পঞ্চম শ্রেণির বাংলা
প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
ভাবুক ছেলেটি
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
১) ভাবুক ছেলেটি আসলে কে ছিল?
উত্তর :ভাবুক ছেলেটি আসলে ছিল বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু।
২) সে ছোটবেলায় কী কী নিয়ে ভাবত?
উত্তর :জগদীশচন্দ্র বসু ছোটবেলায় গাছ-গাছালি নিয়ে গভীরভাবে ভাবত। গাছ ভেঙে গেলে বা তাদের কেটে ফেললে তারা ব্যথা পায় কিনা এ প্রশ্ন ছিল ছেলেটির মনে। এ ছাড়া রোদ-বৃষ্টি, বাজ পড়ার কারণ ইত্যাদি বিষয় নিয়েও তার ভাবনা ছিল।
৩) সে কবে, কোথা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল?
উত্তর :জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল।
৪) কখন থেকে তিনি 'বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু' হয়ে ওঠেন?
উত্তর :লন্ডন থেকে বিএসসি পাস করে জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এখানে বৈষম্য ও প্রাপ্য বেতন না দেওয়ার প্রতিবাদে দীর্ঘ তিন বছর তিনি বেতন না নিয়েই কর্তব্য পালন করেন। শেষ পর্যন্ত ইংরেজ সরকার তাকে স্বীকৃতি দিয়ে চাকরিতে স্থায়ী করে ও তার সব বকেয়া পরিশোধ করে। তখন থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন 'বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু'।
৫) কোন সত্য প্রমাণ করে তিনি বেশি পরিচিতি লাভ করেন?
উত্তর : জগদীশচন্দ্র বসু সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন 'গাছেরও প্রাণ আছে'- এই সত্য প্রমাণ করে।
৬) তার বক্তৃতার সফলতা সবচেয়ে বেশি ছিল কোন বিষয়ে?
উত্তর :বিজ্ঞান বিষয়ে।
৭) বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্রে তার সফলতাকে কোন নামকরা বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর : বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্রে স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর সফলতাকে বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক গ্যালিলিও ও নিউটনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
৮) 'পলাতক তুফান' নামে লেখাটির আগে কী নাম ছিল? তার কোন বইয়ে এটি ছাপা হয়?
উত্তর : 'পলাতক তুফান' নামে লেখাটির আগের নাম ছিল 'নিরুদ্দেশ কাহিনী'। লেখাটি স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর 'অব্যক্ত' নামক বইয়ে ছাপা হয়।
৯) অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি কী প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণের দুই বছর পর তিনি 'জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানমন্দির' প্রতিষ্ঠা করেন।
১০) 'তার প্রত্যেকটি আবিষ্কার বিজ্ঞান জগতে এক একটি বিজয়স্তম্ভ।'- এমন কথা কোন বিখ্যাত ব্যক্তি বলেছিলেন? কেন বলেছিলেন?
উত্তর : 'তার প্রত্যেকটি আবিষ্কার বিজ্ঞানজগতে এক একটি বিজয়স্তম্ভ'- জগদীশচন্দ্র বসু সম্বন্ধে এ কথা বলেছিলেন সুবিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন।
স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর আবিষ্কারের কারণে আজকের বেতার, টেলিভিশন, রাডারসহ বিশ্বের অধিকাংশ তথ্য আদান-প্রদান হয়। তার আবিষ্কার সভ্যতার যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়। তাই তার আবিষ্কারে মুগ্ধ হয়ে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন উক্ত কথা বলেছেন। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়