নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ঘ) মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণের ফলে শত্রম্নদের মধ্যে দেখা দেওয়া প্রভাব পাঁচটি বাক্যে তুলে ধরো।
উত্তর :যৌথ আক্রমণের প্রভাব-
১) ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে যৌথ আক্রমণের ফলে পাকিস্তানি হানাদাররা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল।
২) তারা বুঝতে পেরেছিল যে, তাদের পরাজয় নিশ্চিত।
৩) পরাজয়ের পূর্বাভাস পেয়ে তারা ১৪ই ডিসেম্বর অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে।
৪) এ দেশের গভীরভাবে ক্ষতি সাধনের জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছিল।
৫) ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদাররা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
\হঙ্গ, লস্ন, ক্ত, ত্ত, ন্ন, বৃ, ল্প, ন্ধ, ক্ষ, ট্র, ক্র।
উত্তর :
ঙ্গ =ঙ+গ- অঙ্গ-মা শিশুটির সারা অঙ্গে তেল লাগালেন।
লস্ন =ল+ল-উলেস্নখ-কাগজে স্যারের নাম উলেস্নখ করা আছে।
ক্ত = ক + ত - শক্ত - রশিটি শক্ত করে বাঁধা।
ত্ত =ত+ত-উত্তর-বাড়ির উত্তর দিকে আছে একটি পুকুর।
ন্ন = ন + ন - কান্না - শিশুটির কান্না থামছেই না।
বৃ = ব+ঋ-ফলা ( ৃ)-বৃথা ু বৃথা সময় নষ্ট করো না।
ল্প =ল+প-কল্পনা-শিশুরা কল্পনা করতে ভালোবাসে।
ন্ধ = ন + ধ ু বন্ধ - কাল থেকে স্কুল বন্ধ।
ক্ষ =ক + ষ - পরীক্ষা - শনিবার থেকে পরীক্ষা শুরু।
ট্র =ট+র-ফলা ( ্র)- ট্রাম-ট্রামে চড়ার মজাই আলাদা।
ক্র =ক+র-ফলা( ্র)-ক্রমিক-সামির খাতায় ক্রমিক নং লিখল।
সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখো।
\হরুমা রুবা বাবার হাত ছাড়িয়ে অন্য ছেলেমেয়েদের কাছে যুদ্ধের কথা বলার জন্য ছুট দেয় চিৎকার করে বলে যুদ্ধ করতে হবে রে যুদ্ধ যুদ্ধ
উত্তর :রুমা-রুবা বাবার হাত ছাড়িয়ে অন্য ছেলেমেয়েদের কাছে যুদ্ধের কথা বলার জন্য ছুট দেয়। চিৎকার করে বলে, যুদ্ধ করতে হবে রে। যুদ্ধ যুদ্ধ।
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখো।
শুনিতেছিল, ছুড়িতে, বসিয়া, বলিল, চাহিয়াছিল।
উত্তর :
সাধু রূপ চলিত রূপ
শুনিতেছিল শুনছিল
ছুড়িতে ছুড়তে
বসিয়া বসে
বলিল বলল
চাহিয়াছিল চেয়েছিল
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখো।
আদর, আগুন, ঘুম, দোকান, বাবা।
উত্তর :
মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
আদর স্নেহ, মমতা
আগুন অনল, অগ্নি
ঘুম তন্দ্রা, নিদ্রা
দোকান আপণ, বিপণি
বাবা আব্বা, পিতা
নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখো।
বন্ধ, কেনা, মুক্তি, ডোবা, দ্রম্নত, সহজ, জন্ম, কান্না, ভরা, যুদ্ধ, দূর, শুকনো।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
বন্ধ খোলা
ডোবা ভাসা
কেনা বেচা
দ্রম্নত ধীরে
মুক্তি বন্ধন
সহজ কঠিন
জন্ম মৃতু্য
কান্না হাসি
যুদ্ধ শান্তি
শুকনো ভেজা
স্বদেশ
শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
কড়ি - এক ধরনের ছোট্ট সাদা ঝিনুক।
টুকটুক - গাঢ়, সুন্দর।
শিল্পী - যিনি কোনো শিল্পকলার চর্চা করেন তিনিই শিল্পী- যেমন- সঙ্গীতশিল্পী, চিত্রশিল্পী।
পাখপাখালি - নানা ধরনের পাখি।
নিচের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
শিল্পী, টুকটুকে, পাখপাখালির, কড়ি, টাকাপয়সা
ক. এ দেশে আগে এখনকার মতো টাকা-পয়সা ছিল না। লোকে কেনা-বেচা করত দিয়ে।
উত্তর : কড়ি
খ. মেলা থেকে বোনের জন্য একটা জামা কিনে আনব।
উত্তর : টুকটুকে
গ. জয়নুল আবেদিন ছিলেন একজন বড় মাপের চিত্র।
উত্তর : শিল্পী
ঘ. বাংলাদেশের গাছে গাছে শোনা যায় কলকাকলি।
উত্তর : পাখপাখালির
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) গ্রামবাংলার কোন ছবিটি আমাদের চেনা?
উত্তর : বাংলাদেশের সর্বত্রই নদী দেখা যায়। গ্রামবাংলার নদী, নদীর জোয়ার, ঘাটে বাঁধা সারি সারি নৌকা-এই সব মিলে যে ছবি সেটি আমাদের চেনা।
খ) কোন ছবিটি টাকা দিয়ে কেনা যায় না?
উত্তর : বাংলাদেশের ছবির মতো সৌন্দর্য টাকা দিয়ে কেনা যায় না। বাংলাদেশ শস্য-শ্যামল চির সবুজের দেশ। এ দেশে আছে নদী, পাহাড়, সাগরের অপূর্ব সমাহার। গাছে গাছে পাখির কলতান। শান্ত-শ্যামল বাংলাদেশের এই ছবি টাকা-পয়সা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়।
গ) 'স্বদেশ' কবিতায় কী দেখে ছেলেটির দিন কেটে যায়?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রকৃতি আর মানুষের জীবনযাত্রা দেখে ছেলেটির সারাটা দিন কাটে। এ দেশে রয়েছে শস্য-শ্যামল মাঠের পর মাঠ। মাঠে মাঠে মানুষ কাজ করে। হাটের মানুষ হাটে যায়। এসব দেখেই ছেলেটির সারাদিন কেটে যায়।
ঘ) 'সব মিলে এক ছবি' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশ ছবির মতো সুন্দর একটি দেশ- এ বিষয়টি বোঝাতেই কথাটি বলা হয়েছে। সবুজ গাছপালা, নদী-নালা, পাহাড়, সমুদ্র সবকিছুর সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের এই দেশ। একেক ঋতুতে এ দেশের প্রকৃতির চেহারা হয় একেক রকমের। এ দেশে রয়েছে নানা ধরনের মানুষের বসতি। সবকিছু মিলে গোটা দেশটাই যেন হাজার রঙে আঁকা মনভোলানো এক ছবি।
৫. নিচের কথাগুলো বুঝে নিই।
ক) এমনি পাওয়া এই ছবিটি কড়িতে নয় কেনা।
উত্তর : বাংলাদেশ চির সবুজের দেশ। সোনালি আঁশের দেশ। শস্য-শ্যামল বাংলাদেশের মাঠে মাঠে নানা ফসলের খেত। গাছে গাছে পাখি। এঁকেবেঁকে চলেছে অসংখ্য নদী। এর একদিকে পাহাড় আর অন্যদিকে সাগর। সব কিছুতেই প্রকৃতির এক অপরূপ ছোঁয়া। শিল্পী রংতুলি দিয়ে এ প্রকৃতিরই ছবি আঁকেন। কখনো কখনো তা বিক্রি হয়। অনেকে কিনে নেন। কিন্তু শান্ত-শ্যামল প্রকৃতির এই মন জুড়ানো ছবি টাকা-পয়সা দিয়ে কেনা যায় না।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়