পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

আরিফ আনজুম, সহকারী শিক্ষক, আমতলী মডেল স্কুল, বগুড়া।
৫৯. বার্গার, পিজা, পটেটো চিপস, চকলেট ইত্যাদি খাদ্যগুলো কী নামে পরিচিত? ক. ড্রাই ফুড খ. জাঙ্ক ফুড গ. হট ফুড ঘ. ফ্রাইড ফুড উত্তর:খ. জাঙ্ক ফুড ৬০. অসৎ ব্যবসায়ীরা ফল পাকাতে কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে? ক. ফরমালিন খ. ক্যালসিয়াম কার্বাইড গ. বিষাক্ত পাউডার ঘ. স্যাকারিন উত্তর:ক. ফরমালিন ৬১. জাঙ্ক ফুডে কোনটি খুব সামান্য পরিমাণে বিদ্যমান থাকতে পারে? ক. চর্বি খ. চিনি গ. খাদ্য-আঁশ ঘ. লবণ উত্তর:গ. খাদ্য-আঁশ ৬২. মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদার পরিমাণে কম-বেশি হয় কী অনুযায়ী? ক. বয়স ও জ্ঞান খ. বয়স ও উচ্চতা গ. বয়স ও কাজ ঘ. উচ্চতা ও ওজন উত্তর:খ. বয়স ও উচ্চতা ৬৩. খাদ্যের অপচয় রোধ করার উদ্দেশ্যে কী করা হয়? ক. খাদ্য সংরক্ষণ খ. খাদ্য উৎপাদন গ. খাদ্য চাষবাদ ঘ. শীতকালীন শস্য বেশি উৎপাদন উত্তর:ক. খাদ্য সংরক্ষণ ৬৪. জলপাই কোনটির মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়? ক. তেল খ. পানি গ. খনিজ লবণ ঘ. কোমল পানীয় উত্তর:ক. তেল ৬৫. কোন রাসায়নিক দ্রব্যাটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? ক. পানি খ. ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড গ. ক্যালসিয়াম কার্বাইড ঘ. সোডিয়াম ক্লোরাইড উত্তর:গ. ক্যালসিয়াম কার্বাইড ৬৬. খাদ্যের দল কয়টি? ক. ২টি খ. ৩টি গ. ৪টি ঘ. ৬টি উত্তর:ঘ. ৬টি ৬৭. কোন খাদ্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয়? ক. চাল খ. আচার গ. মাংস ঘ. বরই উত্তর:গ. মাংস ৬৮. কোন খাবারগুলো কম খাওয়া উচিত? ক. দুধ, দই খ. শাকসবজি গ. ফলমূল ঘ. বার্গার, চিপস উত্তর:ঘ. বার্গার, চিপস সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন :তিনটি খাদ্য উপাদানের নাম লেখ। উত্তর:তিনটি খাদ্য উপাদানের নাম নিম্নরূপ : ১. শর্করা; ২. আমিষ; ৩. স্নেহ জাতীয় পদার্থ। প্রশ্ন : ফ্রম্নটলুপস কী? উত্তর:উচ্চমাত্রায় মিষ্টিযুক্ত শস্য দানা যা বিশেষ করে শিশুদের জন্য তৈরি করা হয় তাকে ফ্রম্নট লুপস বলে। প্রশ্ন : জাঙ্ক ফুড কী? উত্তর: যে সকল কৃত্রিম খাদ্যে চর্বি, লবণ, কার্বনেট ইত্যাদি ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে সেগুলোই জাঙ্ক ফুড। প্রশ্ন : খাদ্য পরিপাকে পানি কী হিসেবে কাজ করে? উত্তর:খাদ্য পরিপাকে পানি 'মাধ্যম' হিসেবে কাজ করে। প্রশ্ন:খাদ্য সংরক্ষণের দুটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নাম লেখ। উত্তর:খাদ্য সংরক্ষণের দুটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নাম:১. উচ্চ তাপে শুকানো; ২. হিমাগারে সংরক্ষণ। প্রশ্ন : আমরা পরিমিত খাদ্য কেন খাব? উত্তর:দেহ সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম রাখার জন্য আমরা পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করব। প্রশ্ন :খাদ্য সংরক্ষণ কী? উত্তর :খাদ্যের মূল্যমান বজায় রেখে এবং পচন রোধ করে খাদ্যকে সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থায় সঞ্চয় করাকে খাদ্য সংরক্ষণ বলে। প্রশ্ন:খাদ্যে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে কী কী রোগ হতে পারে? উত্তর: খাদ্যে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে মানুষের লিভার ও কিডনি বিকল, অ্যাজমা, খর্বাকৃতি, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ হতে পারে। প্রশ্ন:কয়েকটি জাঙ্কফুডের নাম লেখ। উত্তর:কয়েকটি জাঙ্কফুডের নাম হচ্ছে- আলুর চিপস, বার্গার, ফ্রম্নট লুপ্স, ক্যান্ডি, কোমল পানীয়- লেমন ও সোডা, কৃত্রিমভাবে তৈরি ফলের রস, চকলেট ইত্যাদি। প্রশ্ন:খাদ্যে কী ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? উত্তর :খাদ্যে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রশ্ন:জাঙ্কফুডে কোন কোন ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে? উত্তর :চর্বি, লবণ ও কার্বনেট জাঙ্কুফুডে ইত্যাদি ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে। প্রশ্ন:সুষম খাদ্য গ্রহণ বলতে কী বোঝ? উত্তর :সুষম খাদ্য গ্রহণ বলতে খাদ্যের প্রতিটি দল থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করাকে বোঝায়। প্রশ্ন :জাঙ্ক ফুড গ্রহণ করলে কী সমস্যা হতে পারে? উত্তর:জাঙ্ক ফুড খেলে পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। প্রশ্ন: কোন কোন খাদ্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়? উত্তর:মিষ্টি, জেলি, চকলেট, আইসক্রিম, কেক, চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদিতে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়। প্রশ্ন:খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় বর্ণনা কর। উত্তর :খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় নিম্নরূপ : ১. রোদে শুকানো : খাদ্যের বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণ ঠিক রেখে খাদ্যদ্রব্যকে রোদে শুকানো যায়। যেমন : চাল, ডাল, গম ইত্যাদি। ২. হিমাগারে সংরক্ষণ : মাছ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি ফ্রিজের ঠান্ডায় বেশ কিছু দিন ভালো থাকে। এছাড়াও হিমাগারে শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রাখা হয়। ৩. লবণ, চিনি, সিরকা ও তেল দ্বারা সংরক্ষণ : লবণ, চিনি, সিরকা বা তেল দিয়ে জলপাই, বরই, আম ইত্যাদি অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়া লবণ দিয়ে মাছ সংরক্ষণ করা যায়। প্রশ্ন :খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা কী? উত্তর:খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা- ১. খাদ্যের অপচয় রোধ ও দ্রম্নত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করা যায়। ২. খাবারে পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়। ৩. বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়। ৪. অনেক দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায়। ৫. ভবিষ্যতের খাদ্য চাহিদা পূরণ করা যায়। প্রশ্ন : সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন? উত্তর : সুষম খাদ্যে ৬টি পুষ্টি উপাদান যথা : শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি সঠিক পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। প্রতিটি খাদ্য উপাদানের পৃথক পৃথক কাজে রয়েছে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়। পুষ্টির অভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। অপুষ্টিজনিত কারণে শিমুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। তাই বয়স ও কাজের ধরন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রশ্ন : ৬টি খাদ্য দল কী কী? উত্তর : ৬টি খাদ্য দল হলো- ১. খাদ্য শস্য ও আলু (শর্করা) ২. শাকসবজি (ভিটামিন, খনিজ লবণ) ৩. ফলমূল (ভিটামিন, খনিজ লবণ) ৪. মাছ, মাংস ও ডাল (আমিষ) ৫. দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য (ক্যালসিয়াম, ভিটামিন) ৬. তেল ও চর্বি। প্রশ্ন : কীভাবে আমরা সুষম খাদ্য পেতে পারি? উত্তর : আমরা বিভিন্ন খাদ্য দল থেকে সঠিক ও পর্যাপ্ত খাদ্য বেছে নিয়ে সুষম খাদ্য পেতে পারি। সুষম খাদ্য বলতে খাদ্যের প্রতিটি দল থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য বেছে নেয়াকে বোঝায়। অসংখ্য খাদ্য ও পুষ্টির মধ্যে সামঞ্জস্য করে বিভিন্ন খাদ্যকে ছয়টি খাদ্যদলে ভাগ করা হয়েছে। সেসব দল থেকে নির্দিষ্ট ধরনের খাদ্য পরিমাণমতো কতবার খাওয়া উচিত তা বাছাই করে নেয়ার মাধ্যমে আমরা সুষম খাদ্য পেতে পারি।