চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম য়
আবহাওয়া ও জলবায়ু শূন্যস্থান পূরণ কর। ১. কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থা হলো। ২. মেঘের ক্ষুদ্র পানি-কণা একত্রে মিলিত হয়ে হয়। ৩. বাংলাদেশে কালে কুয়াশা পড়ে। ৪. ভালো ফসল ফলাতে প্রয়োজন। ৫. বাতাস কতটা ঠান্ডা বা গরম সেই অবস্থাই হচ্ছে। ৬. বাতাসে বেশি থাকলে আমরা সহজেই ঘেমে যাই। ৭. বায়ুপ্রবাহ অনেক শক্তিশালী সৃষ্টি করতে পারে। ৮. ধূলিকণা থেকে তৈরি হয় অবস্থা। ৯. পানির অন্যতম প্রধান উৎস হলো। ১০. কারণে বন্যা হয়। ১১. অক্ষাংশ হলো থেকে কোনো স্থানের দূরত্ব। ১২. বিষুবরেখার নিকট সূর্য কিরণ দেয়। ১৩. আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস। ১৪. ফসল ঘরে তোলার ঋতু হলো। ১৫. মান যত বেশি হবে জলবায়ু তত শীতল হবে। উত্তর: ১) জলবায়ু, ২) বৃষ্টি, ৩) শীত, ৪) বৃষ্টি। ৫) তাপমাত্রা, ৬) জলীয় বাষ্প, ৭) সাইক্লোন বা ঝড়, ৮) আবছায়া, ৯) বৃষ্টি, ১০) ভারী বৃষ্টিপাতের, ১১) বিষুবরেখা, ১২) খাড়াভাবে, ১৩) বর্ষাকাল, ১৪) হেমন্তকাল, ১৫) অক্ষাংশের। সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ। ১) কোনটি আবহাওয়ার উপাদান নয়? ক. তাপমাত্রা খ. আর্দ্রতা গ. অক্ষাংশ ঘ. বায়ুপ্রবাহ উত্তর:গ. অক্ষাংশ ২) আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান কারণ কী? ক. বৃষ্টি খ. কুয়াশা গ. বায়ুপ্রবাহ ঘ. মেঘ উত্তর:গ. বায়ুপ্রবাহ ৩) মেঘ তৈরি হয় কোনটি থেকে? ক. বাতাস খ. রোদ গ. শিশির ঘ. জলীয় বাষ্প উত্তর:ঘ. জলীয় বাষ্প ৪) কোনটির ওপর কোনো স্থানের জলবায়ু নির্ভর করে? ক. বিষুবরেখা খ. সূর্য থেকে স্থানটির দূরত্ব গ. চাঁদ ঘ. সমুদ্র থেকে স্থানটির দূরত্ব উত্তর: ঘ. সমুদ্র থেকে স্থানটির দূরত্ব সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন:আবহাওয়ার উপাদানগুলোর নাম লিখ। উত্তর: আবহাওয়ার উপাদানগুলো হলো আকাশের অবস্থা, বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, বৃষ্টি, রোদ ইত্যাদি। প্রশ্ন:আর্দ্রতা বলতে কী বোঝ? উত্তর:আর্দ্রতা হচ্ছে বাতাসে কতটুকু জলীয় বাষ্প আছে তার পরিমাণ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে আমরা খুব সহজেই ঘেমে যাই কিন্তু কম থাকলে শুষ্ক অনুভব করি। আমরা আবহাওয়ার অবস্থা বোঝানোর জন্য 'আর্দ্র' বা শুষ্ক বলে থাকি। প্রশ্ন:শিশির কী? উত্তর: কুয়াশা গাছের পাতা বা ঘাসের ওপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণার সৃষ্টি করে। এটিই শিশির। বর্ণনামূলক প্রশ্ন প্রশ্ন:বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন বর্ণনা কর। উত্তর: বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র। বাংলাদেশে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত এই ছয়টি ঋতু রয়েছে। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মকাল। এটি বছরের সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু। আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। এ সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ভাদ্র ও আশ্বিন এই দুই মাস শরৎকাল। শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুই মাস হেমন্তকাল। এটি ফসল ঘরে তোলার ঋতু। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। এই সময় বাংলাদেশে ঠান্ডা অনুভব হয়। ফাল্গুন ও চৈত্র মাস বসন্তকাল। এই সময় শীত ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং আবহাওয়া উষ্ণ হতে থাকে। এটিই বাংলাদেশের জলবায়ুর কাঠামো। প্রশ্ন: মেঘ কীভাবে তৈরি হয় ব্যাখ্যা কর। উত্তর: জলীয় বাষ্প ঠান্ডা এবং ঘনীভূত হয়ে মেঘ তৈরি হয়। রৌদ্রের তাপে সাগর বা নদীর পানি বাষ্পীভূত হয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। এ জলীয় বাষ্প বায়ুর চেয়ে হালকা বলে আকাশের উপরের দিকে উঠে যায়। উপরের দিকে বাতাস ঠান্ডা। এই ঠান্ডা বায়ুর সংস্পর্শে জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়। যখন বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয় তখন তা সূক্ষ্ণ ধূলিকণার উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণা তৈরি করে। বাতাসে ভেসে বেড়ানো এই ক্ষুদ্র পানি-কণাকে মেঘ বলে। প্রশ্ন:অতি বৃষ্টি হলে কী সমস্যা হয়? উত্তর: অতি বৃষ্টি হলে বন্যা হয়। বৃষ্টি হয়ে সাধারণ বৃষ্টির পানি নদীতে গড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে তা সমুদ্রে চলে যায়। কিন্তু বৃষ্টি বেশি হলে নদীর পানি দ্রম্নত বৃদ্ধি পায় এবং সমতল ভূমি তলিয়ে যায়। এ সময় রাস্তাঘাট, মাঠের ফসল, বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে যায়। অতি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় জানমালের প্রচুর ক্ষতি হয়। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়