ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
ঠরৎঃঁধষ জবধষরঃু কে আমরা বলতে পারি কম্পিউটার তৈরিকৃত এমন একটি কৃত্তিম পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী আসে পাশের পরিবেশকে বাস্তবের মতই অবলকন করে।
আমরা অনেকেই বিভিন্ন এনিমেশন মুভি বা থ্রি ডি গেমের সংস্পর্শে গেলেই নিজেকে নিয়ে সেখানে ভাবতে পছন্দ করি। বাস্তবে কখনোই বন্যপ্রাণী বা মহাকাশে উড়ে বেড়ানো হয়তো সম্ভব না। কিন্তু এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্য আপনার অনুভুতি বাস্তবের মতই হবে। প্রযুক্তিবিদরা এই প্রযুক্তির আরও উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
ঠরৎঃঁধষ অর্থ অপার্থিব আর জবধষরঃু হলো বাস্তবতা। ঠরৎঃঁধষ জবধষরঃু মানে হলো কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার দিয়ে তৈরি কৃত্রিম পরিবেশ যার কোন বাস্তবে অস্তিত্ব নেই।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ১৯৮০ দশকের মধ্যভাগে সর্বপ্রথম ব্যবহার হয়।তাছাড়া এর আগে টুইন মিরর হিসেবে কাজ করা হতো। একসময় ঔধৎড়হ ষধহরবৎ একে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নামকরণ করেন ও পরে আরো অনেকের হাত ধরেই এটি বিকশিত হয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ডিভাইসসমূহঃ হাতের ডেটা গেস্নাভ বডি, সু্যট ও মাথায় হেড মাউন্টেড ডিসপেস্ন।
উপাদানসমূহঃ
ঊভভবপঃড়ৎ: ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাথে সংযোগ সাধনে ইফেক্টর হিসেবে হাতের ডেটা গেস্নাভ, বডি সু্যট ও মাথায় হেড মাউন্টেড ডিসপেস্ন ব্যবহার করা হয়।
জবধষরঃু ংরসঁষধঃড়ৎ: রিয়েলিটি সিমু্যলেটর হলো ইফেক্টরকে সংবেদনশীল তথ্য দেয়। বিভিন্ন সেন্সর গুলো রিয়েলিটি সিমু্যলেটর হিসেবে কাজ করে।
অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ: সিমুলেশন সফটওয়্যারগুলো এপিস্নকেশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এবড়সবঃৎু: ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে তথ্য দিয়ে থাকে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সাধারণত ৫ ধরনের হয়ে থাকে। যেমন: ঋঁষষু-রসসবৎংরাব: প্রকৃতি ও পরিবেশের অকল্পনীয় জগতের অনুভূতি পেতে এই অৎঃরভরপরধষ বহারৎড়হসবহঃ তৈরি করা হয়। ফলে আপনি আপনার ইচ্ছাকৃত স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন যেমন সমুদ্রের তলদেশে তিমি মাছের দেখা পাওয়া ও জঙ্গলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টার্জেনের মতো উড়ে বেড়ানো সবই পরিপূর্ণভাবে অনুভব করতে পারবেন।
ংবসর-রসসবৎংরাব: ঋঁষষু-রসসবৎংরাব ও ঘড়হ-রসসবৎংরাব এর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে
ংবসর-রসসবৎংরাব।কম্পিউটার এর মাধ্যমে ও মাউসের সাহায্যে পযধৎধপঃবৎ এর বৈশিষ্ট্য আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ঘড়হ-রসসবৎংরাব: সফটওয়্যারের মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করা হয়। আপনারা অ্যানিমেশন বা গেমস খেলার মাধ্যম হিসেবে নন-ইমার্সিভ ব্যবহার করা যেতে পারে।
অঁমসবহঃবফ ৎবধষরঃু: আপনারা হয়তো দেখতে পাবেন কোন সিরিজে কিছু পধৎঃড়ড়হ পযধৎধপঃবৎ থাকে যারা আপনাকে সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারে।বর্তমানে টিভিতে এর ব্যবহার বেশিই দেখা যায়। অথবা আপনি কিছু ঢ়ৎড়ফঁপঃ কিনতে চাচ্ছেন কিন্তু তা আগেই সেটার ভিউ নিতে চাচ্ছেন সেই সময়ে অৎমঁসবহঃবফ ৎবধষরঃু এর ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঈড়ষষধনড়ৎধঃরাব ঠজ: উন্নত মানের প্রযুক্ত দিয়ে এই পরিবেশ তৈরি করা হয়ে থাকে।সাধারণত কয়েকজন মিলে এই ভার্চুয়াল প্রজেক্টে আসতে পারেন। চটইএ গেম এখন প্রচলিত গেমের মধ্যে একটি যা পড়ষষধনড়ৎধঃরাব ঠজ এর সাহায্যে চালিত হচ্ছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার:বিমানবাহিনীর যুদ্ধ প্রশিক্ষণ, নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ পরিচালনা করা ও তাদের নিজে প্রস্তুত করার উপায় এই ভার্চুয়াল পরিবেশের মাধ্যমে করা হচ্ছে।
-শিক্ষকরা তাদের পাঠদান ভার্চুয়ালি শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করেন প্রজেক্টরের সাহায্যে।এতে তারা প্র্যাকটিকাল উপায়ে সব শিখতে পারছে।
-মেডিকেল শাখায় জটিল সার্জারি বা রোগ নির্নয়ে বর্তমানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এক বিশাল জায়গা দখল করে আছে।
-গ্রাফিক্স তৈরিতে বা বিভিন্ন গেমস সফটওয়্যারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যাপক ব্যবহার হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অবাস্তব পরিবেশে এক প্রকার ডাইমেনশন এনে দিতে পারে।
-প্রোডাকশনের গুনগত মান যাচাই-বাছাই করার জন্যও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
-প্রকৌশল ও গবেষণার কাজে সিমুলেশনের মাধ্যমে কম্পিউটারের থ্রি ডি ইমেজ ব্যবহার করে কাজ করা হচ্ছে।
-খেলাধুলা ও বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ক্ষতিকর প্রভাব:ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাহায্যে প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি হয়েছে তেমনি শিশুদের উপর বাজে প্রভাব পড়ছে। বাচ্চারা গেমসের উপর দিনদিন আসক্ত হয়ে পড়ছে।তাদের চোখের সমস্যা দেখা দিবে ও কর্নিয়াও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ইষঁব যিধষব নামে এক ধরনের গেমস সফটওয়্যার মানুষের মাঝে ভয়ের সৃষ্টি করেছিলো।
অনেক ছেলেমেয়ে এই গেমের নেশায় পড়ে জীবন দিয়েছে পর্যন্ত। কল্পনা জগতের প্রতি মানুষ বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে।