পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২৪, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : হাতিটা দেখতে কেমন ছিল? উত্তর : হাতিটা দেখতে ছিল বিশাল আকৃতির। তার পাগুলো ছিল বটপাকুড় গাছের মতো মোটা। শুঁড়টা এত লম্বা ছিল, মনে হতো আকাশের গায়ে গিয়ে বুঝি ঠেকবে। তার গায়ে ছিল অসীম শক্তি। প্রশ্ন : হাতিটা বনে ঢুকে কী ধরনের আচরণ করেছিল? উত্তর : হাতিটা বনে ঢুকে শুরু করল তুলকালাম কান্ড। তার প্রচন্ড হুঙ্কারে সমস্ত বন থরথর করে কেঁপে উঠল। হাতিটার ভাব দেখে মনে হলো সে-ই বুঝি বনের রাজা। নিরীহ প্রাণীদের ওপর সে বিনা কারণেই অত্যাচার শুরু করল। প্রশ্ন : হাতির আস্তানায় ঢুকে শেয়াল হাতিটাকে কীভাবে, কী বলেছিল? উত্তর : হাতির আস্তানায় ঢুকে শেয়াল প্রথমে লেজ গুটিয়ে হাতিকে লম্বা একটা সালাম দিল। তারপর বলল, 'আপনিই তো বনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী। আপনিই আমাদের রাজা। ঐ দেখুন, নদীর ওপারে সবাই উদগ্রীব হয়ে বসে আছে। আপনাকে রাজা হিসেবে বরণ করে নিতে চায় সবাই।' প্রশ্ন : হাতিটার শুঁড় কেমন ছিল? উত্তর : হাতিটার শুঁড় ছিল বিশাল লম্বা। যা দেখে মনে হতো সেটা বুঝি আকাশে গিয়ে ঠেকবে। প্রশ্ন : কার বিশাল শরীর? তার স্বভাব কেমন ছিল? উত্তর : বনের হাতিটার বিশাল শরীর। হাতিটা ছিল খুব অহংকারী স্বভাবের। আর তার মেজাজও ছিল খুব তিরিক্ষি। প্রশ্ন : হরিণ ও পিঁপড়ের ওপর হাতিটা কীভাবে অত্যাচার করল? উত্তর : নিরীহ হরিণকে হাতিটা শুঁড়ে জড়িয়ে দূরে ছুড়ে ফেলে দিল। আর নিরপরাধ ক্ষুদ্র পিঁপড়েকে সে পায়ের তলায় পিষে মেরে ফেলল। প্রশ্ন : শেয়াল ভয়ে ভয়ে কোথায় হাজির হলো? উত্তর : শেয়াল ভয়ে ভয়ে হাতির আস্তানায় হাজির হলো। প্রশ্ন : শেয়াল হাতিকে নদীর ধারে নিয়ে গেল কেন? উত্তর : শেয়াল মনে মনে হাতিকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। হাতিকে নদীর ধারে নিয়ে যাওয়া ছিল তার একটা কৌশল। শখের মৃৎশিল্প ১. আনন্দপুরে কখন মেলা বসে? ক. ষোলোই ডিসেম্বর খ. পহেলা বৈশাখ গ. একুশে ফেব্রম্নয়ারি ঘ. বলিখেলার সময় উত্তর : খ. পহেলা বৈশাখ ২. মামা কোথায় পড়েন? ক. কলেজে খ. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গ. ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে ঘ. চট্টগ্রামের চারুকলা ইনস্টিটিউটে উত্তর :গ. ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে ৩. মৃৎশিল্পের সবচেয়ে প্রাচীন উপাদান হচ্ছে- ক. বাঁশ খ. কাঠ গ. পানি ঘ. মাটি উত্তর :ঘ. মাটি ৪. আমাদের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে- ক. চারুশিল্প খ. মৃৎশিল্প বা মাটির শিল্প গ. কারুশিল্প ঘ. দারুশিল্প উত্তর : মৃৎশিল্প বা মাটির শিল্প ৫. কুমোর সম্প্রদায় কিসের কাজ করেন? ক. বাঁশের কাজ খ. কাঠের কাজ গ. পাকা বাড়ির কাজ ঘ. মাটির কাজ উত্তর : ঘ. মাটির কাজ ৬. গ্রামের শিল্পীরা রং তৈরি করেন- ক. আম ও লাউ পাতা থেকে খ. শিম ও কাঁঠাল গাছের বাকল থেকে গ. সরিষা ফুল থেকে ঘ. পান ও চুন থেকে উত্তর :খ. শিম ও কাঁঠাল গাছের বাকল থেকে ৭. পোড়ামাটির ফলকের অন্য নাম- ক. টেপা পুতুল খ. টেরাকোটা গ. শখের হাঁড়ি ঘ. মৃৎশিল্প উত্তর :খ. টেরাকোটা ৮. কোন কথাটি আমাদের দেশে প্রচলিত আছে? ক. মামার বাড়ি মধুর হাঁড়ি খ. মামার বাড়ি শখের হাঁড়ি গ. মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি ঘ. মামার বাড়ি খুশির হাঁড়ি উত্তর :গ. মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি ৯. লেখকের মামা সবাইকে কোন মেলায় নিয়ে \হযাওয়ার কথা বললেন? ক. চড়ক মেলায় খ. বিজয় দিবসের মেলায় গ. নবান্নের মেলায় ঘ. বৈশাখী মেলায় উত্তর :ঘ. বৈশাখী মেলায় ১০. টেপা পুতুল তৈরি করতে কী ধরনের মাটি প্রয়োজন? ক. এঁটেল খ. বেলে গ. দোআঁশ ঘ. বেলে-দোআঁশ উত্তর :ক. এঁটেল ১১. যখন আমরা কোনো কিছু সুন্দরভাবে বানাই বা আঁকি তখন তা হয়- ক. পুতুল খ. শিল্প গ. শখ ঘ. ঐতিহ্য উত্তর :খ. শিল্প ১২. বেলে মাটি দিয়ে মাটির শিল্পকর্ম হয় না কেন? ক. আঠালো বলে খ. পোড়ানো যায় না বলে গ. ঝরঝরে বলে ঘ. ভেজানো যায় না বলে উত্তর :গ. ঝরঝরে বলে ১৩. কাদের কাছে মাটির শিল্প তৈরির কাজ খুব সহজ? ক. কামারদের কাছে খ. কুমোরদের কাছে গ. সব শিল্পীর কাছেই ঘ. গ্রামের মানুষের কাছে উত্তর :খ. কুমোরদের কাছে ১৪. মৃৎশিল্প তৈরিতে সবার আগে কোনটি প্রয়োজন? ক. মাটির পাত্র খ. বেলে মাটি গ. কাঠের চাকা ঘ. মাটির চুলা উত্তর :গ কাঠের চাকা ১৫. আনন্দপুর গ্রামের কোন দিকে কুমোরদের বসবাস? ক. পূর্ব দিকে খ. পশ্চিম দিকে গ. উত্তর দিকে ঘ. দক্ষিণ দিকে উত্তর :গ. উত্তর দিকে \হপরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়