প্রশ্ন : কাঁকনমালার বানানো পিঠা কেমন ছিল?
উত্তর : কাঁকনমালার বানানো পিঠা ছিল খুবই বিস্বাদ। সে পিঠা কেউ মুখেই তুলতে পারেনি।
প্রশ্ন : নকল রানী কীভাবে মারা যায়?
উত্তর : অচেনা লোকটা মন্ত্রবলে নকল রানীকে উচিত শিক্ষা দেয়। তার মন্ত্রের জোরে রাজার শরীর থেকে সব সুচ বেরিয়ে নকল রানীর চোখেমুখে গিয়ে বিঁধে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে নকল রানীর মৃতু্য হয়।
প্রশ্ন : রাজা তার বন্ধুর কাছে ক্ষমা চান কেন?
উত্তর : রাজা তার বন্ধুকে কথা দিয়ে কথা রাখেননি। প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের অপরাধের জন্য রাজা বন্ধুর কাছে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চান।
প্রশ্ন : রাজপুত্র তার বন্ধুর কাছে কী প্রতিজ্ঞা করেছিল?
উত্তর : রাজপুত্র তার বন্ধুর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল, সে বড় হয়ে যখন রাজা হবে তখন রাখালবন্ধুকে তার মন্ত্রী বানাবে।
প্রশ্ন : রক্ষীরা রাখালকে প্রাসাদে ঢুকতে দিল না কেন?
উত্তর : রাখাল ছিল অনেক গরিব। এ কারণে রক্ষীরা তাকে প্রাসাদে ঢুকতে দিল না।
প্রশ্ন : রাজার শরীর কখন সুচবেঁধা হয়ে যায়?
উত্তর : রাখালবন্ধুর সাথে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের পর এক রাতে রাজা ঘুমাতে যান। আর ঘুমের ভেতরেই তার সমস্ত শরীর সুচবেঁধা হয়ে যায়।
প্রশ্ন : কাঁকনমালা কে? কেন তার এমন নাম?
উত্তর : কাঁকনমালা হলো কাঞ্চনমালার কেনা দাসী। কাঞ্চনমালা তাকে কাঁকনের বিনিময়ে কিনেছিলেন বলেই তার নাম কাঁকনমালা।
প্রশ্ন : কাঁকনমালা কাঞ্চনমালার সাথে কেমন আচরণ করে? কেন করে?
উত্তর : কাঁকনমালা কাঞ্চনমালার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। রানী কাঞ্চনমালা নিজের গায়ের গয়নাগুলো তার কাছে রেখে নদীতে ডুব দিতে যান। এই ফাঁকে কাঁকনমালা রানীর গয়না নিজের শরীরে পরে রানী হয়ে যায়, আর কাঞ্চনমালা হন দাসী। তারপর সে কাঞ্চনমালাকে দিয়ে রাজবাড়ির সব কাজকর্ম করিয়ে তাকে অনেক কষ্ট দেয়। কাঁকনমালা লোভী ও অহংকারী হওয়ার কারণেই কাঞ্চনমালার সাথে এ ধরনের আচরণ করে।
প্রশ্ন : কাঞ্চনমালা কোথায় অচেনা মানুষের দেখা পায়?
উত্তর : একদিন কাঞ্চনমালা কাপড় ধুতে নদীর ঘাটে যাচ্ছিলেন। তখন বনের পাশে এক গাছের তলায় তিনি অচেনা মানুষের দেখা পান।
প্রশ্ন : অচেনা মানুষ কীভাবে সুচরাজা ও কাঞ্চনমালাকে উদ্ধার করে?
উত্তর : অচেনা মানুষটি তার বুদ্ধি ও মন্ত্রের জোরে সুচরাজা ও কাঞ্চনমালাকে উদ্ধার করে। সে পিটকুড়লির ব্রতের কথা বলে কাঁকনমালা ও কাঞ্চনমালাকে দিয়ে পিঠা বানানো, আল্পনা দেওয়া ইত্যাদি কাজ করায়। দুজনের কাজের পার্থক্য থেকে সবাই বুঝে যায় কে আসল রানী আর কে নকল রানী। এরপর অচেনা মানুষটার মন্ত্রবলে রাজার শরীরের সব সুচ নকল রানীর চোখেমুখে গিয়ে বিঁধে এবং তার মৃতু্য হয়। এভাবেই অচেনা মানুষটা নানা কৌশলে কাঞ্চনমালা আর সুচরাজার কষ্ট দূর করে।
প্রশ্ন : কাঞ্চনমালা কী কী পিঠা বানায়?
উত্তর : কাঞ্চনমালা চন্দ্রপুরী, মোহনবাঁশি, ক্ষীরমুরলী ইত্যাদি পিঠা বানায়।
প্রশ্ন : কার আল্পনা দেওয়া ভালো হয়েছিল? কেন?
উত্তর : কাঞ্চনমালার আল্পনা দেওয়া ভালো হয়েছিল।
কাঞ্চনমালা ও কাঁকনমালা দুজনেই উঠানে আল্পনা দিয়েছিল। নকল রানী কাঁকনমালা কেবল এখানে-ওখানে খাবলা খাবলা রং দিয়ে আল্পনা করে। তাতে ছিল না কোনো সৌন্দর্য। অন্যদিকে কাঞ্চনমালা পদ্মলতা, সোনার সাত কলস, ধানের ছড়া, ময়ূর-পুতুল ইত্যাদি নানা রকম চোখ জুড়ানো নকশা আঁকেন।
প্রশ্ন : অচেনা মানুষ যে ব্রতটার কথা বলে তার নাম কী? এই ব্রতের দিন রানীদের কী করতে হয়?
উত্তর : অচেনা মানুষ যে ব্রতটার কথা বলে তার নাম হলো পিটকুড়লির ব্রত। এই ব্রতের দিন রানীদের পিঠা বিলাতে হয়।
প্রশ্ন : রাজপুত্র তার বন্ধুর কাছে কী প্রতিজ্ঞা করেছিল?
উত্তর : রাজপুত্র তার বন্ধুর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল, সে বড় হয়ে যখন রাজা হবে তখন রাখালবন্ধুকে তার মন্ত্রী বানাবে।
প্রশ্ন : রাজা কীভাবে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেন?
উত্তর : রাজা হলে রাখালবন্ধুকে তার মন্ত্রী বানাবেন-এই ছিল রাজার প্রতিজ্ঞা। কিন্তু রাজা হওয়ার পর অনেক সুখের মাঝে তিনি বন্ধুর কথা ভুলে যান। এভাবেই তিনি বন্ধুকে দেওয়া প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেন।
প্রশ্ন : কী কারণে রাজা দুর্দশায় পড়েন? শরীরে সুচ গেঁথে যাওয়ায় রাজার কী অবস্থা হলো?
উত্তর : প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণে রাজা দুর্দশায় পড়েন। শরীরে সুচ গেঁথে যাওয়ায় রাজা চোখ মেলতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না, শুতে পারেন না, খেতেও পারেন না। এককথায় রাজার কষ্টের সীমা থাকে না।
প্রশ্ন : পিটকুড়লির ব্রতের দিন রানীদের কী বিলানোর নিয়ম?
উত্তর : পিটকুড়লির ব্রতের দিন রানীদের পিঠা বিলানোর নিয়ম।
প্রশ্ন : কাঞ্চনমালা আল্পনায় কী আঁকেন?
উত্তর : কাঞ্চনমালা আল্পনায় আঁকেন পদ্মলতা। আর তার পাশে আঁকেন সোনার সাত কলস, ধানের ছড়া, ময়ূর, পুতুল।
প্রশ্ন : কাঁকনমালা অচেনা মানুষ আর কাঞ্চনমালার গর্দান নেওয়ার হুকুম দেয় কেন?
উত্তর : অচেনা লোকটির বুদ্ধিতে নকল রানী কাঁকনমালার কুকীর্তি সবার কাছে প্রকাশ হয়ে যায়। সবাই বুঝতে পারে কে আসল রানী, আর কে দাসী। কাঁকনমালা তাই রেগে গিয়ে অচেনা মানুষ আর কাঞ্চনলামার গর্দান নেওয়ার হুকুম দেয়।