বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্রকাশ | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
মনিটর মনিটর বা ডিসপেস্ন হলো কম্পিউটারের জন্য একটি ইলেকট্রনিক দৃষ্টি সহায়ক প্রদর্শক। একটি মনিটর সাধারণত ডিসপেস্ন ডিভাইস, সার্কিট, আবরণ এবং পাওয়ার সাপস্নাই দিয়ে গঠিত। এটি কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট ডিভাইস হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মনিটর বলতে বুঝি টেলিভিশনের মতো বড় আকৃতির যন্ত্রকে, কিন্তু প্রযুক্তিতে মনিটরের ধারণা আরও ব্যাপক অর্থে ব্যবহার হয়। মনিটর হলো সেই সরঞ্জাম যাতে সিস্টেমের চলমান প্রক্রিয়া সরাসরি দেখা যায়। মনিটর একটি বহুল ব্যবহৃত আউটপুট সরঞ্জাম যা ছাড়া বর্তমানে কম্পিউটিং অসম্ভব। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে মহাকাশ প্রযুক্তিতে মনিটর ব্যবহার হচ্ছে। প্রথম যখন মনিটর তৈরি করা হয় তখন তা আকার আকৃতিতে বিশাল ছিল, এতে প্রচুর বিদু্যৎ খরচ হতো। তখন সব মনিটরে ক্যাথোড রে টিউব ব্যবহার হতো। টিউবের বিপরীত পাশে ফসফরাসের প্রলেপ লাগানো থাকত। যখন টিউব থেকে প্রচন্ড গতিতে ইলেকট্রন বেরিয়ে এসে ফসফরাসে আঘাত কওে তখন তা আলো বিকিরণ করে এবং এ আলো সামগ্রিকভাবে বোধগম্য চিত্র ফুটিয়ে তোলে। টিউব থেকে ইলেকট্রন বেরিয়ে আসার হার প্রতি সেকেন্ডে ৫০ থেকে ৭০ বার। টিউব মনিটরের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে বিকল্প খোঁজার প্রয়োজন হয়। সময়ের সঙ্গে পালস্না দিয়ে মনিটরের আকার আকৃতি পরিবর্তন হয়। ফ্ল্যাট মনিটরের আবিষ্কার হয়। এ ফ্ল্যাট মনিটরে চার্জযুক্ত বিদু্যৎ পরিবাহী তরল ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হয়। যখনই এ তরলে বিদু্যৎ সংযোগ দেওয়া হয় তখন তা নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে আলোকে বাধা প্রদান করার মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর বিন্দুতে রূপান্তর করে ও সামগ্রিকভাবে চিত্রে পরিণত হয়। ঘড়িতে এ মনিটর ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে মোবাইল ফোনে এ মনিটরের বহুল ব্যবহার হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটার মনিটরের রেজিউলেশনও বেড়েছে। ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ৩২০দ্ধ২০০ ছিল। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে ১০২৪দ্ধ৭৬৮ পর্যন্ত। ২০০৯ সাল থেকে কম্পিউটার মনিটরের জন্য সর্বাধিক বিক্রিত রেজিউলেশনটি ৯২০দ্ধ১০৮০। ২০১৩-এর আগে অ্যাপল পণ্য এবং সিআরটি মনিটরগুলো বাদ দিয়ে শীর্ষ-প্রান্তের গ্রাহক এলসিডি মনিটরগুলো ৩০ ইন (৭৬ সেমি) এ ২৫৬০ দ্ধ ১৬০০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ২০১৫ সালের মধ্যে বেশিরভাগ বড় ডিসপেস্ন নির্মাতারা ৩৮৪০দ্ধ২১৬০ রেজিউলেশন ডিসপেস্ন প্রকাশ করেছে। ধরন : মনিটর প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে। র. সি আরটি/ক্যাথোড রে টিউব মনিটর ও রর. ফ্ল্যাট প্যানেল মনিটর। ক্যাথোড রে টিউব মনিটর : এ মনিটরে পিকচার টিউব ব্যবহার করা হয়। রঙিন মনিটরের জন্য আরও তিনটি বেশি টিউব লাগানো হয়। অতীতে ব্যবহৃত সাদা কালো/ রঙিন টিভি হলে ক্যাথোড রে টিউব মনিটরের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এ মনিটরে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বৈশিষ্ট্য : ১.পিকচার টিউব ব্যবহার করা হয় ২. ফসফরাসের প্রলেপ থাকে ৩. বিদু্যৎ খরচ বেশি হয়। ৪. আকার আকৃতিতে বড় হয়। ৫. মৌলিক রঙ তিনটি লাল, সবুজ, নীল। ৬. ইলেকট্রন গান ব্যবহার হয়। ফ্ল্যাট প্যানেল মনিটর : যাকে বর্তমানে এলসিডি মনিটর বলা হয়। যেসব মনিটরে কোনো পিকচার টিউব থাকে না সে মনিটর হলো ফ্ল্যাট প্যানেল মনিটর। বর্তমানে এ ধরনের মনিটরের মধ্যে বেশি ব্যবহার হয় লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপেস্ন মনিটর। ফ্ল্যাট প্যানেল ডিসপেস্নর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো এলসিডি মনিটর (খঈউ) ও এলইডি (খঊউ) মনিটর। তবে বর্তমানে মাল্টি ফাংশনাল মনিটরসহ অনেক আধুনিক ফ্ল্যাট মনিটর বের হচ্ছে। বৈশিষ্ট্য : ১. বিদু্যৎ খরচ কম হয় ২. পিকচার টিউব ব্যবহার হয় না। ৩. ক্রিস্টাল আলো বিকিরণ করে। ৪. তথ্য প্রদর্শনের মান ভালো। ৫. ওজনে হালকা-পাতলা। ৬. আকার আকৃতিতে ক্ষুদ্র। এলসিডি ও এলইডি মনিটরের পার্থক্য খঈউ-এর পূর্ণরূপ হলো- খরয়ঁরফ ঈৎুংঃধষ উরংঢ়ষধু আর খঊউ-এর পূর্ণরূপ হলো- খরমযঃ ঊসরঃঃরহম উরড়ফব। এলসিডি ও এলইডি প্রায় একই রকম দেখতে। মূল পার্থক্য হলো ব্যাকলাইটিং। স্কিনের পিক্সেলগুলো দেখা যাওয়ার জন্য এলসিডি মনিটরে ব্যবহার হয় ফ্লুরোসেন্ট টিউব আর অন্যদিকে এলইডি মনিটরে ব্যাকলাইট ব্যবহার করা হয়। খঈউ ও খঊউ মনিটরের মধ্যে খঊউ মনিটর তুলনামূলক বেশি ভালো। কারণ এ মনিটরের ছবির মান ভালো আসে। এতে বিদু্যৎ কম খরচ হয়। এছাড়া এলইডি মনিটর চোখের জন্য কিছুটা ভালো।