বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মাদারবোর্ড কম্পিউটার মাদারবোর্ড হলো একটি প্রিন্টেড ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট যুক্ত সার্কিট বোর্ড। যা কম্পিউটারের মূল ফাউন্ডেশন তৈরি করে। এটা পিসির বডির গায়ে ব্যাক সাইডে লাগানো থাকে। মাদারবোর্ড কম্পিউটারের অন্যান্য ডিভাইসকে নিয়ন্ত্রণ করে সিস্টেম চালু রাখে। সঙ্গে সঙ্গে সিপিইউ,র্ যাম, রাউটার ও অন্যান্য হার্ডওয়্যারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। সুতরাং যে ডিভাইসের সঙ্গে কম্পিউটারের অন্য সব ডিভাইস যুক্ত হয়ে একটি পরিপূর্ণ কম্পিউটার তৈরি করে তাকে মাদারবোর্ড বলে। মাদারবোর্ড হলো ব্যক্তিগত কম্পিউটারের মতো জটিল ইলেকট্রনিক সিস্টেমের মূল সার্কিট বোর্ড (পিসিবি)। মাদরবোর্ডকে কখনো কখনো মেইনবোর্ড বা সিস্টেম বোর্ডও বলা হয়। তবে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে এটিকে লজিকবোর্ড বলা হয়। মাদারবোর্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের সব যন্ত্রাংশকে একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। সাধারণ ডেস্কটপ কম্পিউটারে মাদারবোর্ডের সঙ্গে মাইক্রোপ্রসেসর, প্রধান মেমোরি ও কম্পিউটারের অন্যান্য অপরিহার্য অংশ যুক্ত থাকে। অন্যান্য অংশের মধ্যে আছে শব্দ ও ভিডিও নিয়ন্ত্রক, অতিরিক্ত তথ্যভান্ডার, বিভিন্ন পস্নাগইন কার্ড, যেমন ল্যান কার্ড ইত্যাদি। কি-বোর্ড, মাউসসহ সব ইনপুট/আউটপুট যন্ত্রাংশও মাদারবোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে। মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য আসুস, গিগাবাইট, ইন্টেল, ইসিএস ইত্যাদি। আসুস বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানি। কার্যপ্রণালি : কম্পিউটার জগতে প্রথম মাদারবোর্ড হিসেবে ১৯৮১ সালে রিলিজ হওয়া আইবিএম পার্সোনাল কম্পিউটার মাদারবোর্ডকে প্রথম মাদারবোর্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তখন এটির নাম ছিল পস্ন্যানার। বিভিন্ন ধরনের মাদারবোর্ড রয়েছে। সেগুলো হলো- এমবি, বেস বোর্ড, মোবো, মেইন বোর্ড, মেইন সার্কিট বোর্ড, এম বোর্ড, সিস্টেম বোর্ড, পস্ন্যানার বোর্ড, লজিক বোর্ড ইত্যাদি। তাই একটি মাদারবোর্ড বিকল্পভাবে মেইন-বোর্ড, সিস্টেম বোর্ড,বেসবোর্ড, পস্ন্যানার বোর্ড বা লজিক বোর্ড নামেও পরিচিত। প্রধান প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (পিসিবি) একটি কম্পিউটার চালনায় এবং অন্যান্য বিস্তারযোগ্য সিস্টেমে পাওয়া যায়। এটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক উপাদানের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে যেমন সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইফনিট (সিপিইউ) ও মেমোরি হিসেবে একটি সিস্টেমে এবং অন্যান্য যন্ত্রানুষঙ্গ সংযোগকারীদের যোগাযোগ রক্ষার সংযোগ প্রদান করে। একটি মাদারবোর্ডে সাধারণত কেন্দ্রীয় প্রসেসর, চিপসেট ইনপুট/আউটপুট এবং মেমোরি কন্ট্রোলার, ইন্টারফেস সংযোগকারী এবং সাধারণ উদ্দেশ্য ব্যবহারের জন্য অন্যান্য ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সাব-সিস্টেম রয়েছে। সাউন্ড কার্ড, ভিডিও কার্ড, নেটওয়ার্ক কার্ড, হার্ড ড্রাইভ বা স্থায়ী স্টোরেজ যন্ত্র, টিভি টিউনার কার্ড, অতিরিক্ত টঝই বা ফায়ারওয়্যার স্স্নট এবং অন্যান্য কাস্টম উপাদান রয়েছে এ মাদারবোর্ডে। মাদারবোর্ড পরিচিতি : ১. মাদারবোর্ড বা মেইনবোর্ড প্রসেসর, মেমোরি, হার্ডড্রাইভ এবং বিভিন্ন পেরিফেরাল ডিভাইজগুলোকে কানেক্ট করে এবং যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ২. মাদারবোর্ডের চিপসেটের মাধ্যমেই প্রসেসর, মেমোরি এবং ইনপুট আউটপুট সিস্টেম যেমন- কিবোর্ড, মাউস, মনিটর ইত্যাদির সঙ্গে যোগাযোগে একসঙ্গে কাজ করে। ৩. মাদারবোর্ডের চিপসেটই মূলত এ যাতায়াত ব্যবস্থা করে থাকে। ৪. মাদারবোর্ডের ডিভাইজগুলো পরিচালিত হয় ইওঙঝ-এর মাধ্যমে। বায়োসে বিভিন্ন ইন্টারফেস বন্ধ করা বা চালু করা বা সেটিং নির্ধারণ করা যায়। যেমন কোনো পোর্ট বন্ধ করা। পরে বায়োস সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। মাদারবোর্ড ও তার বিভিন্ন অংশ : সিপিইউ বা মূল কার্যকরী অংশের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ড এ কম্পিউটারের অন্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রগুলো, যেমন-জঅগ, প্রসেসর,বিভিন্ন কার্ড ও বিভিন্ন ড্রাইভ ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে। প্রকারভেদ : মাদারবোর্ড সাধারণত পাঁচ প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন- ১. স্ট্যান্ডার্ড এটিএক্স মাদারবোর্ড। ২. মাইক্রো এটিএক্স মাদারবোর্ড। ৩. মিনি এটিএক্স মাদারবোর্ড। ৪. ন্যানো এটিএক্স মাদারবোর্ড। ৫. পিকো এটিএক্স মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ডে সাধারণত ইনডাক্টর, ক্যাপাসিটর, নর্থব্রিজ, সাউথব্রিজ, স্ক্রুহোল, সিপিইউ সকেট, ইউএসবি হেডার, রেইড, এফডবিস্নইউএইচ, সিডি-ইন, জাম্পারস, মেমোরি স্স্নট, ব্যাক পেন কানেক্টর, ফ্লপি কানেকশন, ফোর পিন পাওয়ার কানেক্টর, থ্রি পিন কেস পেন কানেক্টর, সিস্টেম প্যানেল কানেক্টর, ২৪ পিন পাওয়ার সাপস্নাই কানেক্টর, এটিএ/আইডিই ডিস্ক ড্রাইভ প্রাইমারি কানেকশন, এক্সপেনশন স্স্নটস (পিসিআই এক্সপ্রেস, এজিপি), সিরিয়াল পোর্ট কানেক্টর প্রভৃতি থাকে। কম্পিউটারে মাদারবোর্ডের সঙ্গে আরেকটি বোর্ড রয়েছে সেটি হলো ডটারবোর্ড। ডটারবোর্ড কম্পিউটারের একটি এক্সপ্যানশেন বোর্ড যা মাদারবোর্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। এটি কম্পিউটারে নানা রকম ফাংশনালিটি যোগ করে। যেমন- মডেম যোগ করা এ ডটারবোর্ডের কাজ। বর্তমানে ডেস্কটপ কম্পিউটারে ডটারবোর্ড ব্যবহার করা হয় না। আইএসএ কার্ড ও পিসিআই কার্ড ব্যবহার করা হয়। হ শিক্ষা জগৎ ডেস্ক