দশম শ্রেণির অর্থনীতি

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

রোজিনা আক্তার, শিক্ষক ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ সিরাজগঞ্জ
বাজার ৪. প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে বাজারকে প্রধানত কত ভাগে ভাগ করা যায়? উত্তর : প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে বাজারকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা যায়। ৫. কেবল একটি দাম বিরাজ করে কোন ধরনের বাজারে? উত্তর : কেবল একটি দাম বিরাজ করে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে। ৬. কোন বাজারে বিক্রয়যোগ্য দ্রব্যটির ঘনিষ্ঠ বিকল্প দ্রব্য থাকে না? উত্তর : একচেটিয়া বাজারে বিক্রয়যোগ্য দ্রব্যটির ঘনিষ্ঠ বিকল্প দ্রব্য থাকে না। ৭. বাজারের ধারণায় কয়টি মৌলিক বিষয় রয়েছে? উত্তর : বাজারের ধারণায় তিনটি মৌলিক বিষয় রয়েছে। ৮. শিল্প বলতে কী বোঝায়? উত্তর : শিল্প বলতে একই ধরনের পণ্য উৎপাদনকারী ফার্মের সমষ্টিকে বোঝায়। যে কোনো শিল্পের ক্ষেত্রে একাধিক ফার্মের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে। যেমন: পাটশিল্পকে যদি আমরা উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করি, তাহলে দেখা যাবে অনেক পাটকল বা জুট মিলের সমন্বয়ে পাটশিল্প গড়ে ওঠে। ৯. সমজাতীয় দ্রব্য বলতে কী বোঝায়? উত্তর : যেসব দ্রব্যের এককগুলো গঠন ও গুণগত দিক থেকে একই রকম অথচ পৃথকীকরণ করা যায়, তাদের সমজাতীয় দ্রব্য বলে। সমজাতীয় দ্রব্য পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ১০. একচেটিয়া বাজার বলতে কী বোঝায়? উত্তর : একচেটিয়া বাজার বলতে সেই বাজারকে বোঝায় যে বাজারে একজন মাত্র বিক্রেতা অসংখ্য ক্রেতার নিকট উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রয় করেন। একচেটিয়া বাজারে একটিমাত্র ফার্ম থাকে। এ ক্ষেত্রে যে দ্রব্য বিক্রয়ে যে ফার্ম একচেটিয়া অধিকার লাভ করে সেই ফার্ম বাজারে সেই দ্রব্যের জোগান নিয়ন্ত্রণ করে। এই ফার্মটি ছাড়া অন্য কোনো ফার্ম একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওই দ্রব্যটি উৎপাদন করতে পারে না। ১১. একচেটিয়া প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলতে কী বোঝায়? উত্তর : যে বাজারে পূর্ণ প্রতিযোগিতা এবং একচেটিয়া বাজারের কিছু বৈশিষ্ট্য একযোগে দেখা যায়, তাকে একচেটিয়া প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলে। একচেটিয়া প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিভিন্ন ফার্ম যে দ্রব্যগুলো উৎপাদন করে তা সদৃশ্য হলেও অভিন্ন নয়। অর্থাৎ দ্রব্যের মধ্যে কিছু ভিন্নতা থাকে। দ্রব্যের এই পৃথকীকরণের মধ্যে একচেটিয়া বাজারের উপকরণ বিদ্যমান। আবার বহুসংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতা থাকায় পূর্ণ প্রতিযোগিতাও বিদ্যমান। এভাবে একচেটিয়া প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ে ওঠে। ১২. বাংলাদেশে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার নেই কেন? উত্তর : ক্রেতা-বিক্রেতা বাজার সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞাত না হওয়ায় বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার নেই। বাজার ব্যবস্থা পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক হলে পণ্যের এককের গুণাগুণ এবং দাম সম্পর্কে ক্রেতা ও বিক্রেতা পুরোপুরি অবহিত থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের এ বৈশিষ্ট্যটি বিদ্যমান থাকে না। এ জন্য বাংলাদেশে পূর্ণ প্রতিযোগিতার কাছাকাছি বাজারব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়। ১৩. অলিগপলি বাজার বলতে কী বোঝায়? উত্তর : অলিগপলি এমন এক বাজারব্যবস্থা যেখানে কতিপয় বিক্রেতা ও অনেক ক্রেতা সমজাতীয় বা প্রায় সমজাতীয় দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করেন। অলিগপলি বাজারে একজন বিক্রেতা অন্যান্য বিক্রেতার আচরণ পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যেমন- টেলিযোগাযোগ খাতের অ ফার্ম তার পণ্যের বিজ্ঞাপনে একজন চলচ্চিত্রের নায়ককে ব্যবহার করেন। সেটা পর্যবেক্ষণ করে ই ফার্ম তার ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। ১৪. অতি স্বল্পকালীন বাজারে জোগান স্থির থাকে কেন? উত্তর : সময়ের প্রেক্ষিতে স্বল্পকাল স্থায়ী হওয়ায় অতি স্বল্পকালীন বাজারে জোগান স্থির থাকে। অতি স্বল্পকালীন বাজারে অতি অল্প সময়ের মধ্যে পণ্যের চাহিদা ও মূল্যবৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে পণ্যের জোগানের পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে সময়ই মূলত প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। সময়ের ব্যাপ্তি যদি বেশি হতো তাহলে জোগানের পরিবর্তন করা সম্ভবপর হতো। ১৫. উপকরণ বাজার বলতে কী বোঝায়? উত্তর : উপকরণ বাজার বলতে সেই প্রক্রিয়া বোঝায় যে প্রক্রিয়ায় ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে উপকরণ বেচাকেনা হয়। উৎপাদনে ব্যবহৃত যে কোনো মৌলিক উপাদানকে উপকরণ বলে। অন্যভাবে বলা যায়, উৎপাদন ব্যবস্থার যা ব্যবহৃত হয় তাকে উপকরণ বলে। উপকরণের বেচাকেনাকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে উপকরণ বাজার। এ ক্ষেত্রে উপকরণের বেচাকেনা নির্ভর করে উপকরণের মূল্যের ওপর এবং উপকরণের চাহিদা ও জোগান দ্বারা উপকরণের মূল্য নির্ধারিত হয়। \হপরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়