জুনিয়র স্কুল সাটিির্ফকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

অনলাইন নিরাপত্তা রক্ষাথের্ কী কী করা যেতে পারে?

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

সামছুর রহমান রুমান, শিক্ষক শিক্ষা নিকেতন, চঁাদপুর
অধ্যায়-৩ প্রশ্ন : অনলাইন পরিচয়ে নিরাপত্তা রক্ষাথের্ কী পদক্ষেপগুলো নেয়া যেতে পারে? উত্তর : অনলাইন পরিচয়ে নিরাপত্তা রক্ষাথের্ নিচের পদক্ষেপগুলো নেয়া যেতে পারে : ১. পরিচয় প্রদানের সময় ব্যক্তিগত তথ্যাদি, মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা প্রভৃতি বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রাইভেসি বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ২. অনলাইন পরিচয়ে যার সঙ্গে পরিচিত হব, তার ব্যাপারে একটু যাচাই করে নিতে হবে। একেবারে অপরিচিত এবং ছদ্ম পরিচয়ধারী কাউকে বিশ্বাস না করাই ভালো। ৩. যখন নিজের কোনো ই-মেইল অ্যাকাউন্ট বা সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহার করব, তখন অন্যের সঙ্গে পরিচয়ে সতকর্ হব। ৪. যেভাবেই এ পরিচয় প্রকাশ পাক না কেন, একজন ব্যবহারকারীকে তার পরিচয় সংরক্ষণে সবর্দা সতকর্ থাকতে হবে। ৫. যদি প্রকৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা না যায়, তবে তাকে সন্দেহভাজন তালিকায় রাখাটাই শ্রেয়। প্রশ্ন : তথ্য অধিকার এবং আইনে কোন বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হওয়া এবং কেন? উত্তর : তথ্য অধিকার এবং আইনে যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা হলোÑ ১. কতৃর্পক্ষের গঠন, কাঠামো এবং দাপ্তরিক কমর্কাÐসংক্রান্ত যে কোনো স্মারক। ২. বই, নকশা, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, লগবই, আদেশপত্র। ৩. বিজ্ঞপ্তি ও প্রতিবেদন। ৪. দলিল, নমুনাপত্র। ৫. হিসাব বিবরণী। ৬. প্রকল্প প্রস্তাব। ৭. আলোকচিত্র ও অঙ্কিতচিত্র। ৮. অডিও, ভিডিও ও ফিল্ম। ৯. ইলেক্ট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত যে কোনো যন্ত্রাংশ। ১০. যান্ত্রিকভাবে পাঠকৃত দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নিবিের্শষে অন্য যে কোনো তথ্যবহ বস্তু বা এদের প্রতিলিপি। ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তথ্য সৃষ্টি করে। রাষ্ট্রীয় কাযার্বলির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং জনগণের জন্য গুরুত্বপূণর্ এসব তথ্য জানা জনগণের অধিকার। তথ্য অধিকার আইনে যে তথ্যগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সে সম্পকের্ না জানলে জনগণ তাদের দায়িত্ব, রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতি, সরকারি কমর্কাÐ, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সম্পকের্ নিশ্চিত হতে পারবে না। এসব আইন না মানলে যে কেউ শাস্তি পেতে বাধ্য থাকে। বিশ্বের দেশে দেশে এ আইনের আওতায় প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্যগুলো প্রকাশ করতে বাধ্য থাকে। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তিকে ব্যক্তির চিন্তা, বিবেক এবং বাকস্বাধীনতার পূবর্শতর্ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশ্ন : দুনীির্ত নিরসনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার লেখ। উত্তর : দুনীির্ত নিরসনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিচে দেয়া হলো : ১. বতর্মান তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া করার জন্য পুরো পদ্ধতিকেই তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনতে হয়েছে। তাই কোনো তথ্য ভুল হলে বা লেনদেনে অনিয়ম হলে তা সহজেই সবার সামনে প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে। ২. টেন্ডার প্রক্রিয়াটি আগে লিখিতভাবে হতো কিন্তু বতর্মানে ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে এর আথির্ক লেনদেনে বা টেন্ডার চুরির ঘটনা কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ই-টেন্ডার করার জন্য বিশেষ পোটার্ল তৈরি হয়েছে।