ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সহকারী শিক্ষক, শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
অধ্যায়-২ প্রশ্ন: দৃশ্যমান মহাবিশ্বে গ্যালাক্সি সংখ্যা কত? কালপুরুষ কাকে বলে? হোয়াইট ডোয়ার্ফ বলতে কী বুঝায়? উত্তর: দৃশ্যমান মহাবিশ্বে গ্যালাক্সি সংখ্যা হলো এক ট্রিলিয়ন। শীতের সময় সন্ধ্যাবেলা পূর্ব আকাশে তরবারি হাতে মনুষ্যাকৃতির যে নক্ষত্রমন্ডল দেখা যায় তাকে কালপুরুষ বলে। হোয়াইট ডোয়ার্ফ হচ্ছে একটি সুস্থিত শ্বেত তারকা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, নক্ষত্ররা আস্তে আস্তে প্রসারিত হয় এবং তাপ বিকিরণ করে যখন নক্ষত্র দ্বিগুণ প্রসারিত হয় তখন নক্ষত্রের তাপমাত্রা হয় অর্ধেক। তাপ, বিকিরণ করতে করতে একসময় নক্ষত্রের ইলেকট্রনগুলো অন্তবর্তী তাপ বর্জন তত্ত্বের বিকর্ষণের দ্বারা শোষিত হয় এবং সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে নক্ষত্রের তাপমাত্রা কমে গিয়ে ঠান্ডা হয়ে যায়। এইরূপ নক্ষত্রকে বলা হয় হোয়াইট ডোয়ার্ফ বা শ্বেত বামন। অধ্যায়-৩ গতি সময়ের সাথে কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন হওয়াই গতি। পৃথিবীর সকল বস্তুই গতিশীল, পুরোপুরি স্থির নয়। আবার আপেক্ষিক স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে বল প্রয়োগ করতে হয়। বল হলো এমন বাহ্যিক প্রভাব, যা কোনো বস্তুর বেগের মান বা অভিমুখ উভয়ের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। ইষধপশ যড়ষব হলো এমন একটি বস্তু, যা এত ঘনসন্নিবিষ্ট বা অতি ক্ষুদ্র আয়তনের বেশি ভরবিশিষ্ট, যা হতে মহাকর্ষীয় শক্তি কোনো কিছুই বের হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে এই স্থানে মহাকর্ষীয় বলের মান এত বেশি যে এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে। বেগ হলো সময়ের সাপেক্ষে কোনো বস্তুর সরণের হার। অন্যভাবে বলা যায়, নির্দিষ্ট দিকে কোনো বস্তুর দ্রম্নতিই বেগ। প্রশ্ন : সময়ের সাথে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন হওয়াকে কী বলে? উত্তর :গতি। প্রশ্ন :কোনটিকে সরণ, দূরত্ব, ত্বরণ এবং সময়ের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায়? উত্তর :গতি। প্রশ্ন : মহাবিশ্বের সবকিছুই কেমন? উত্তর :গতিশীল। প্রশ্ন : কোনো বস্তুকে গতিশীল করার জন্য কীসের প্রয়োজন হয়? উত্তর : বলের। প্রশ্ন : সরল, বক্র, ঘূর্ণন, পর্যাবৃত্ত গতি এগুলো কী? উত্তর :গতির প্রকারভেদ। প্রশ্ন : যে গতি সরলরেখায় চলে তাকে কী বলে? উত্তর :সরলরৈখিক গতি। প্রশ্ন : ১৯৬৫ সালে পৃথিবী হতে মঙ্গলে যাতায়াতকারী যানের নাম কী? উত্তর : মেরিনার-৪। প্রশ্ন : গতিশীল বস্তুর গতি হ্রাসের কারণ কী? উত্তর : ঘর্ষণ। প্রশ্ন : ঘর্ষণ না থাকলে কী হতো? উত্তর :গতিশীল বস্তু চিরকাল সমবেগে চলত। প্রশ্ন : বেগের দিক পরিবর্তন হয় কীসে? উত্তর : বল প্রয়োগে। প্রশ্ন : একটি বস্তুকে উপরে ছুড়ে দিলে কোন গতিতে নিচে পড়ে? উত্তর : বজ্রগতিতে। প্রশ্ন : কোনো বস্তুকে উপরে ছুড়ে দিলে তার উপর কোন বল কাজ করে? উত্তর :মাধ্যাকর্ষণ বল। প্রশ্ন : বজ্রগতির সুন্দর একটি উদাহরণ দাও। উত্তর : ক্রিকেট বলের গতি। প্রশ্ন : সাইকেলের চাকার গতি কীরূপ? উত্তর : চলন ঘূর্ণন গতি বা জটিল গতি। প্রশ্ন :পৃথিবীকে একবার পুরোপুরি ঘুরে আসতে চাঁদের কত সময় প্রয়োজন? উত্তর : ২৯ দিন। প্রশ্ন : পৃথিবীর চারদিকে চাঁদে গতি কোন গতি? উত্তর : ঘূর্ণন গতি। প্রশ্ন : চাঁদকে পৃথিবীর দিকে টেনে ধরে রাখে কে? উত্তর : পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল। প্রশ্ন : দোলনায় দোল, স্প্রিংয়ের সংকোচন প্রসারণ, ঘড়ির গতি কোন ধরনের গতি? উত্তর : পর্যাবৃত্ত গতি। প্রশ্ন : পর্যাবৃত্ত গতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য কী? উত্তর : পর্যায়কাল। প্রশ্ন : অবস্থানের পরিবর্তনের সাথে সাথে কীসের পরিবর্তন হয়? উত্তর : দোলনকালের। প্রশ্ন : দোলনকালের একক কী? উত্তর : সময়। প্রশ্ন : সময়ের সাথে বস্তুর দূরত্বের পরিবর্তনকে কী বলে? উত্তর : দ্রম্নতি। প্রশ্ন : সময়ের সাথে সরণ যদি নির্দিষ্ট দিকে হয় তবে সেটি কী? উত্তর :বেগ। প্রশ্ন : মিটার/সেকেন্ড কীসের একক? উত্তর : বেগের একক। প্রশ্ন :আলোর বেগ কত? উত্তর :তিন লক্ষ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে। প্রশ্ন :সময়ের সাথে বস্তুর বেগের পরিবর্তনকে কী বলে? উত্তর :ত্বরণ। প্রশ্ন :বেগ হ্রাস পেলে ত্বরণের মান কীরূপ হয়? উত্তর :ঋণাত্মক। প্রশ্ন :ঋণাত্মক ত্বরণের অন্য নাম কী? উত্তর :মন্দন। প্রশ্ন :ত্বরণের একক কী? উত্তর :মিটার/সেকেন্ড স্কয়ার। প্রশ্ন :গতির ভিন্ন রূপগুলো কী কী? উত্তর :সরল গতি, বক্র গতি, ঘূর্ণন গতি, পর্যাবৃত্ত গতি। প্রশ্ন :ঘর্ষণ কী? উত্তর :সংস্পর্শে থাকা দুটি বস্তুর মধ্যে যখন একটি অপরটির সাপেক্ষে গতিশীল হওয়ার চেষ্টা করে, তখন বস্তুদ্বয়ের স্পর্শতলে গতির বিরুদ্ধে যে বল কাজ করে তাই ঘর্ষণ। প্রশ্ন :মাধ্যাকর্ষণ বল কাকে বলে? উত্তর :যে বল দ্বারা পৃথিবী কোনো বস্তুকে তার নিজের দিকে টানে তাকে মাধ্যাকর্ষণ বল বলে। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়