ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী

প্রকাশ | ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সহকারী শিক্ষক, শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
অধ্যায়-১ প্রশ্ন : মৌলিক একক কী কী? উত্তর : যেসব একক স্বাধীন অর্থাৎ অন্য কোনো এককের উপর নির্ভর করে না সেসব একককে মৌলিক একক বলে। মৌলিক একক মোট সাতটি। এগুলো হলো্ত দৈর্ঘ্যের একক মিটার, সময়ের একক সেকেন্ড, ভরের একক কিলোগ্রাম, তাপমাত্রার একক কেলভিন, বিদু্যৎ প্রবাহের একক অ্যাম্পিয়ার, আলোক ঔজ্জ্বল্যের একক ক্যান্ডেলা ও পদার্থের পরিমাণের একক মোল। প্রশ্ন : যৌগিক একক ব্যাখ্যা কর। উত্তর : যেসব একক একাধিক মৌলিক এককের সমন্বয়ে গঠিত তাদেরকে যৌগিক একক বলে। যেমন- আয়তনের একক ঘনমিটার, যা তিনটি মৌলিক দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার একক মিটার এর গুণফল। তাই আয়তনের একক একটি যৌগিক একক। প্রশ্ন : থার্মোমিটার কী? বিজ্ঞানের উপর আমরা সবসময় নির্ভর করতে পারি কেন? উত্তর : যে যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বস্তুর তাপমাত্রা সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায় এবং বিভিন্ন বস্তুর তাপমাত্রার পার্থক্য নির্ণয় করা যায় তাকে থার্মোমিটার বলে। বিজ্ঞান সবসময় প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়। হাজার হাজার বছর থেকে বিজ্ঞানের নানা তত্ত্বকে প্রতিনিয়ত যাচাই করার জন্য পরীক্ষা- নিরীক্ষা করা হয়। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যেসব ধারণা সত্য বলে প্রমাণিত হয় সেগুলো বিজ্ঞানের তত্ত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। যখন বিজ্ঞানের কোনো ত্রম্নটি দেখা দেয় বা বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলোর কোনো অংশ ভুল ধরা পড়ে তখন তত্ত্বের ভুল বা ত্রম্নটিযুক্ত অংশ পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হয়। অর্থাৎ বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত নির্ভুল তত্ত্ব প্রদানে সচেষ্ট থাকে। তাই বিজ্ঞানের উপর আমরা সবসময় নির্ভর করতে পারি। প্রশ্ন : দৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক একক কী? মৌলিক একক কাকে বলে? পরিমাপের আন্তর্জাতিক একক ব্যবহার করা হয় কেন? উত্তর : দৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক একক হলো মিটার। যে সমস্ত একক স্বাধীনভাবে গঠিত হয় এবং কোনো রকমভাবে অন্য এককের উপর নির্ভরশীল নয় তাদের মৌলিক একক বলে। পরিমাপের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পদ্ধতির একক প্রচলিত আছে। কোনো দেশে এফ পি এস পদ্ধতি, কোনো দেশে সি জি এস পদ্ধতি আবার কোনো দেশে এম কে এস পদ্ধতি। পরিমাপের ক্ষেত্রে এ বৈষম্য দূর করে অভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক একক ব্যবহার করা হয়। আন্তর্জাতিক পদ্ধতি বা এস. আই পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্যের একক মিটার, ভরের একক কিলোগ্রাম এবং সময়ের একক সেকেন্ড। অর্থাৎ পরিমাপের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বৈষম্য দূর করে সঠিক লেনদেনের উদ্দেশ্যেই পরিমাপের আন্তর্জাতিক একক ব্যবহার করা হয়। অধ্যায়-২ পৃথিবী মানব জাতির আবাসস্থল। পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে রয়েছে অসীম মহাকাশ। সৌরজগতের কেন্দ্রে রয়েছে সূর্য। মহাকাশে নক্ষত্র, চন্দ্র, পৃথিবী, ধূমকেতু, উল্কা, নীহারিকা প্রভৃতি রয়েছে। আমাদের এই পৃথিবী, দূর-দূরান্তের সকল জ্যোতিষ্ক এবং দেখা না দেখা সবকিছু নিয়েই মহাবিশ্ব। মহাবিশ্ব ক্রমাগত বড় হচ্ছে, মহাবিশ্বে প্রায় এক ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সি আছে। আমাদের গ্যালাক্সির নাম ছায়াপথ। আজ থেকে ১৪ বিলিয়ন বছর আগে এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মান্ড একটি বিন্দুতে ছিল। অবিশ্বাস্য এক বিস্ফোরণের পর সেই বিন্দুটি প্রসারিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মান্ডে রূপ নিয়েছে। অবিশ্বাস্য এই বিস্ফোরণের নাম বিগ ব্যাং। সুপার নোভা বিস্ফোরণের আলোতে পুরো বিশ্বব্রহ্মান্ড আলোকিত হয়। প্রশ্ন: পৃথিবী কী? উত্তর: গ্রহ। প্রশ্ন: গ্রহ কতটি? উত্তর: ৮টি। প্রশ্ন: গ্রহ সূর্যের কোন দিকে ঘুরছে? উত্তর: চারদিকে। প্রশ্ন: সূর্যের আকার কীরূপ? উত্তর: বিশাল। প্রশ্ন: সূর্য থেকে কী বের হয়? উত্তর: তাপ ও আলো। প্রশ্ন: সূর্য কী? উত্তর: একটি নক্ষত্র। প্রশ্ন: সূর্য কীভাবে জ্বলে? উত্তর: মিটমিট করে। প্রশ্ন: একশ' বিলিয়ন কত কোটি? উত্তর: দশ হাজার কোটি। প্রশ্ন: অসংখ্য নক্ষত্রের সমষ্টির নাম কী? উত্তর: গ্যালাক্সি। প্রশ্ন: কোন বলের কারণে গ্যালাক্সির ভেতর নক্ষত্রগুলো আটকে থাকে? উত্তর: মহাকর্ষ বল। প্রশ্ন: মহাবিশ্বে গ্যালাক্সিগুলো কীভাবে আছে? উত্তর: ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। প্রশ্ন: একটি গ্যালাক্সি থেকে অন্য গ্যালাক্সির দূরত্ব কত? উত্তর: অনেক দূর। প্রশ্ন: দৃশ্যমান মহাবিশ্বে গ্যালাক্সির সংখ্যা কত? উত্তর: এক ট্রিলিয়ন। প্রশ্ন: প্রতিটি গ্যালাক্সিতে নক্ষত্র সংখ্যা কত? উত্তর: ১০০ কোটি। প্রশ্ন: এক বিলিয়ন সমান কত কোটি? উত্তর: একশ' কোটি। প্রশ্ন: আমাদের গ্যালাক্সির নাম কী? উত্তর: ছায়াপথ। প্রশ্ন: সূর্য গ্যালাক্সির কোথায় থাকে? উত্তর: কিনারায়। প্রশ্ন: গ্যালাক্সির তারাকে রাতের আকাশে কেমন দেখা যায়? উত্তর: সাদা ধোঁয়ার মতো। প্রশ্ন: আমাদের সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সির নাম কী? উত্তর: এন্ড্রোমিডা প্রশ্ন: এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মান্ড কখন একটি বিন্দুতে ছিল? উত্তর: ১৪ বিলিয়ন বছর আগে। প্রশ্ন: কোন বিস্ফোরণের পর একটি বিন্দু থেকে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি হয়েছে? উত্তর: বিগ ব্যাং হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়