ্য যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কৃষকের চাষাবাদ করার জন্য, শ্রমিকের কলকারখানার কাজের জন্য, ডাক্তারের রোগব্যাধি ও চিকিৎসার জন্য, কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রভৃতি নানারকম কাজের জন্য তথ্য যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রশ্ন : তোমার বাবা তোমাকে একটি কম্পিউটার কিনে দিলে তা দিয়ে তুমি কী করবে? ৫টি বাক্যে লেখো। উত্তর : আমার বাবা আমাকে একটি কম্পিউটার কিনে দিলে তা দিয়ে আমি নিম্নবর্ণিত কাজগুলো করব- ১. আমার প্রয়োজনীয় পড়ার শিটগুলো টাইপ করব। ২. আমার অঙ্কগুলো করার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের সহযোগিতা নেব। ৩. ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার অজানা তথ্য সংগ্রহ করব। ৪. কম্পিউটারে গেম খেলব। ৫. ই-মেইলে বন্ধুদের চিঠি পাঠাব। প্রশ্ন : বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির- তোমার জীবনে এর কোনো প্রভাব পড়েছে কী? ৫টি বাক্যে লেখো। উত্তর : আমার জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব ৫টি বাক্যে নিচে উপস্থাপন করা হলো- ১. প্রযুক্তির কারণে আমি এখন ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। ২. বিভিন্ন প্রকার শিক্ষাপ্রযুক্তির কারণে বর্তমানে পড়াশোনা আমার কাছে অধিক সহজ মনে হচ্ছে। ৩. প্রযুক্তির কল্যাণেই আমি ঘরে বসে বিভিন্ন দেশের খেলাধুলা ও কৃষ্টি সম্পর্কে জানতে পারছি। ৪. মোবাইলনামক প্রযুক্তিটি আমার জীবনে বৈপস্নবিক পরিবর্তন এনেছে। কারণ এর সাহায্যে আমি যে কোনো সময়ে যে কোনো লোকের সঙ্গে কথা বলতে পারছি। ৫. আমার প্রতিদিন সকালবেলায় পত্রিকা পড়া, বাসে করে স্কুলে যাওয়া, কলম দিয়ে লেখা, বাইকে যেখানে-সেখানে যাওয়া- প্রতিটি কাজই সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির কল্যাণে। প্রশ্ন : একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তুমি কীভাবে শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারো। ৫টি বাক্যে লেখো। উত্তর : শিক্ষার্থী হিসেবে আমি নিম্নলিখিতভাবে শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি- ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের লাইব্রেরির বইপুস্তক, জার্নাল ও ম্যাগাজিনের সন্ধান পাওয়া যায় এবং সেগুলো পড়তে পারি। ক্লাসে না গিয়েও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারি। ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় উত্তরটি জানতে পারি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারি। শিক্ষাবিষয়ক যে কোনো তথ্য ও উপাত্ত ইন্টারনেটে সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। প্রশ্ন : ইন্টারনেট কী কী কাজে লাগে? উত্তর : ইন্টারনেটের সাহায্যে তথ্য যোগাযোগের নানারকম কাজ করা যায়। যেমন- ১. তথ্যের আদান-প্রদান করা যায়। ২. তথ্য খোঁজা, তথ্য সংগ্রহ করা বা তথ্য পাঠানো যায়। ৩. বাস, ট্রেন বা পেস্ননের টিকিট বুকিং দেওয়া যায়। ৪. কেনাকাটা করা যায়, কোনো জিনিসের অর্ডার দেওয়া যায়। ৫. বিভিন্ন দেশের লাইব্রেরির লাখ লাখ বই-পুস্তক, জার্নাল ও ম্যাগাজিনের সন্ধান পাওয়া এবং পড়া যায়। ৬. বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় অর্জিত অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়