পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : পথিকের ঘিলু শুকিয়ে উঠেছিল কেন? উত্তর : জলের তৃষ্ণায় পথিকের ঘিলু শুকিয়ে উঠেছিল। প্রশ্ন : নেপথ্যের বালক কী পাঠ করছিল? উত্তর : নেপথ্যের বালক পাঠ করছিল- 'পৃথিবীর তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল। সমুদ্রের জল লবণাক্ত, অতি বিস্বাদ'। প্রশ্ন : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বিশ্লেষণ করলে কী পাওয়া যায়? উত্তর : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বিশ্লেষণ করলে দুই ভাগ হাইড্রোজেন ও এক ভাগ অক্সিজেন পাওয়া যায়। প্রশ্ন : 'ডিস্টিল ওয়াটার' কী? উত্তর : ডিস্টিল ওয়াটারকে বাংলায় বলে পরিশ্রম্নত জল। এ জল পরিষ্কার হলেও খাওয়া যায় না। কেননা এতে কোনো স্বাদ নেই। প্রশ্ন : পথিক কীভাবে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাবার জল আদায় করলেন? উত্তর : পথিক বিজ্ঞানীর নানা রকম জ্ঞানের কথা অবিশ্বাস করার ভান করলেন। বিজ্ঞানীকে দিয়ে তিনি কৌশলে এক গস্নাস খাবার জল আনালেন। জল নিয়ে আসামাত্র বিজ্ঞানীকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পথিক পুরো গস্নাস সাবাড় করে দিলেন। এভাবেই পথিক কৌশলে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাবার জল আদায় করলেন। প্রশ্ন : 'বোবা জল' বলতে কী বোঝায়? উত্তর : বোবা জল বলতে 'ডিস্টিল ওয়াটার' বা 'পরিশ্রম্নত জল'কে বোঝায়। এ জলে কোনো রকম স্বাদ থাকে না বলে এর নাম 'বোবা জল'। প্রশ্ন : 'জলাতঙ্ক' কাকে বলে? এই রোগ কেমন করে হয়? উত্তর : 'জলাতঙ্ক' হলো এক ধরনের রোগ, যাতে আক্রান্ত হলে মানুষ জলের তৃষ্ণা পেলেও জল খেতে পারে না, বরং তা দেখলেই আতঙ্কিত হয়। ইংরেজিতে একে 'হাইড্রোফোবিয়া' বলে। জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু বহনকারী কোনো পশু মানুষকে কামড়ালে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। প্রশ্ন : জলের তেষ্টায় পথিকের মনের ও শরীরের অবস্থা কী হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো। উত্তর : জলের তেষ্টায় পথিকের মন খুবই অস্থির হয়ে পড়ে। একটুখানি পানি পাওয়ার জন্য সে চঞ্চল হয়ে ওঠে। পথিকের শরীর পানির অভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। চুল হয়ে গিয়েছিল উসকো-খুসকো। চেহারায় ছিল উদ্ভ্রান্ত ভাব। প্রশ্ন : পথিককে ঝুড়িওয়ালা কত রকম জলের কথা শুনিয়েছিল? নামগুলো লেখো। উত্তর : পথিককে ঝুড়িওয়ালা পাঁচ রকম জলের কথা শুনিয়েছিল। নামগুলো হলো- ১. কুয়োর জল, ২. নদীর জল, ৩. পুকুরের জল, ৪. কলের জল এবং ৫. মামাবাড়ির জল। প্রশ্ন : পানিতে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের পরিমাণ কত? উত্তর : পানিতে এক ভাগ অক্সিজেন আর দুই ভাগ হাইড্রোজেন। প্রশ্ন : জলাতঙ্ক কী? এটি হলে কী সমস্যা হয়? উত্তর : জলাতঙ্ক এক ধরনের রোগ। জলাতঙ্ক হলে পানি খাওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। পানি খেতে গেলেই গলায় খিচ ধরে যায়। প্রশ্ন : কার হাইড্রোফোবিয়া হয়েছিল? কীভাবে? উত্তর : বদ্যিনাথের হাইড্রোফোবিয়া হয়েছিল। কুকুরের কামড়ে তার এই রোগ হয়েছিল। হাতি আর শেয়ালের গল্প ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। দিগন্ত, অহংকার, তিরিক্ষি, তুলকালাম কান্ড, হুঙ্কার, মেদিনী, তটস্থ, শঙ্কিত, শক্তিধর, আস্তানা, উদগ্রীব, সমস্বরে। দিগন্ত - প্রান্তরের শেষে আকাশ যেখানে গিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে বলে মনে হয়। অহংকার - নিজেকে অনেক বড় কেউ এ রকম মনে করা। তিরিক্ষি - খারাপ মেজাজ। তুলকালাম কান্ড - এলাহি কান্ড। হুঙ্কার - চিৎকার। মেদিনী - ভূপৃষ্ঠ। তটস্থ - ব্যতিব্যস্ত। শঙ্কিত - ভীত। শক্তিধর - শক্তি আছে যার। আস্তানা - বসবাসের জায়গা। উদগ্রীব - প্রতিমুহূর্ত অপেক্ষা করা। সমস্বরে - একসঙ্গে শব্দ করা বা কথা বলা। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। দিগন্তের তটস্থ তিরিক্ষি তুলকালাম কান্ড হুঙ্কার অহংকার শঙ্কিত মেদিনী ক. বিদু্যৎ চমকালে কেঁপে ওঠে বলে মনে হতে পারে। খ. পতনের মূল। গ. কী হয়েছে, এত হয়ে আছ কেন? ঘ. বনের সিংহ দিলে মানুষের মনে ভয় জাগে। ঙ. নিজের কলমটা খুঁজে না পেয়ে সে বাঁধিয়ে দিয়েছে। চ. ওপারে কী আছে কেউ জানে না। ছ. মেজাজ বলে তার কাছে কেউ ঘেঁষতে চায় না। জ. তুমি এত কেন? কী হয়েছে? উত্তর : ক. মেদিনী; খ. অহংকার; গ. তটস্থ; ঘ. হুঙ্কার; ঙ. তুলকালাম কান্ড; চ. দিগন্তের; ছ. তিরিক্ষি; জ. শঙ্কিত প্রশ্ন : অমিত শক্তিধর কাকে বলা হয়েছে? উত্তর : অমিত শক্তিধর বলা হয়েছে অহংকারী হাতিটাকে। প্রশ্ন : বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ কী? উত্তর : বনের পশুরা খুব সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিল। এমন সময় মস্ত এক হাতি তাড়া খেয়ে বনে এসে ঢোকে। অহংকারী সেই হাতিটার অত্যাচারে বনের পশুদের সবসময় শঙ্কিত থাকতে হয়। তাই তাদের মন থেকে শান্তি হারিয়ে যায়। \হপরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়