বাংলা

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২নং প্রশ্নের উত্তর দাও। বাংলাদেশের এই যে মানুষ, তাদের পেশাও কত বিচিত্র। কেউ জেলে, কেউ কুমোর, কেউ কৃষক। সবাই আমরা পরস্পরের বন্ধু। একজন তার কাজ দিয়ে আরেকজনকে সাহায্য করছে। গড়ে তুলছে এই দেশ। কৃষক কাজ না করলে আমাদের খাদ্য জোগাত কে? সবাইকে তাই আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে। আমাদের আছে নানা ধরনের উৎসব। মুসলমানদের রয়েছে দুটি ঈদ, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা। হিন্দুদের দুর্গাপূজাসহ আছে নানা উৎসব। খ্রিষ্টানদের ইস্টার সানডে ও বড়দিন। বৌদ্ধদের আছে বুদ্ধপূর্ণিমা। এছাড়া রয়েছে নানা উৎসব। পহেলা বৈশাখ-নববর্ষের উৎসব। রাখাইনদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। পোশাক-পরিচ্ছদও ভিন্ন ধরনের। মিল আমাদের একটা জায়গায়- সবাই আমরা বাংলাদেশের অধিবাসী। বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জনজীবন ভারী বৈচিত্র্যময়। তাই দেশকে আমাদের ঘুরে ঘুরে দেখা দরকার। কোথায় পাহাড়, কোথায় নদী, কোথায় বা সমুদ্রের বেলাভূমি। এজন্য দেশের নানা প্রান্তে যেমন ঘুরে দেখা দরকার তেমনি দরকার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া। দেশ মানে এর নদী, আকাশ, পাহাড়, সমুদ্র- এসব। দেশ হলো জননীর মতো। এ দেশকে আমরা ভালোবাসব। ১. শব্দের অর্থ লেখ। জননী- মা উৎসব - অনুষ্ঠান বিচিত্র - নানারকম প্রান্ত -কিনারা কৃষক -যিনি কৃষি কাজ করেন স্বজন - আত্মীয়। ২. প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : ক. দু'জন পেশাজীবীর নাম লেখো। উত্তর : জেলে ও কুমোর। খ. দেশকে কার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? তুমি কীভাবে তোমার মায়ের সেবা করবে তিন বাক্যে লেখো। উত্তর : দেশকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। মা কষ্ট পায় এমন কথা বলব না। মা অসুস্থ হলে তার পাশে থেকে সেবা করব। মায়ের সব সুযোগ-সুবিধা পূরণ করেও তার সেবা করা হয়। গ. বাংলাদেশকে বৈচিত্র্যময় বলা হয়েছে কেন? চারটি বাক্য লেখ। উত্তর : বাংলাদেশে রয়েছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। এছাড়া রয়েছে বিচিত্র প্রকৃতি। এ দেশে রয়েছে নদ-নদীর সমাহার। নানা রকম এই বৈচিত্র্যের কারণে এ দেশকে বৈচিত্র্যময় বলা হয়েছে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও। আমাদের মেসে ইমদাদ হক ফুটবল খেলোয়াড়, হাতে-পায়ে, মুখে শত আঘাতের ক্ষতে খ্যাতি লেখা তার। সন্ধ্যাবেলায় দেখিবে তাহার পটি বাঁধি পায়ে হাতে, মালিশ মাখিছে প্রতি গিঁটে গিঁটে কাত হয়ে বিছানাতে। মেসের চাকর হয় লবেজান সেঁক দিতে ভাঙা হাড়ে, সারা রাত শুধু ছটফট করে কেঁদে কেঁদে ডাক ছাড়ে। ১. শব্দের অর্থ লেখো। সেঁক - গরম ভাঁপ দেওয়া, খ্যাতি -যশ, মালিশ - মলম চেপে চেপে শরীরে লাগাতে হয় লবেজান - হয়রান ক্ষত -কেটে যাওয়া বা আঘাত লাগার স্থান ২. প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : ক. ইমদাদ হক সারারাত ছটফট করে কাঁদে কেন? উত্তর : খেলায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ইমদাদ হকের গিঁটে গিঁটে ব্যথা করে। তাই সে সারারাত ছটফট করে কাঁদে। খ. সন্ধ্যাবেলায় ইমদাদ হককে খেলার মাঠে দেখে কবির বিস্ময় জাগে কেন? উত্তর : ইমদাদ হক খেলতে গিয়ে ভীষণ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ভাঙা হাড়ের ব্যথায় সারারাত ছটফট করে সে। অথচ খেলার মাঠে গিয়ে কবি দেখতে পান, ইমদাদ প্রাণবন্ত হয়ে ফুটবল খেলছে। অসুস্থতা নিয়েও ইমদাদকে খেলতে দেখে কবি বিস্মিত হয়। গ. তোমার প্রিয় খেলার উপকারিতা সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো। উত্তর : আমার প্রিয় খেলা ফুটবল। এই খেলায় শরীর ও মন ভালো থাকে। এটির মাধ্যমে শৃঙ্খলার শিক্ষা পাওয়া যায়। এ ছাড়া সময়ের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে অনুধাবন করা যায়। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২নং প্রশ্নের উত্তর দাও। একদিন শিয়াল ভয়ে ভয়ে হাজির হলো হাতির আস্তানায়। লেজ গুটিয়ে একটা সালাম দিল। বলল, আপনি তো বনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী। আপনিই আমাদের রাজা। ওই দেখুন, নদীর ওপারে সবাই উদ্গ্রীব হয়ে বসে আছে। আপনাকে রাজা হিসেবে বরণ করে নিতে চাই। হাতি তো শিয়ালের কথা শুনে মহাখুশি। আচ্ছা চল। নদীর পাড়ে এসে শিয়াল বলল, এই আমি নদী সাঁতরে পার হচ্ছি। আপনিও আসুন। এই বলে শিয়াল নদীতে দিল ঝাঁপ। হাতি ভাবল, পুঁচকে শিয়াল যদি নদী পার হতে পারে তাহলে আমি পারব না কেন? সে নদীতে নেমে পড়ল। কিন্তু মস্ত বড় তার শরীর আর কি ভারী! হাতিটা যেই নদীর পানিতে পা দিল, অমনি তার ভারী শরীর একটু একটু করে তলিয়ে যেতে লাগল। হাতি বলল, শিয়াল ভায়া আমাকে বাঁচাও। শিয়াল ততক্ষণে নদী পার হয়ে তীরে উঠে এসেছে। বনের সব প্রাণী তার পেছনে এসে দাঁড়াল। ১. শব্দের অর্থ লেখো। আস্তানা - বসবাসের স্থান উদ্গ্রীব - খুব আগ্রহী ভারী - ওজন আছে এমন মস্ত - বড় শক্তিশালী - গায়ে জোর আছে এমন পুঁচকে - ছোট ২. প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : ক. নদী পার হতে গিয়ে হাতির কী ঘটল? উত্তর : নদী পার হতে গিয়ে হাতি বিপত্তিতে পড়ল। ভারী শরীরের কারণে হাতি পানিতে তলিয়ে যেতে লাগল। খ. শিয়াল কীভাবে বনের পশু-পাখিদের রক্ষা করল? উত্তর : হাতির অত্যাচার থেকে বনের পশু-পাখিকে রক্ষা করার জন্য শিয়াল কৌশল অবলম্বন করল। সে হাতিকে কৌশলে নদীর ধারে নিয়ে এলো এবং নদীতে নামালো। হাতি ভারী শরীরের কারণে পানিতে তলিয়ে গেল। এভাবে শিয়াল বনের পশু-পাখিকে রক্ষা করল। গ. হাতির এই শাস্তির জন্য তার চরিত্রের যে বিষয়গুলো দায়ী বলে তুমি মনে করো তা চারটি বাক্যে লেখো। উত্তর : হাতির এই শাস্তির জন্য তার চরিত্রের যে বিষয়গুলো দায়ী তা হলো- ১. হাতিটা বনে এসে সব তোলপাড় করে দিয়েছিল। ২. তার তর্জন-গর্জনে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। ৩. হাতির কারণে বনের শান্ত পরিবেশ হয়ে পড়ছিল অশান্ত। ৪. হাতিটার কারণে বনের কেউ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়