নবম ও দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

তাহের সিদ্দিকী, শিক্ষক আগ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়, নাটোর
ব্যক্তিবাচক সবর্নামের রূপ ৩. তুচ্ছাথর্ক বা ঘনিষ্ঠতাজ্ঞাপক রূপ নাম পুরুষ : ইহা, ইহারা, এই, এ, এরা, উহা, উহারা, ও, ওরা, ওদের সবর্নামের বিভক্তিগ্রাহী রূপ বাংলা সবর্নামসমূহ কতৃর্কারক ভিন্ন অন্যান্য কারকে বিভক্তিযুক্ত হওয়ার আগে একটি বিশেষ রূপ পরিগ্রহ করে। সবর্নামের এ রূপটিকে বিভক্তিগ্রাহী রূপ বলা হয়। কতৃর্কারকে সবর্নামের মূল রূপটিই ব্যবহৃত হয় এবং একে প্রথমা বিভক্তিযুক্ত একবচন ধরা হয়। যেমন : কতৃর্কারকে প্রথমার একবচন সাধারণ সম্ভ্রমাত্মক তুচ্ছাথর্ক আমি তুমি আপনি তুই সে তিনি তাহা, তা যে যিনি যাহা, যা ইনি এ ইহা, এ উনি উহা উহা, ওঁ কে, কি, কী কে, কি, কী অন্যান্য কারকে বিভক্তিগ্রাহী রূপ সম্ভ্রমাত্মক তুচ্ছাথর্ক আপনা তোমা, তো তাহা, তা যাহা, যা ইহা, এ উহা, ও কাহা, কা সবর্নামের বিশিষ্ট প্রয়োগ ১. বিনয় প্রকাশ : বিনয় প্রকাশে উত্তম পুরুষের একবচনে দীন, অধম, বান্দা, সেবক, দাস প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন : ‘আজ্ঞা কর দাসে, শাস্তি নরাধমে’। ‘দীনের আরজ’। ২. ছন্দবদ্ধ কবিতা : ছন্দবদ্ধ কবিতায় সাধারণত ‘আমার’ স্থানে মম, ‘আমাদের’ স্থানে ‘মোদের’ এবং ‘আমরা’ স্থানে ‘মোরা’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : কে বুঝিবে ব্যথা মম। ‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা’। ক্ষুদ্র শিশু মোরা, করি তোমারি বন্দনা। ৩. উপাস্যের প্রতি ভক্তি : উপাস্যের প্রতি সাধারণত ‘আপনি’ স্থানে ‘তুমি’ প্রযুক্ত হয়। যেমন : (উপাস্যের প্রতি ভক্ত) প্রভু, তুমি রক্ষা কর এ দীনসেবককে। ৪. অভিনন্দনপত্র : অভিনন্দনপত্র রচনায়ও অনেক সময় সম্মানিত ব্যক্তিকে ‘তুমি’ সম্বোধন করা হয়। তুমি : ঘনিষ্ঠজন, আপনজন বা সমবয়স্ক সাথীদের প্রতি ব্যবহাযর্। তুই : তুচ্ছাথের্ ব্যবহৃত হয় এবং ঘনিষ্ঠতা বোঝাতেও আমরা তাই ব্যবহার করি। সবর্নামে বিশেষ দ্রষ্টব্য/জ্ঞাতব্য ১. চলিত ভাষা : চলিত ভাষায় যেসব স্থানে সবর্নাম বসে সেসব হলো : ক) তুচ্ছাথের্ : তাহা স্থানে তা যাহা স্থানে যা কাহা স্থানে কা ইহা স্থানে এ উহা স্থানে ও খ) সম্ভ্রমাথের্ (এগুলোর সাথে একটি চন্দ্রবিন্দু সংযোজিত হয়) : তাহা+দের=তাহাদের (সাধু)>তাদের (চলিত) (সম্ভ্রমাথের্) তাহা+দের=তাহাদের (সাধু)>তাদের (চলিত) ২. করণ কারক : করণ কারকে অনুসগর্ ব্যবহারের আগে মূল সবর্নাম শব্দের সঙ্গে র, এর বা কে বিভক্তি যোগ করে নিতে হয়। যেমন : তাহাকে দিয়া তাকে দিয়ে তাহার দ্বারা তার দ্বারা আমাকে দিয়ে ৩. ষষ্ঠী বিভক্তি : ষষ্ঠী বিভক্তি অথের্ ঈয়-প্রত্যয়যুক্ত সবর্নামজাত বিশেষণ শুধু তৎসম সবর্নামের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। যেমন : মৎ+ঈয়=মদীয় ভবৎ+ঈয়=ভবদীয় তৎ+ঈয়=তদীয় ৪. ষষ্ঠী বিভক্তি : ‘কী’ সবর্নামটি কোনো কোনো কারকে ‘কিসে’ বা ‘কিসের’ (ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত) রূপ গ্রহণ করে। যেমন : কী+দ্বারা=কিসের দ্বারা কী+থেকে=কিসে থেকে কিসের থেকে