অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

মো. মাসুদ খান, প্রধান শিক্ষক ডেমরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
এসিড ও ক্ষারের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য : ১. প্রায় সকল এসিড কার্বোনেটের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস উৎপাদন করে। যেমন : ঈধঈঙ৩ + ২ঐঈষ জ্জম ঈধঈষ২ + ঐ২ঙ + ঈঙ২্ল ২. প্রায় সকল এসিডই ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদন করে। যেমন : তহ + ২ঐঈষ জ্জম তহঈষ২ + ঐ২্ল ৩. ক্ষারক ও এসিডের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়। যেমন : ঘধঙঐ + ঐঈষ জ্জম ঘধঈষ(সোডিয়াম ক্লোরাইড)+ ঐ২ঙ কঙঐ + ঐঘঙ৩ জ্জম কঘঙ৩(পটাসিয়াম নাইট্রেট)+ ঐ২ঙ অম্স্ন, ক্ষার ও লবণ শনাক্তকরণ : নির্দেশক হিসেবে লিটমাস কাগজ ব্যবহার করলে- এসিড নীল লিটমাসকে লাল করে। ক্ষার লাল লিটমাসকে নীল করে। লবণ লিটমাসের কোনো বর্ণ পরিবর্তন করে না। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন:এসিড ও ক্ষারকের মূল পার্থক্য কী? উত্তর :এসিড ও ক্ষারকের মূল পার্থক্য হলো- এসিড পানিতে হাইড্রোজেন আয়ন (ঐ+) তৈরি করে আর ক্ষারক পানিতে হাইড্রোক্সিল আয়ন (ঙঐ-) তৈরি করে। প্রশ্ন:সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়- এ কথার ব্যাখ্যা কর। উত্তর :ক্ষারক হলো মূলত ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড। কিছু কিছু ক্ষারক আছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় আর কিছু আছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যেসব ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদের ক্ষার বলে। তাহলে ক্ষার হলো বিশেষ ধরনের ক্ষারক যারা পানিতে দ্রবীভূত হয়। ঘধঙঐ, ঈধ(ঙঐ)২, ঘঐ৪ঙঐ এরা সবাই ক্ষার, কারণ এরা পানিতে দ্রবীভূত হয়। এদের কিন্তু ক্ষারকও বলা যায়। অন্যদিকে [অ১(ঙঐ)৩] কিন্তু পানিতে দ্রবীভূত হয় না। তাই এটি একটি ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়। অতএব বলা যায় যে, সকল ক্ষার ক্ষারক হলেও সকল ক্ষারক ক্ষার নয়। প্রশ্ন:চুনের পানিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস চালনা করলে কী ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে তা বিক্রিয়াসহ লেখ। উত্তর :চুনের পানিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস চালনা করলে দেখা যায়, কিছুক্ষণের মধ্যেই পানি ঘোলা হয়ে গেছে। কারণ কার্বন ডাইঅক্সাইড চুনের পানিকে ঘোলা করে। চুনের পানি হলো ঈধ(ঙঐ)২। এ ঈধ(ঙঐ)২ কার্বন ডাইঅক্সাইডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অদ্রবণীয় ঈধঈঙ৩ ও ঐ২ঙ উৎপন্ন করে। এ সময় নিম্নরূপ রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। ঈধ(ঙঐ)২ + ঈঙ২ ম অদ্রবণীয় ঈধঈঙ৩ + ঐ২ঙ প্রশ্ন:বিশুদ্ধ পানি ও লবণ কি লিটমাস কাগজের রং পরিবর্তন করে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। উত্তর :বিশুদ্ধ পানি ও লবণ লিটমাস কাগজের রং পরিবর্তন করে না। কারণ এরা নিরপেক্ষ পদার্থ। এসিড ও ক্ষারের মধ্যে বিক্রিয়ার ফলে এসিড বা ক্ষারের ধর্ম সম্পূর্ণভাবে লোপ পেয়ে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়। এ বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। প্রশমন বলতে ঐ+ + ঙঐ- = ঐ২ঙ বিক্রিয়াকে বুঝায়। এ ক্ষেত্রে এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন লবণ ও পানিতে ঐ+ বা ঙঐ- আয়নের কোনোটিই অতিরিক্ত থাকে না। তাই লবণ ও পানিতে এসিড বা ক্ষারের কোনো ধর্ম প্রকাশ পায় না। পানি ও লবণ কোনোটিই নীল লিটমাসকে লাল বা লাল লিটমাসকে নীল করে না। কারণ এগুলো অম্স্নীয় বা ক্ষারকীয় নয়। ফলে লিটমাস কাগজের রং পরিবর্তন হয় না। প্রশ্ন:নির্দেশক বলতে কী বোঝ? উত্তর :যেসব পদার্থ নিজেদের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো একটি বস্তু অম্স্ন না ক্ষার বা কোনোটিই নয় তা নির্দেশ করে তাদের নির্দেশক বলে। লিটমাস কাগজ, মিথাইল অরেঞ্জ, ফেনোফথ্যালিন, মিথাইল রেড এগুলো নানা রকমের নির্দেশক যা একটি অজানা পদার্থ এসিড, ক্ষার না নিরপেক্ষ তা বুঝাতে সাহায্য করে। প্রশ্ন:ম্যালিক এসিড পাওয়া যায় কোন ফলে? উত্তর :ম্যালিক এসিড পাওয়া যায় আনারসে। প্রশ্ন:এসিড কাকে বলে? উত্তর :হাইড্রোজেন যুক্ত যেসব যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (ঐ+) উৎপন্ন করে, তাদের এসিড বলে। যেমন : ঐঈষ, ঐঘঙ৩, ঐ২ঝঙ৪, ঈঐ৩ঈঙঙঐ ইত্যাদি। প্রশ্ন: নীলবর্ণের লিটমাস কাগজে কী যোগ করলে লাল বর্ণ ধারণ করে? উত্তর :নীলবর্ণের লিটমাস কাগজে কোনো এসিড যোগ করলে তা লাল বর্ণ ধারণ করে। প্রশ্ন:কাকে এসিডের বিপরীতধর্মী যৌগ বলা হয়? উত্তর :ক্ষারককে এসিডের বিপরীতধর্মী যৌগ বলা হয়। প্রশ্ন:কোনটি এসিড ও ক্ষারের সংস্পর্শে এসে রং বদলায়? উত্তর :নির্দেশক এসিড ও ক্ষারের সংস্পর্শে এসে রং বদলায়। প্রশ্ন:পানিতে দ্রবণীয় ক্ষারককে কী বলে? উত্তর :পানিতে দ্রবণীয় ক্ষারককে ক্ষার বলে। প্রশ্ন:ফেনফথ্যালিন কী? উত্তর :ফেনফথ্যালিন একটি নির্দেশক যা এসিড ও ক্ষার দ্রবণ শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রশ্ন:সোনাকে খাদমুক্ত করার কাজে কী এসিড ব্যবহৃত হয়? উত্তর :সোনাকে খাদমুক্ত করার কাজে ঐঘঙ৩ ব্যবহৃত হয়। প্রশ্ন:মিল্ক অফ লাইম কী কাজে ব্যবহৃত হয়? উত্তর :পোকামাকড় দমনের কাজে মিল্ক অফ লাইম ব্যবহৃত হয়। প্রশ্ন:ক্ষারক ও এসিডের বিক্রিয়ায় কী উৎপন্ন হয়? উত্তর :ক্ষারক ও এসিডের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়। প্রশ্ন: ঈঐ৩ঈঙঙঐ, ঐঙঙঈ-ঈঙঙঐ, ঐঈষ, ঐ২ঝঙ৪ এসব যৌগের মধ্যে মিল কোথায়? উত্তর : এসব যৌগের মধ্যে মিল হলো- এদের সবগুলোতেই এক বা একাধিক ঐ আছে এবং এরা সবাই পানিতে হাইড্রোজেন আয়ন (ঐ+) তৈরি করে। প্রশ্ন: ঘধঙঐ, কঙঐ, ঘঐ৪ঙঐ, ঈধ(ঙঐ)২ এসব যৌগের মধ্যে মিল কোথায়? উত্তর : এসব যৌগের মধ্যে মিল হলো এদের সবগুলোতেই অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু আছে এবং এরা সবাই পানিতে হাইড্রোক্সিল আয়ন (ঙঐ-) তৈরি করে। প্রশ্ন: ঐ২ঝঙ৪ কে এসিড বলা হয় কেন? উত্তর : ঐ২ঝঙ৪ পানিতে ঐ+ উৎপন্ন করে বলে একে এসিড বলা হয়। ঐ২ঝঙ৪ জ্জমঐ২ঙ ঐ+ + ঐঝঙ৪- এই এসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে। এজন্য ঐ২ঝঙ৪ কে এসিড বলা হয়। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়