চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
বর্ণনামূলক প্রশ্ন প্রশ্ন:আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য কী? উত্তর: আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানের মধ্যে ভিন্নতা নেই। তবুও তাদের মধ্যে নিম্নরূপ পার্থক্য রয়েছে- আবহাওয়া ১) আবহাওয়া হলো কোনো জায়গার স্বল্পকালীন অবস্থা। ২) একই সময়ে দুটি কাছাকাছি বা নিকটবর্তী এলাকার আবহাওয়া ভিন্ন হতে পারে। যেমন- বৃষ্টি হচ্ছে এমন জায়গার নিকটবর্তী এলাকায় রোদ হতে পারে। ৩) আবহাওয়ার পরিবর্তন স্বল্প সময়ের মধ্যে হতে পারে। কোনো এলাকায় সকালে বৃষ্টি কিন্তু দুপুরে আবার রোদ হতে পারে। জলবায়ু ১) জলবায়ু হলো কোনো জায়গার অনেক বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা। ২) বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত একটি দেশের জলবায়ু অভিন্ন না হয়ে একই রকম হয়। এই জন্য বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র। ৩) কোনো বিশাল এলাকায় জলবায়ুর পরিবর্তন হতে অনেক সময় লাগে। যেমন- বিশ বা ত্রিশ বছর ধরে বাংলাদেশের জলবায়ু একই রকম অর্থাৎ উষ্ণ ও আর্দ্র। বাম পাশের শব্দের সঙ্গে ডান পাশের শব্দের মিল কর। তাপমাত্রা মৃদু বা প্রবল আর্দ্রতা গরম বা ঠান্ডা বায়ুপ্রবাহ ভারী বা হালকা বৃষ্টিপাত আর্দ্র বা শুষ্ক শীতকাল বন্যা বায়ুর জলীয় বাষ্প বায়ুপ্রবাহ তাপমাত্রার পার্থক্য শরৎকাল শিলা কুয়াশা অতি বৃষ্টি জমাটবদ্ধ বৃষ্টি সাদা মেঘ আর্দ্রতা উত্তর: তাপমাত্রা -গরম বা ঠান্ডা। আর্দ্রতা -আর্দ্র বা শুষ্ক। বায়ুপ্রবাহ - মৃদু বা প্রবল। বৃষ্টিপাত -ভারী বা হালকা। শীতকাল - কুয়াশা। বায়ুর জলীয় বাষ্প - আর্দ্রতা। তাপমাত্রার পার্থক্য - বায়ুপ্রবাহ। শিলা - জমাটবদ্ধ বৃষ্টি। অতি বৃষ্টি - বন্যা। সাদা মেঘ - শরৎকাল। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন:আবহাওয়া কী? উত্তর:আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের আকাশ ও বায়ুমন্ডলের সাময়িক অবস্থা, যা প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। প্রশ্ন:বাংলাদেশে কোন ঋতুতে বজ্রবৃষ্টি হয়? উত্তর:বাংলাদেশে গ্রীষ্ম ঋতুতে বজ্রবৃষ্টি হয়। প্রশ্ন:বাংলাদেশে কোন সময়ে কুয়াশা দেখা যায়? উত্তর: বাংলাদেশে শীতকালে কুয়াশা দেখা যায়। প্রশ্ন:তাপমাত্রা কী? উত্তর:কোনো জিনিস কতটা ঠান্ডা বা গরম, সেটাই হচ্ছে তার তাপমাত্রা। প্রশ্ন:বায়ুপ্রবাহ কী? উত্তর:বায়ুপ্রবাহ হলো বায়ুর সচল অবস্থা। এটি হালকা বা প্রবল হতে পারে। প্রশ্ন:বায়ুপ্রবাহের কারণ কী? উত্তর:বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণেই বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন:বৃষ্টি কী? উত্তর:মেঘের ক্ষুদ্র পানি-কণগুলো মিলিত হয়ে বড় পানির কণা তৈরি করে। বড় পানি-কণাগুলো বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে না। ফোঁটা ফোঁটা পানি হয়ে নিচে নেমে আসে। এটিই বৃষ্টি। প্রশ্ন:শিলা কী? উত্তর:শিলা হলো অসম আকৃতির বরফের টুকরা যা জমাটবদ্ধ বৃষ্টি থেকে তৈরি হয়। প্রশ্ন:বন্যা সৃষ্টির মূল কারণ কী? উত্তর: বন্যা সৃষ্টির মূল কারণ হলো ভারী বৃষ্টিপাত। প্রশ্ন:বন্যা কাকে বলে? উত্তর: ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যখন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সমতল ভূমি, রাস্তাঘাট, মাঠের ফসল এবং বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে যায়, তখন তাকে বন্যা বলে। প্রশ্ন:জলবায়ু কী? উত্তর:জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থান। প্রশ্ন:ঢাকা শহরের গড় তাপমাত্রা কত? উত্তর: ঢাকার শহরের গড় তাপমাত্রা ২৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রশ্ন:বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন? উত্তর: বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র। প্রশ্ন: কোনো স্থানের জলবায়ু কিসের ওপর নির্ভর করে? উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট স্থানের জলবায়ু ওই স্থানের অক্ষাংশ, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে স্থানটির উচ্চতা ও সমুদ্র থেকে স্থানটির দূরত্বের ওপর নির্ভর করে। প্রশ্ন:অক্ষাংশ কী? উত্তর: অক্ষাংশ হলো বিষুবরেখা থেকে কোনো স্থানের দূরত্ব। প্রশ্ন:বাংলাদেশের ঋতুগুলোর নাম লেখ। উত্তর: বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু হলো গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। প্রশ্ন:বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু কোনটি? উত্তর: বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু হলো গ্রীষ্ম। প্রশ্ন:বাংলাদেশ ছাড়া উত্তর গোলার্ধের অন্যান্য দেশে কয়টি ঋতু? উত্তর:বাংলাদেশ ছাড়া উত্তর গোলার্ধের অন্যান্য দেশে চারটি ঋতু বিদ্যমান। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়