অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র

প্রকাশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয় বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
সারাংশ ও সারমর্ম ৯. ছোট বালুকার কণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল। মুহূর্ত নিমেষ কাল, তুচ্ছ পরিমাণ, রচে যুগ-যুগান্তর-অনন্ত মহান, প্রত্যেক সামান্য ত্রম্নটি ক্ষুদ্র অপরাধ, ক্রমে টানে পাপ পথে ঘটায় প্রমাদ। প্রতি করুণার দান, স্নেহপূর্ণ বাণী, -এ ধরায় স্বর্গ শোভা নিত্য দেয় আনি। সারমর্ম : পৃথিবীর কোনো কিছুই তুচ্ছ নয়। ছোট ছোট বালুকণা যেমন মহাদেশ তৈরি করে, তেমনি বিন্দু বিন্দু জল মহাসাগরের জন্ম দেয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যুগ-যুগান্তরের। সামান্য অপরাধের পথ ধরেই আসে মহাপাপ। আবার সামান্য একটু করুণা ও স্নেহের বাণী এ পৃথিবীতে স্বর্গসুখ এনে দিতে পারে। ১০. কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর? মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক- মানুষেতে সুরাসুর- রিপুর তাড়নে যখন মোদের বিবেক পায় গো লয়, আত্মগস্নানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়। \হপ্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁঁড়েঘরে। সারমর্ম : স্বর্গ বা নরক দূরে কোথাও নয় বরং মানুষের মাঝেই বিরাজ করে। খারাপ কাজ করে মানুষ যখন অনুতপ্ত হয়ে যন্ত্রণায় ভোগে, তখন সেটাই নরকযন্ত্রণা। পরস্পরের প্রতি বিভেদ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বে মানুষ এই পৃথিবীকে নরকে পরিণত করে। যখন সব বৈরিতা ভুলে একে অন্যকে বিশুদ্ধভাবে ভালোবাসে, তখনই পৃথিবীতে নেমে আসে স্বর্গীয় সুখ। ১১. আসিতেছে শুভদিন, দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ! হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়, পাহাড়-কাটা সেই পথের দু'পাশে পড়িয়া যাদের হাড়, \হতোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি, তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি, তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদের গান, তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নবউত্থান! সারমর্ম : পৃথিবীর যত উন্নতি সবই শ্রমজীবী মানুষের দান। তাদের নিরলস সেবা ও শ্রমের কল্যাণেই আমরা সুখী জীবনযাপন করি। অথচ তাদের এই শ্রমের মূল্য আমরা দিই না, তাদের দুঃখ-বেদনা অনুভব করতে চাই না। শ্রমজীবী এই মানুষেরাই সভ্যতার অগ্রযাত্রার মূল কারিগর। তারাই প্রকৃত শ্রদ্ধার পাত্র। তাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা আমাদের কর্তব্য। ১২. বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা- বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখ-তাপে ব্যথিত চিত্তে নাই-বা দিলে সান্ত্বনা, দুঃখ যেন করিতে পারি জয়। সহায় মোর না যদি জুটে, নিজের বল না যেন টুটে, সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি, লভিলে শুধু বঞ্চনা, নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়। সারমর্ম : কবি সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন না। কবি কামনা করেন, তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারেন। বিপদ হতে রক্ষা, দুঃখে সান্ত্বনা, কর্মের ভার লাঘব ইত্যাদি তার প্রত্যাশিত নয়। কবির কামনা বিপদে, দুঃখে, ভয়ে তার মনোবল যেন অটুট থাকে। বহুনির্বাচনি ১. বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ধ্বনিগুলোকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা হয়? ক. ২ ভাগে খ. ৩ ভাগে গ. ৪ ভাগে ঘ. ৫ ভাগে উত্তর : ক. ২ ভাগে ২. মূর্ধা বর্ণ কোনটি? ক. হ খ. ড গ. ত ঘ. ন উত্তর :খ. ড ৩. শব্দকে বিশ্লেষণ করলে যে উপাদান পাওয়া যায় তাকে কী বলে? ক. বর্ণ খ. অক্ষর গ. ধ্বনি ঘ. বাক্য উত্তর :গ. ধ্বনি ৪. 'ম' ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কোথায়? ক. তালু খ. কণ্ঠ গ. দন্ত ঘ. ওষ্ঠ উত্তর :ঘ. ওষ্ঠ ৫. অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া কোন ধ্বনি উচ্চারিত হয়? ক. স্বরধ্বনি খ. ব্যঞ্জনধ্বনি গ. শীষধ্বনি ঘ. ঘোষধ্বনি উত্তর :ক. স্বরধ্বনি ৬. 'দন্ত' ধ্বনি কোনটি? ক. এ খ. ধ গ. ভ ঘ. জ উত্তর :খ. ধ ৭. বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি? ক. ৫টি খ. ৭টি গ. ৯টি ঘ. ১১টি উত্তর :খ. ৭টি ৮. 'অ' ধ্বনির কত রকম উচ্চারণ দেখা যায়? ক. ২ রকম খ. ৩ রকম গ. ৪ রকম ঘ. ৫ রকম উত্তর :ক. ২ রকম ৯. মূর্ধন্য ধ্বনি কোনটি? ক. ফ খ. র গ. দ ঘ. শ উত্তর :খ. র ১০. যে ধ্বনি স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হয় না তাকে কী ধ্বনি বলে? ক. স্বরধ্বনি খ. ব্যঞ্জনধ্বনি গ. সরলধ্বনি ঘ. মিশ্রধ্বনি উত্তর :খ. ব্যঞ্জনধ্বনি ১১. 'ছ' ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কোনটি? ক. তালু খ. ওষ্ঠ গ. কণ্ঠ ঘ. দন্ত উত্তর : ক. তালু ১২. জিহবামূলীয় ধ্বনি কোনটি? ক. ট খ. ঢ গ. গ ঘ. প উত্তর :গ. গ ১৩. ভাষা প্রয়োগে ধ্বনি সৃষ্টি হয় কিসের সাহায্যে? ক. মানসিকতার খ. ভাবের গ. বাগ্যন্ত্রের ঘ. ইচ্ছার উত্তর :গ. বাগ্যন্ত্রের ১৪. কোন শব্দটিতে 'অ' ধ্বনির স্বাভাবিক উচ্চারণ হয়েছে? ক. সুমতি খ. নদী গ. নতুন ঘ. গয়না উত্তর :ঘ. গয়না ১৫. 'ঙ' ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কোনটি? ক. কণ্ঠ খ. তালু গ. মূর্ধা ঘ. দন্ত উত্তর :ক. কণ্ঠ হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়