চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন: আগুনজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায়গুলো লেখ। উত্তর:আমরা বিভিন্ন উপায়ে আগুনজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারি। যেমন- ১) চুলার কাছাকাছি যাওয়া এবং ম্যাচ নিয়ে খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। ২) রান্নার সময় লম্বা হাতাওয়ালা বা ঢিলেঢালা পোশাক পরা যাবে না। ৩) সহজে আগুন ধরে এমন সব বস্তু যেমন-কাগজ, কাপড়, শুকনো কাঠ ইত্যাদি তাপ ও আগুনের শিখা থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখতে হবে। ৪) বৈদু্যতিক পস্নাগে অতিরিক্ত সংযোগ পরিহার করতে হবে। প্রশ্ন: কোনো জায়গায় আগুন লাগলে কী করতে হবে? উত্তর: কোনো জায়গায় আগুন লাগলে প্রাথমিক পর্যায়েই তা নেভাতে হবে। কোথাও আগুন লাগলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে, ভেজা কম্বল বা কাঁথা দিয়ে জড়িয়ে অথবা আগুনের উৎসে পানি ঢেলে প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নেভাতে হবে। আগুন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে দ্রম্নত সেখান থেকে বেরিয়ে ফায়ার স্টেশনে যোগাযোগ করতে হবে। একা একা আগুন নেভাতে যাওয়া ঠিক নয়। সবার আগে নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করতে হবে। প্রশ্ন: রাজুকে সাপে কেটেছে। তার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কোন কাজগুলো করা অনুচিত? উত্তর:রাজুর সাপে কাটা রোগের চিকিৎসার জন্য যেসব কাজ করা অনুচিত তা হলো- ১) বিষ বের করার জন্য ক্ষতস্থানে মুখ দিয়ে চোষা। ২) ক্ষতস্থানের চারপাশের ত্বক কাটা। ৩) ক্ষতস্থানে বরফ লাগানো। ৪) অপ্রয়োজনে নড়াচড়া করা। ৫) সাপটি ধরার চেষ্টা করা। ৬) ওঝা বা সাপুড়ের কাছে চিকিৎসার জন্য যাওয়া। প্রশ্ন:তোমার ছোট ভাই বিদু্যস্পৃষ্ট হলো। ডাক্তার আসার পূর্ব পর্যন্ত তুমি তার জন্য কী করবে? উত্তর:যত দ্রম্নত সম্ভব বিদু্যতের উৎস থেকে আমার ছোট ভাইকে আলাদা করে নেব এবং ডাক্তার আসার পূর্ব পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যা করব তা হলো- ১) প্রথমে বিদু্যৎস্পৃষ্ট ছোট ভাইয়ের শ্বাস-প্রশ্বাস, নাড়ির স্পন্দন এবং ক্ষতস্থান পরীক্ষা করব। ২) তার দেহ পুড়ে গেলে আগুনে পোড়ার প্রাথমিক চিকিৎসা দেব। ৩) যদি সে শ্বাস না নেয় তাহলে তার নাক চেপে ধরে মুখে মুখ লাগিয়ে কয়েকবার ফুঁ দেব এবং বুকে চাপ প্রয়োগ করব। প্রশ্ন:তোমার ছোট ভাইয়ের হাত আগুনে পুড়ে গেছে। এখন তোমার কী করা উচিত এবং কী করা অনুচিত? উত্তর:ছোট ভাইকে আগুন পুড়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা দেব। এজন্য যা করা উচিত তা হলো- ১) পোড়া স্থানে কমপক্ষে ১০ মিনিট ঠান্ডা পানি ঢালব। ২) সামান্য পুড়ে গেলে পোড়া স্থানে বার্নল বা পানি নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাব। ৩) প্রয়োজনে যত দ্রম্নত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেব। যে কাজগুলো করা অনুচিত তা হলো- ১) পোড়া স্থানে বরফ ব্যবহার করা। ২) ফোস্কা সৃষ্টি হলে তা গলানো। পদার্থ শূন্যস্থান পূরণ করো। ১) পদার্থ যে জায়গা দখল করে তাকে ওই পদার্থের বলে। ২) কোনো বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে কত জোরে টানছে তার পরিমাণই হলো। ৩) বস্তুর ওজন পরিমাপের একক হচ্ছে। ৪) জায়গা দখল করে। ৫) পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য। ৬) কঠিন পদার্থের আয়তন এককে পরিমাপ করা হয়। ৭) তরল পদার্থের আয়তন পরিমাপের একক হলো বা। ৮) আমরা যখন কোনো বস্তু হাত দিয়ে উপরে তুলে ধরি তখন তার অনুভব করা যায়। ৯) আমরা বা ব্যবহার করে বস্তুর ওজন পরিমাপ করি। ১০) পৃথিবী সকল বস্তুকে তার দিকে টানছে। ১১) বায়ু একটি। ১২) আমরা যখন বায়ুপূর্ণ ফুটবলকে আঘাত করি, তখন বলের দিক থেকেও একটি চাপ অনুভব করি। ১৩) প্রয়োগের ফলে বায়ু প্রদান করে। উত্তর : ১) আয়তন, ২) ওজন, ৩) গ্রাম বা কিলোগ্রাম। ৪) পদার্থ ৫) আয়তন ৬) ঘন সেন্টিমিটার ৭) মিলিমিটার বা লিটার ৮) ওজন ৯) দাঁড়িপালস্না বা নিক্তি ১০) কেন্দ্রের ১১) পদার্থ ১২) বিপরীতমুখী ১৩) চাপ, বাধা সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ। ১) পদার্থের সাধারণ বৈশিষ্ট্য কোনটি? ক. রং খ. গন্ধ গ. আয়তন ঘ. গঠন উত্তর : গ. আয়তন ২) বস্তুর ওজন পরিমাপের জন্য নিচের কোন পরিমাপক যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়? ক. দাঁড়িপালস্না খ. রুলার গ. থার্মোমিটার ঘ. পরিমাপক পাত্র উত্তর : ক. দাঁড়িপালস্না ৩) রান্নার তেল পরিমাপের একক কোনটি? ক. বর্গ সেন্টিমিটার খ. লিটার গ. ঘন সেন্টিমিটার ঘ. মিটার উত্তর : খ. লিটার বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল করো। পদার্থ আয়তন জায়গা দখল ওজন কঠিন পদার্থের আয়তন ওজন বস্তুর ওজন ঘন সেন্টিমিটার পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকের টান গ্রাম উত্তর : পদার্থ- ওজন। জায়গা দখল- আয়তন। কঠিন পদার্থের আয়তন- ঘন সেন্টিমিটার। বস্তুর ওজন- গ্রাম। পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকের টান- ওজন। প্রশ্ন-উত্তর প্রশ্ন :বায়ুর তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ। উত্তর :বায়ুর তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো- ক. বায়ুর ওজন আছে খ. এর আয়তন আছে গ. চাপ প্রয়োগে বায়ু বাধা প্রদান করে। প্রশ্ন :বস্তুর ওজন বলতে কী বোঝ? উত্তর :কোনো বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে যে বলে টানছে তাই হলো বস্তুটির ওজন। ওজন পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়