ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
২য় পরিচ্ছেদ অর্থের পার্থক্য না করে বিপরীত শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করো- ক. বীথির বাড়ি দূরে। খ. আজ গরম পড়েছে। গ. এ জমি উর্বর। ঘ. ছেলেটি চালাক। ঙ. কুকুর বিশ্বাসী প্রাণী। চ. ভালো কাজ করব। ছ. শুকনো খাবার আমার পছন্দ। জ. এই শহরে অনেক মানুষ থাকে। ঝ. বোঝাটি হালকা। উত্তর : ক. বীথির বাড়ি কাছে নয়। খ. আজ ঠান্ডা পড়েনি। গ. এ জমি অনুর্বর নয়। ঘ. ছেলেটি বোকা নয়। ঙ. কুকুর অবিশ্বাসী প্রাণী নয়। চ. খারাপ কাজ করব না। ছ. শুকনো খাবার আমার অপছন্দ নয়। জ. এই শহরে অল্প মানুষ থাকে না। ঝ. বোঝাটি ভারী নয়। নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখো- ক. পাকা, খ. রোদ, গ. উঠা, ঘ. জোরে, ঙ. কাঁদা। (ক) পাকা - কাঁচা (খ) রোদ - ছায়া (গ) উঠা - বসা (ঘ) জোরে - ধীরে (ঙ) কাঁদা - হাসা। 'পাকাপাকি' ছড়া থেকে সমার্থক শব্দ লেখো- (ক) চোখ- আঁখি, নয়ন। (খ) আগুন- অনল, বহ্নি। (গ) হাত - হস্ত, ভুজ। (ঘ) চুল - কেশ, অলক। (ঙ) কান - কর্ণ, শ্রবণেন্দ্রিয়। (চ) আহার - ভোজন, প্রাশন। এককথায় প্রকাশ করো (ক) অল্প বয়সে বেশি বয়সের মতো আচরণ - জ্যাঠামি। (খ) ভাত ছাড়া নিরামিষ খাবার-ফলার। (গ) যে রান্না করে - রাঁধুনি (ঘ) চামড়ার নিচে ফুলে ওঠা যা - ফোড়া (ঙ) ভিতরে ফাঁপা ছোট পরোটা - লুচি। (চ) নাকের নিচে গজানো লোম- গোঁফ ৩য় পরিচ্ছেদ যতিচিহ্ন : সাধারণত আমরা কথা বলার সময় কখনোই খুব তাড়াতাড়ি বা হুড়মুড় করে কথা বলি না। তবে তাড়াতাড়ি কিংবা একনাগাড়ে বললে কথার পরিষ্কার অর্থ প্রকাশ পায় না। ফলে মনের ভাবও ঠিকভাবে প্রকাশ পায় না। তাই কথা বলার সময় আমাদের মাঝে মাঝে থামতে হয়। সেই খামার আবার রকমফের রয়েছে। কোথাও বেশিক্ষণ থামতে হয়, কোথাও কম সময় থামতে হয়। আবার প্রশ্ন করা, অবাক হওয়া, কোনো কিছু বর্ণনা করা, আদেশ করা ইত্যাদি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কণ্ঠস্বরের ওঠা-নামার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আমরা কমা (,), দাঁড়ি (। ), হাইফেন (-), ড্যাশ (-), কোলন (:), কোলন ড্যাশ (:-), সেমিকোলন (;), প্রশ্নচিহ্ন (?), বিস্ময়চিহ্ন (!) ইত্যাদি যতিচিহ্ন ব্যবহার করে থাকি। যা বলার ও লেখার ক্ষেত্রে ভাষায় মাধুর্য বৃদ্ধি করে। যতিচিহ্ন ব্যবহার করে অনুচ্ছেদ লিখি। (বাংলা মূল বই পৃষ্ঠা : ৫১) উত্তর : ঘুম মানুষের মনকে আকর্ষণ করে, বিশেষ ভাবাবেগ সৃষ্টিতে অনুকূল আবহ তৈরি করে। ফুল কি তোমার প্রিয় নয়? নিশ্চয় প্রিয়। ফুল ভালোবাসে না এমন লোক হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। একেক ব্যক্তির কাছে একেক ফুল প্রিয়। আমার প্রিয় ফুল হলো হাস্নাহেনা। এটি একটি ছোট প্রজাতির ফুল। তবে গুচ্ছাকারে ফোটে। সন্ধ্যায় শুরু হয় ফুল ফোটা। আহ! রাত্রি বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে এর সুমিষ্ট মনমাতানো সুগন্ধ। একসময় মোহনীয় করে তোলে চারপাশ। রাতের অন্ধকার ভেদ করে জমে ওঠে ফুলের জলসা। এই ফুলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি দিয়ে বিনাসুতায় মালা গাঁথা যায়। উপহার দেওয়া যায় প্রিয়জনকে। এই ফুলের মহিমা কীর্তন খুবই দুরূহ। কারণ এর মহিমা অজস্র অপার। কবির ভাষায়- 'হাস্নাহেনা হাস্নাহেনা প্রিয় হাস্নাহেনা, তুমি যে গন্ধবাহার, লক্ষ গন্ধসেনা।' অধিকতর অনুশীলনের জন্য একক ও দলীয় কাজের সমাধান কাজ-১ : নিচের কবিতাটি পড়ে যতিচিহ্ন বসাও- পাকাপাকি -সুকুমার রায় আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে রোদে জলে টিকে রং পাকা কই তাহারে ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে হাত পাকে লিখে লিখে চুল পাকে বয়সে জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে লোকে কয় কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে কান পাকে ফোড়া পাকে পেকে করে টনটন কথা যার পাকা নয় কাজে তার ঠনঠন ওষ্ঠাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে বাড়িতে পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে উত্তর : আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে, কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে। রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে; ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে। হাত পাকে লিখে লিখে, চুল পাকে বয়সে, জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে। \হলোকে কয় কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে? বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে! কান পাকে ফোড়া পাকে, পেকে করে টনটন- কথা যার পাকা নয়, কাজে তার ঠনঠন। রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে, সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে বাড়িতে। পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে। দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে।। কাজ-২ : অনুচ্ছেদটি পড়ে যতিচিহ্ন বসাও- ১. বলাইয়ের বাবা ওকে তার কোল থেকে নিয়ে গেল সে যেন ওর নাড়ি ছিঁড়ে আর ওর কাকা তার বলাইয়ের ভালোবাসার গাছটিকে চিরকালের মতো সরিয়ে দিলে তাতেও ওর যেন সমস্ত সংসারকে বাজল তার বুকের মধ্যে ক্ষত করে দিলে উত্তর : যতিচিহ্নের প্রয়োগ : বলাইয়ের বাবা ওকে তার কোল থেকে নিয়ে গেল, সে যেন ওর নাড়ি ছিঁড়ে; আর ওর কাকা তার বলাইয়ের ভালোবাসার গাছটিকে চিরকালের মতো সরিয়ে দিলে, তাতেও ওর যেন সমস্ত সংসারকে বাজল, তার বুকের মধ্যে ক্ষত করে দিলে।