এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি রসায়ন প্রথমপত্র

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অলোক কুমার ঘোষ, প্রভাষক, রসায়ন বিভাগ পাটুল হাপানিয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাটোর।
প্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ তোমাদের জন্য রসায়ন প্রথমপত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর দেয়া হলো প্রশ্ন : ১। প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে? উত্তর : কিছু কিছু পদার্থ আছে যেগুলো বায়ুতে উন্মুক্ত রাখলে বায়ুর উপাদান যথা ঙ২, ঈঙ২ বা জলীয় বাষ্প দ্বারা আক্রান্ত হয় না এসব পদার্থকে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলে। যথা অক্সলিক এসিড। প্রশ্ন : ২। সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে? উত্তর : কিছু কিছু পদার্থ আছে যেগুলো বায়ুতে রাখলে সহজেই বায়ুর উপাদান দ্বারা আক্রান্ত হয়। যথা সালফিউরিক এসিড। প্রশ্ন : ৩। প্রমাণ দ্রবণ কী? উত্তর : যে দ্রবণের ঘনমাত্রা সঠিকভাবে জানা থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ বলে। প্রশ্ন : ৪। মোলারিটি কাকে বলে? উত্তর : স্থির তাপমাত্রায় ১.০২ দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে দ্রবণের মোলারিটি বলে। প্রশ্ন : ৫। নরমালিটি কী? উত্তর : স্থির তাপমাত্রায় ১.০২ আয়তনের দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রবের গ্রামতুল্য ভর সংখ্যাকে দ্রবণের নরমালিটি বলে। প্রশ্ন : ৬। টাইট্রেশন কী? উত্তর : টাইট্রেশন হলো কোন দ্রবণের অজানা ঘনমাত্রা নির্ণয়ের একটি প্রক্রিয়া। প্রশ্ন : ৭। পরমাণু কাকে বলে? উত্তর : মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার স্বাধীন অস্তিত্ব নেই, কিন্তু ক্ষুদ্রতম একক হিসেবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে পরমাণু বলে। প্রশ্ন : ৮। স্থায়ী মূল কণিকা কাকে বলে? উত্তর : স্থায়ী মূল কণিকা আছে যা সব মৌলের পরমাণুতেই থাকে তাদের স্থায়ী মূল কণিকা বলে। প্রশ্ন : ৯। অস্থায়ী মূল কণিকা কাকে বলে? উত্তর : কতকগুলো মূল কণিকা আছে যা কোনো কোনো মৌলের পরমাণুতে খুবই অল্প সময়ের জন্য অস্থায়ীভাবে থাকে, এদের অস্থায়ী মূল কণিকা বলে। প্রশ্ন : ১০। কম্পোজিট কণিকা কাকে বলে? উত্তর : স্থায়ী ও অস্থায়ী মূল কণিকা ছাড়া আর এক ধরনের ভারী কণিকাকে কম্পোজিট কণিকা বলে। প্রশ্ন : ১১। ইলেকট্রনের চার্জ কত? উত্তর : ইলেকট্রনের চার্জ -৬ক্ম১০-১৯ কুলম্ব। প্রশ্ন : ১২। নিউক্লিয়াস কী? উত্তর : পরমাণুর কেন্দ্রে তার সবটুকু ভর ও ধরাত্মক চার্জ পুঞ্জীভূত থাকে, একে নিউক্লিয়াস বলে। প্রশ্ন : ১৩। বর্ণালী কী? উত্তর : সূর্যের সাদা আলোকে প্রিজমের ভিতর দিয়া চালনা করলে তা বিভিন্ন বর্ণের আলোতে বিশ্লিষ্ট হয়, বিভিন্ন বর্ণের এ সমাহার কেই বর্ণালী (ঝঢ়বপঃঁৎস) বলে। প্রশ্ন : ১৪। ওজ কী? উত্তর : ওজ- হলো (ওহভৎধৎবফ) অর্থাৎ অবলেহিত বর্ণালী হলো কম্পন বর্ণালী। প্রশ্ন : ১৫। টঠ-কী? উত্তর : টঠ-হলো টষঃৎধ ারড়ষবঃ বা অতিবেগুনি রশ্মি। ২০০-৩৭৫ হস (ন্যানেমিটার) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালীকে অতিবেগুনি রশ্মি বলা হয়। প্রশ্ন : ১৬। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ওজ- রশ্মির দুটো ব্যবহার লিখ? উত্তর : (র) ক্যান্সার নির্ণয়ে ওজ-রশ্মি ব্যবহার করে আক্রান্ত অংশের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। (রর) ঘওজং দ্বারা রক্তের হিমোগেস্নাবিনে অক্সিজেনের পরিমাপ করে মস্তিষ্কের রোগ নির্ণয় করা হয়। প্রশ্ন : ১৭। গওজ কী? উত্তর : গওজ হচ্ছে গধমহবঃরপ জবংড়হধহপব ওসধমরহম অর্থাৎ চৌম্বক অণুরনন প্রতিচ্ছবিকরণ। প্রশ্ন : ১৮। পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে? উত্তর : কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত ধনাত্মক চার্জ বা প্রোটনের সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে। প্রশ্ন : ১৯। আইসোটোপ কাকে বলে? উত্তর : কোনো মৌলের এ জাতীয় একাধিক পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন, তাদের পরস্পরের আইসোটোপ বলে। প্রশ্ন : ২০। আইসোবার কী? উত্তর : যে সব পরমাণুর ভর সংখ্যা একই কিন্তু পারমাণবিক সংখ্যা ভিন্ন তাদের পরস্পরের আইসোবার বলে। প্রশ্ন : ২১। আইসোটব কাকে বলে? উত্তর : যেসব পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা ভিন্ন তাদের পরস্পরের আইসোটপ বলে। প্রশ্ন : ২২। কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে? উত্তর : কোনো একটি ইলেকট্রন কোনো প্রধান শক্তি স্তরে থেকে নিউক্লিয়াসের চর্তুদিকে আবর্তনশীল তা যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্য প্রকাশ করা হয়, তাকে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। প্রশ্ন : ২৩। অরবিট কাকে বলে? উত্তর : পরমাণুতে নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে ইলেকট্রন আবর্তনের জন্য কতকগুলো নির্দিষ্ট শক্তি বিশিষ্ট কক্ষপথ রয়েছে তাদের প্রধান শক্তিস্তর বলা হয়, এ শক্তিস্তরই অরবিট বলা হয়। প্রশ্ন : ২৪। অরবিটাল কাকে বলে? উত্তর : নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে নির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক স্থানে কোনো নির্দিষ্ট শক্তির ইলেকট্রনের অবস্থানের সম্ভাবনা বেশি থাকে তাকেই অরবিটাল বলে। প্রশ্ন : ২৫। পলির বর্জন নীতি কী? উত্তর : একটি পারমাণবিক অরবিটালে সর্বাধিক দুটি ইলেকট্রন থাকতে পারে যদি তাদের ঘূর্ণন বা স্পিন বিপরীতমুখী হয়। প্রশ্ন : ২৬। হুন্ড এর নীতি কী? উত্তর : প্রাপ্যতা অনুসারে প্রত্যেক একটি করে ইলেকট্রন বিপরীতমুখী স্পিনে স্থান নেয়। অরবিটালে ইলেকট্রন বিন্যাসের এ নীতিকে হুন্ড এর নীতি বলে। প্রশ্ন : ২৭। আউফবাউ বা ইঁরষফরহম টঢ় নীতি কী? উত্তর : ইলেকট্রন প্রথমে নিম্ন শক্তির অরবিটালে এবং পরে ক্রমান্বয়ে উচ্চশক্তির অরবিটালে স্থান গ্রহণ করে, কারণ নিম্ন শক্তি স্তরে স্থিতিশীলতা বেশি। ধারাবাহিকভাবে ইলেকট্রন দ্বারা অরবিটাল পূর্ণ করার নীতি জার্মান ভাষায় আউফাবাউ নীতি বলা হয়। প্রশ্ন : ২৮। যোজ্যতা স্তর কাকে বলে? উত্তর : যোগ্যতা গঠনে সর্ববহিস্থ স্তরের ইলেকট্রন অংশগ্রহণ করে বলে পরমাণুর স্তরকে যোজ্যতা স্তর বলে। প্রশ্ন : ২৯। যোজ্যতা ইলেকট্রন কী? উত্তর : যোজ্যতা স্তরের যে কয়টি ইলেকট্রন অংশগ্রহণ করে তাদের যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে। প্রশ্ন : ৩০। পাতন কাকে বলে? উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় কোন মিশ্রণের একটি তরল উপাদানকে তাপ প্রয়োগে বাষ্প পরিণত করে বাষ্পকে শীতল ও ঘণীভূত করে আবার তরলে পরিণত করে মিশ্রণ থেকে পৃথক করা হয় তাকে পাতন বলে।