চতুর্থ শ্রেণির পড়াশোনা

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম য়
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন : তুর্কি সৈনিক বখতিয়ার খিলজীর বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মধ্যযুগের সূচনা হয়। এ সময় বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থার পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উলেস্নখ কর। উত্তর : মধ্যযুগের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পাঁচটি বৈশিষ্ট্য নিচে উলেস্নখ করা হলো : ১. মধ্যযুগে বাংলার অর্থনীতি ছিল কৃষিভিত্তিক। ২. এ সময় তুলা দিয়ে রকমারি মসলিন কাপড় বানানো হতো। ৩. মধ্যযুগে কুটির শিল্প ছাড়াও নৌকা, জাহাজ, গালিচা, কাগজ ইত্যাদি শিল্প গড়ে উঠেছিল। ৪. এ সময় বাংলার বণিকেরা রেশম, বিলাসসামগ্রী, তুলা ও মূল্যবান পাথর আমদানি করতেন। ৫. বাংলা থেকে রপ্তানি হতো চাল, চিনি, আদা, হলুদ, মসলিন ও অন্যান্য কাপড়। এশিয়া মহাদেশ প্রশ্ন: বাংলাদেশ ব্যতীত এশিয়া মহাদেশের দুইটি দেশের নাম লেখ। উত্তর : বাংলাদেশ ব্যতীত এশিয়া মহাদেশের দুইটি দেশের নাম হলো পাকিস্তান ও ভারত। প্রশ্ন: এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত দুইটি মহাসাগরের নাম লেখ। উত্তর : এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত দুইটি মহাসাগর হলো উত্তর মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগর। প্রশ্ন: এশিয়ার দুইটি প্রধান ফসলের নাম লেখ। উত্তর : এশিয়ার দুইটি প্রধান ফসল হলো ধান ও পাট। প্রশ্ন: এশিয়া মহাদেশে দুইটি প্রাণীর নাম লেখ। উত্তর : এশিয়া মহাদেশে দুইটি প্রাণীর নাম হলো বাঘ ও হাতি। প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন: এশিয়া কী কী কারণে বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ? উত্তর : এশিয়া আয়তনে ও জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ। এশিয়া মহাদেশ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। পৃথিবীর মোট স্থলভাগের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ এলাকা জুড়ে এশিয়া মহাদেশ অবস্থিত। এটি কেবল আয়তন নয়, জনসংখ্যার দিক থেকেও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ। পৃথিবীর প্রায় ৬০ ভাগ লোক এখানে বাস করে। প্রশ্ন: এশিয়ার জলবায়ুর প্রকৃতি বর্ণনা কর। উত্তর : এশিয়া একটি বিশাল মহাদেশ। তাই এর বিভিন্ন জলবায়ু বিভিন্ন ধরনের। যেমন- ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় সারা বছর তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং বৃষ্টিপাত হয়। বাংলাদেশ ও আশপাশের দেশগুলোতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকালে অনেক বৃষ্টিপাত হয় এবং শীতকালে বৃষ্টি প্রায় হয়ই না। এশিয়ার মাঝখানে আছে মরুভূমি। মরুভূমিতে আবহাওয়া খুব গরম এবং বৃষ্টিপাত প্রায় হয় না। কোনো কোনো অঞ্চলে (ইরান, ইরাক, জর্ডান, ইসরাইল প্রভৃতি দেশ) শীতকালে বৃষ্টি হয়, কিন্তু গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি হয় না। এশিয়ার উত্তরে সাইবেরিয়া অবস্থিত। সাইবেরিয়া ও এর আশপাশের এলাকা খুব ঠান্ডা। তীব্র শীতের কারণে সেখানে কোথাও কোথাও তুষারপাত হয়। বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলোর মিল কর: ক. এশিয়ায় সারা বছর বৃষ্টিপাত হয়-চীনে। খ. ঠান্ডা ও তীব্র তুষারপাত হয়-এশিয়া মহাদেশে। গ. ইয়াংজি নদী অবস্থিত-গম উৎপাদনে। ঘ. পৃথিবীর অধিকাংশ ধান উৎপাদিত হয়-ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় ঙ. এশিয়া পৃথিবীর মধ্যে প্রথম-সাইবেরিয়া অঞ্চলে। উত্তর : ক. এশিয়ায় সারা বছর বৃষ্টিপাত হয় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায়। খ. ঠান্ডা ও তীব্র শীতে তুষারপাত হয় সাইবেরিয়া অঞ্চলে। গ. ইয়াংজি নদী অবস্থিত চীনে। ঘ. পৃথিবীর অধিকাংশ ধান উৎপাদিত হয় এশিয়া মহাদেশে। ঙ. এশিয়া পৃথিবীর মধ্যে প্রথম গম উৎপাদনে। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় কর : ক) মসলা উৎপাদনে এশিয়া পৃথিবীর মধ্যে প্রথম। খ) এশিয়ার দীর্ঘতম নদী ইয়াংজি চীনে অবস্থিত। গ) সাইবেরিয়ায় তুষারপাত হয়। ঘ) এশিয়ার পূর্বে ভারত মহাসাগর। ঙ) এশিয়া মহাদেশে মোট দেশের সংখ্যা ৫৭টি। উত্তর : ক) 'অশুদ্ধ' খ) 'শুদ্ধ' গ) 'শুদ্ধ' ঘ) 'অশুদ্ধ' ঙ) 'অশুদ্ধ'। শূন্যস্থান পূরণ কর : ক) এশিয়ার মাঝখানে আছে। খ) এশিয়া বৃহত্তম মহাদেশ। গ) এশিয়ার উত্তরে অবস্থিত। ঘ) এশিয়া মহাদেশে প্রচুর রয়েছে। ঙ) এশিয়া মহাদেশ যথেষ্ট উন্নত। উত্তর : ক) মরুভূমি খ) পৃথিবীর গ) সাইবেরিয়া ঘ) খনিজদ্রব্য ঙ) শিল্পে। বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর ১. জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ কোনটি? ক. আমেরিকা খ. ইউরোপ গ. এশিয়া ঘ. আফ্রিকা উত্তর: গ. এশিয়া ২. এশিয়ার কোন দেশে সারা বছর তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং বৃষ্টিপাত হয়? ক. বাংলাদেশ খ. মালয়েশিয়া গ. ভারত ঘ. পাকিস্তান উত্তর: খ. মালয়েশিয়া ৩. ইয়াংজি নদী এশিয়ার কোন দেশে অবস্থিত? ক. জাপান খ. উত্তর কোরিয়া গ. ইন্দোনেশিয়া ঘ. চীন উত্তর: ঘ. চীন ৪. এশিয়া মানচিত্রের কোন দিকে মরুভূমি রয়েছে? ক . পূর্ব দিকে খ. পশ্চিম দিকে গ. উত্তর দিকে ঘ. মাঝখানে উত্তর: ঘ. মাঝখানে ৫. সাইবেরিয়া এশিয়ার কোন অংশে অবস্থিত? ক. পূর্বে খ. পশ্চিমে গ. উত্তরে ঘ. দক্ষিণে উত্তর: গ. উত্তরে ৬. আয়তনে পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ কোনটি? ক. ইউরোপ খ. আমেরিকা গ. এশিয়া ঘ. আফ্রিকা উত্তর: গ. এশিয়া ৭. পৃথিবীর কতভাগ মানুষ এশিয়া মহাদেশে বাস করে? ক. ৪০ ভাগ খ. ৫০ ভাগ গ. ৬০ ভাগ ঘ. ৭০ ভাগ উত্তর: গ. ৬০ ভাগ হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়