অধ্যায়-১
প্রশ্ন : দৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক একক কী?
উত্তর : মিটার।
প্রশ্ন : কার বেগ অনেক বেশি?
উত্তর : আলোর।
প্রশ্ন : আলোর বেগ কত?
উত্তর : সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার।
প্রশ্ন : এক কিলোমিটার সমান কত মিটার?
উত্তর : ১০০০ মিটার।
প্রশ্ন : এক মিলিমিটার এক মিটারের কত ভাগ?
উত্তর : ১০০০ ভাগের এক ভাগ।
প্রশ্ন : এক সেন্টিমিটার এক মিটারের কত ভাগ?
উত্তর : ১০০ ভাগের ১ ভাগ।
প্রশ্ন : এক সেন্টিমিটার সমান কত মিলিমিটার?
উত্তর : ১০ মিলিমিটার।
প্রশ্ন : ঝও পদ্ধতিতে ভরের একক কী?
উত্তর : কিলোগ্রাম।
প্রশ্ন : 'আদর্শ' বা 'আসল' এককের জন্য কোনো মিউজিয়ামে রক্ষা করা ভরের উপর নির্ভর করতে হয় না কত সাল থেকে?
উত্তর : ২০১৯ সালের মে মাস থেকে।
প্রশ্ন : চাঁদের ভর পৃথিবীর ভর থেকে কম নাকি বেশি?
উত্তর : কম।
প্রশ্ন : পৃথিবীতে কোনো ব্যক্তির ভর ৩০ কেজি হলে চাঁদে কত কেজি হবে?
উত্তর : ৩০ কেজি।
প্রশ্ন : কম ভরের বেলায় কোন একক ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : গ্রাম (ম)।
প্রশ্ন : এক গ্রাম এক কিলোগ্রামের কত ভাগ?
উত্তর : ১০০০ ভাগের ১ ভাগ।
প্রশ্ন : মিলিগ্রাম গ্রামের ১০০০ ভাগের কত ভাগ?
উত্তর : এক ভাগ।
প্রশ্ন : ওষুধের ট্যাবলেটে সক্রিয় উপাদানটির পরিমাণ সবসময় কোন এককে দেওয়া থাকে?
উত্তর : মিলিগ্রাম (সম)।
প্রশ্ন : 'এক হাজার এক' বলতে কত সময় লাগে?
উত্তর : এক সেকেন্ড।
প্রশ্ন : ১ সেকেন্ডের ১০০০ ভাগের ১ ভাগের নাম কী?
উত্তর : মিলি সেকেন্ড।
প্রশ্ন : তাপমাত্রার আন্তর্জাতিক এককের নাম কী?
উত্তর : কেলভিন।
প্রশ্ন : তাপমাত্রার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় কোন একক?
উত্তর : সেলসিয়াস (ক্কঈ)।
প্রশ্ন : পানির বাষ্পীভবনের তাপমাত্রা কত?
উত্তর : ১০০ ক্কঈ
প্রশ্ন : কেলভিন এককে পানি বাষ্পীভবনের তাপমাত্রা এবং বরফের তাপমাত্রার পার্থক্য কত?
উত্তর : ১০০ক
প্রশ্ন : সেলসিয়াস স্কেলের তাপমাত্রার সাথে কত যোগ করলে কেলভিন স্কেল পাওয়া যায়?
উত্তর : ২৭৩.১৫।
প্রশ্ন : জ্বর মাপার থার্মোমিটারে কোন স্কেল ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : ফারেনহাইট স্কেল।
প্রশ্ন : ফারেনহাইট স্কেলে বরফের তাপমাত্রা কত?
উত্তর : ৩২ক্কঋও
প্রশ্ন : ফারেনহাইট স্কেলে ফুটন্ত পানির তাপমাত্রা কত?
উত্তর : ২১২ক্কঋও
প্রশ্ন : ফারেনহাইট স্কেলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত?
উত্তর : ১৮.৪ ক্কঋ
প্রশ্ন : সেলসিয়াস স্কেলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত?
উত্তর : ৩৭ ক্কঈ।
প্রশ্ন : মিটার, কিলোগ্রাম, সেকেন্ড এবং কেলভিন ইত্যাদি কোন ধরনের একক?
উত্তর : মৌলিক একক।
প্রশ্ন : ভর কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুর মধ্যে যে পরিমাণ পদার্থ থাকে তাকে ঐ বস্তুর ভর বলে।
প্রশ্ন : ওজন কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বলকে ওজন বলে।
প্রশ্ন : ক্ষেত্রফল ও আয়তনের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
উত্তর : ক্ষেত্রফল ও আয়তনের মধ্যে দুটি পার্থক্য নিম্নরূপ-
১. ক্ষেত্রফল হলো দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গুণফল। অন্যদিকে আয়তন হচ্ছে দৈর্ঘ্য., প্রস্থ ও উচ্চতার গুণফল।
২. ক্ষেত্রফলের একক হলো বর্গমিটার। অন্যদিকে আয়তনের একক হলো ঘনমিটার।
প্রশ্ন : পরমশূন্য তাপমাত্রা কী?
উত্তর : যে তাপমাত্রায় সকল গ্যাসের আয়তন শূন্য হয়ে যায় সেই তাপমাত্রাকে বলা হয় পরমশূন্য তাপমাত্রা।
প্রশ্ন : মৌলিক একক কাকে বলে?
উত্তর : যে সমস্ত একক স্বাধীনভাবে গঠিত হয় এবং কোনো রকমভাবে অন্য এককের উপর নির্ভরশীল নয় তাদের মৌলিক একক বলে।
প্রশ্ন : কেলভিন স্কেল কাকে বলে?
উত্তর : তাপমাত্রার যে স্কেল পদার্থের ভৌত গুণাবলির উপর নির্ভরশীল নয় তাকে কেলভিন বলে।
প্রশ্ন : প্রযুক্তি ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকতে হয় কেন?
উত্তর : প্রযুক্তির কল্যাণকর ও অকল্যাণকর উভয়দিকই আছে। প্রযুক্তি আমাদের জীবযাত্রার মানের অনেক বড় পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু সেই একই প্রযুক্তি একজন মানুষ অপ্রয়োজনীয় অর্থহীন এমনকি ক্ষতিকর কাজেও ব্যবহার করতে পারে। যেমন- স্মার্টফোন আমাদের অতি প্রয়োজনীয় একটি প্রযুক্তি। অথচ সেই স্মার্টফোন অনেকে সম্পূর্ণ বিনা কারণে ব্যবহার করে সময় নষ্ট করে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ যে প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণের জন্য তৈরি হয়েছে। সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই মানুষের অকল্যাণ বা ক্ষতি করা যায়। তাই প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে।
প্রশ্ন : বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপগুলো কী কী?
উত্তর : বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপগুলো হলো- ১. পর্যবেক্ষণ, ২. প্রশ্ন নির্ধারণ, ৩. সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করানো, ৪. পরীক্ষণ, ৫. ফলাফল তৈরি, ৬. সবাইকে জানানো।
প্রশ্ন : রাশি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যা কিছু পরিমাপ করা যায়, যার পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা দিয়ে নির্দেশ করা যায় তাকে রাশি বলা হয়। যেমন- ওজন, উচ্চতা, সময়, তাপমাত্রা ইত্যাদি। এগুলো পরিমাপ করা যায়।
প্রশ্ন : ওজন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কোনো বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে যে পরিমাণ আকর্ষণ বল দ্বারা টানে তাকে ওই বস্তুর ওজন বলা হয়। বস্তুর ওজন সর্বদা বস্তুর উপরস্থ একটি নির্দিষ্ট বিন্দু দিয়ে খাড়া নিচের দিকে ক্রিয়াশীল।
প্রশ্ন : ভারী বস্তুর তুলনায় হালকা বস্তু দেরিতে মাটিতে পৌঁছায় কেন?
উত্তর : বাতাসের মধ্যে বস্তুদ্বয় পতনের সময় এদের ওজনের বিপরীতে বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী বল কাজ করে। ভারী বস্তুর তুলনায় হালকা বস্তুতে ঊর্ধ্বমুখী বল বেশি হওয়ায় তা দেরিতে মাটিতে পৌঁছায়।
পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়
