১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
আষ্টেপৃষ্ঠে - সর্বাঙ্গে, সারা শরীরে।
গর্দান - ঘাড়ের ওপর থেকে মাথা।
গর্জে ওঠা - হুংকার দিয়ে ওঠা।
স্বাদ - খেতে ভালো লাগে এমন।
বিস্বাদ -খেতে মজা নয় এমন।
পুঁটলি - বোঁচকা।
ফরমাস- হুকুম, আদেশ।
ঘোর - অত্যন্ত, অনেক বেশি, গভীর।
আঁস্তাকুড় - ময়লা, আবর্জনা ফেলার জায়গা।
ফুরসত - অবসর, অবকাশ, ছুটি।
টনটন - যন্ত্রণা বোঝায় এমন অনুভূতি।
চিনচিন - অল্প অল্প ব্যথা বা জ্বালা বোঝায় এমন শব্দ।
মায়াবতী - দয়া, মমতা আছে যে নারীর।
কাঁকন - হাতে পরার গহনা।
রক্ষী - প্রহরী, সেনা।
রাজপ্রাসাদ - রাজপুরী বা রাজবাড়ি।
পরস্পর - একের সঙ্গে অন্যের।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক. তার হাতের রান্না এমন ্ত যে মুখেই তোলা যায় না।
খ. বৃদ্ধ লোকটি তার ্ত সযত্নে একপাশে রেখে দিল।
গ. লোকটির কাজের চাপ এত বেশি যে দম ফেলার ্ত নেই।
ঘ. তার সমস্ত শরীর ব্যথায় ্ত করছে।
ঙ. তারা দুজন ্ত বন্ধু।
চ. গ্রামের মায়া ছেলেটিকে ্ত বেঁধে রেখেছে।
উত্তর : ক. বিস্বাদ; খ. পুঁটলিটি; গ. ফুরসত; ঘ. টনটন; ঙ. পরস্পরের; চ. আষ্টেপৃষ্ঠে।
প্রশ্নের উত্তর:
প্রশ্ন : রাজপুত্র কোথায় বসে রাখালবন্ধুর বাঁশি শুনত?
উত্তর : রাজপুত্র গাছতলায় বসে রাখালবন্ধুর বাঁশি শুনত।
প্রশ্ন : রাজপুত্র রাখালবন্ধুর কথা ভুলে যায় কেন?
উত্তর : রাজপুত্র একসময় রাজা হয়। লোকলস্কর আর সৈন্য সামন্তে তার রাজপুরী গমগম করে। রাজপুরী আলো করে থাকে রানী কাঞ্চনমালা। চারদিকে সুখ আর সুখ। এমন সুখের মাঝে, রাখালবন্ধুর কথা আর মনে থাকে না রাজার।
প্রশ্ন : রাজা কেন মনে করলেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তার এই দশা?
উত্তর : ছোটবেলায় রাখালবন্ধুর কাছে রাজা একটি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। তা হলো, রাজা হলে তিনি রাখালবন্ধুকে তার মন্ত্রী বানাবেন। কিন্তু রাজা হওয়ার পর তিনি বন্ধুকে ভুলে যান। হঠাৎ একদিন রাজা ঘুম ভেঙে দেখেন তার সারা শরীরে সুচ বেঁধা। রাজা বোঝেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছেন বলেই তার এই দশা। কথা দিয়ে কথা না রাখলে এভাবেই কষ্ট পেতে হয়।
প্রশ্ন : তোমার মা বাড়িতে কী ধরনের পিঠা বানায় লেখো।
উত্তর : আমার মা বাড়িতে নানা রকম মজার পিঠা বানায়। যেমন : পুলি পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, চিতই পিঠা, সেমাই পিঠা ইত্যাদি।
প্রশ্ন : অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে কী হতো?
উত্তর : অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে রাজার মহাবিপদ হতো। রাজাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হতো। যন্ত্রণায় ছটফটিয়ে একসময় মারা যেতেন। নকল রানী কাঁকনমালার অত্যাচার আরও বাড়ত। কাঞ্চনমালার দুঃখের সীমা থাকত না।
প্রশ্ন : তুমি কি মনে করো অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেল?
উত্তর : অচেনা লোকটিই মন্ত্র বলে রাজার শরীর থেকে সব সুচ খুলে নেয়। শুধু তাই নয়, নকল রানীকেও মন্ত্রের মাধ্যমে কঠিন সাজা দেয়। সে সাহায্য না করলে রাজা যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে প্রাণ হারাত। তাই আমি মনে করি, অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
প্রশ্ন : গল্পটা তোমার কেমন লেগেছে? কেন এমন লেগেছে?
উত্তর : গল্পটা আমার খুব ভালো লেগেছে। রূপকথার গল্প পড়তে বা শুনতে আমার সবসময়ই ভালো লাগে। পাশাপাশি গল্পটি থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা, কথা দিয়ে কথা না রাখার পরিণাম, প্রতারণা ও অহংকার করার পরিণাম ইত্যাদি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছি। তাই সব মিলিয়ে গল্পটি আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।
প্রশ্ন : কীভাবে লোকেরা নকল রানীকে বুঝে ফেলল?
উত্তর : নকল রানী আর আসল রানীর গুণের পার্থক্য দেখেই লোকেরা নকল রানীকে চিনে ফেলল।
নকল রানী যে পিঠা বানিয়েছিল তা মুখেই দেওয়া যায় না। আসল রানীর পিঠা মুখে দেওয়ামাত্রই সবার মন ভরে যায়। নকল রানীর আঁকা আল্পনা দেখতে হয় খুবই অসুন্দর। অন্যদিকে আসল রানী আল্পনায় আঁকেন সুন্দর সুন্দর নকশা। এসব দেখেই সবাই বুঝে গেল কে আসল রানী, আর কে দাসী।
প্রশ্ন : রাজা কীভাবে তার প্রতিজ্ঞা পালন করলেন?
উত্তর : রাজা রাখালবন্ধুকে মন্ত্রী বানিয়ে তার প্রতিজ্ঞা পালন করলেন।
প্রশ্ন : কী শুনে রাজপুত্রের মন খুশিতে ঝলমলিয়ে ওঠে?
উত্তর : রাখালবন্ধুর বাঁশি শুনে রাজপুত্রের মন খুশিতে ঝলমলিয়ে ওঠে।
প্রশ্ন : 'চারদিকে তার সুখ'- কথাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : রাজপুত্র একসময় রাজা হয়। লোকলস্কর আর সৈন্যসামন্তে রাজপুরী গমগম করে। রাজপুরী আলো করে থাকেন রানী কাঞ্চনমালা। রাজার সুখের শেষ থাকে না।
প্রশ্ন : রানী নদীতে ডুব দিতে গেলে চোখের পলকে কী হয়ে গেল?
উত্তর : রানী নদীতে ডুব দিতে গেলে চোখের পলকে কাঁকনমালা রানীর সব গয়না আর শাড়ি পরে নিজেই রানী সেজে যায়।
প্রশ্ন : আসল রানী ও নকল রানীর আচরণে কী তফাৎ ছিল?
উত্তর : আসল রানী কাঞ্চনমালা ছিলেন দয়ালু, মায়াবতী। অন্যদিকে নকল রানী কাঁকনমালা ছিল দাম্ভিক ও নির্দয়। তার অত্যাচারে রাজপুরীর সবাই অতিষ্ঠ হয়ে যায়।
প্রশ্ন : সুচরাজার কষ্টের সীমা থাকে না কেন?
উত্তর : সুচরাজার সারা শরীরে সুচ বিঁধে যাওয়ায় তার খুব কষ্ট। তার সারা শরীর ব্যথায় টনটন করে, চিনচিন করে জ্বলে, গায়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি এসে বসে। তার সেবা করার জন্য কেউ থাকে না। তাই রাজার কষ্টের সীমা থাকে না।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়